রাত পোহালেই কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ব্রাসিলিয়ায় এই ম্যাচ খেলে সেলেসাওরা উড়ে যাবে আর্জেন্টিনায়। বাংলাদেশ সময় ২৬ মার্চ ভোরে বুয়েনস এইরেসে লিওনেল মেসির দেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে দোরিভাল জুনিয়রের দল। এই দুটি দ্বৈরথের ফল অনুকূলে এলে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবে সেলেসাওরা।
বিপরীত কিছু ঘটলেই আবার চ্যালেঞ্জ বাড়বে ভিনিসিয়ুস-এনদ্রিকদের।
কলম্বিয়া এবং আর্জেন্টিনা—দুটি ম্যাচকে ঘিরে তাই সমান মনোযোগ ব্রাজিলের। ‘সুপার ক্লাসিকো’ নিয়ে আলাদা নজর না দিয়ে একটি একটি ম্যাচ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায় সেলেসাওরা। মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেসের কাছে তো আর্জেন্টিনার চেয়েও কলম্বিয়ার ম্যাচ বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘দুটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমরা একটি করে ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।
পয়েন্টের নিরিখে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট অর্জন করে তারপর আর্জেন্টিনাকে নিয়ে ভাবতে চাই। আশা করি এই দুটি ম্যাচে ভালো করে চূড়ান্ত পর্বের পথে এগিয়ে যাব আমরা।’
এমন গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ দর্শক সারিতে বসে দেখতে হবে নেইমারকে।
প্রাথমিক দলে সুযোগ পেলেও চোটের জন্য জাতীয় দলে তাঁর ফেরার সময় আরো হচ্ছে দীর্ঘ। কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নেইমারের অনুপস্থিতি কী অনুভব করবে ব্রাজিল? সংবাদ সম্মেলেনে এর হ্যাঁ-সূচক জবাব দিয়েছেন মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেস, ‘আমরা তার অভাব অনুভব করব। শুধু খেলোয়াড়রা নয়, তাকে মিস করবে সমর্থকরাও। সে একজন নেতা। আমাদের ১০ নম্বর। সর্বশেষ এক দশকে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। আশা করছি সে দ্রতই সুস্থ হয়ে উঠবে। তাকে না পাওয়াটা আমাদের জন্য বিশাল ক্ষতি। মাঠ ও মাঠের বাইরে দুই জায়গাতেই আমরা তার অভাব অনুভব করব নিঃসন্দেহে। কারণ তার উপস্থিতি পুরো দলের মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়।’
এই মুহূর্তে ব্রাজিলের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে লাতিন বাছাইয়ে চার নম্বরে আছে কলম্বিয়া। তবে তাদের বিপক্ষে রেকর্ড দুর্দান্ত সেলেসাওদের। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালসহ নিজেদের মাঠে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে কোনো ম্যাচ হারেনি নেইমারের দেশটি। লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে বর্তমান পাঁচ নম্বরে আছে প্রতিটি বিশ্বকাপে খেলা একমাত্র দেশ ব্রাজিল। এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি খেলবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে। সপ্তম দলের সামনেও সুযোগ আছে প্লে অফ মাড়িয়ে সেরা ছয়ের সঙ্গী হওয়ার। সে জন্যই বলা হচ্ছে বর্ধিত কলেবরের বিশ্বকাপের সবচেয়ে সুবিধাভোগী সম্ভবত লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। ইএসপিএন