তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রী ফারিন খান। অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন এ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ছোট পর্দায়।
তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রী ফারিন খান। অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন এ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ছোট পর্দায়।
ঈদে কতগুলো নাটকে অভিনয় করলেন?
৪টা নাটকে কাজ করেছি। এর মধ্যে মুশফিক আর ফারহান ভাইয়ের সঙ্গে ‘আবদার’ ও নাম ঠিক না হওয়া একটি নাটক।
নাটকগুলোর গল্প এবং আপনার চরিত্র কেমন?
‘আজান’ একদম ভিন্ন ঘরানার গল্পের নাটক।
অন্যদিকে ‘ফায়ার ফাইটার’ আমাদের ফায়ার সার্ভিসের গল্পের নাটক।
সহ-অভিনেতা হিসেবে ইরফান সাজ্জাদ ও মুশফিক আর ফারহান কে কেমন?
ফারহান ভাইয়ের সঙ্গে এর মধ্যে ১০টি নাটক করেছি। আজকের ফারিন মানে অভিনয়ে আমার পরিপক্ব হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাঁর। সেটে ফারহান ভাই সব সময় আমাকে হাতে ধরে শেখান, চরিত্রে মনোনিবেশ করতে তিনি দারুণ সহযোগিতা করেন। বলতে পারেন ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি আমার অভিভাবক। তাঁকে কিন্তু চরম ভয়ও পাই। একেবারে আপন বড় ভাইয়ের মতো। অন্যদিকে ইরফান সাজ্জাদ ভাইয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম কাজ করলাম। আগে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, গল্প হয়েছে তবে ক্যামেরার সামনে এবারই প্রথম দাঁড়ালাম। যখন ‘আজান’ নাটকের প্রস্তাব পেলাম এবং শুনলাম ইরফান ভাই কো-আর্টিস্ট তখন প্রথম যে কথাটি মনে হলো, হায়রে! এত সুন্দর মানুষের সঙ্গে পর্দায় আসব, আমার সৌন্দর্য তো ঢাকা পড়ে যাবে [হা হা হা]! শুটিংয়ের আগে আমরা চার-পাঁচ দিন বসেছিলাম প্রি-প্রোডাকশনের কাজে। ধীরে ধীরে তাঁকে বেশি করে বুঝতে শুরু করলাম। এরপর শুটিংয়ে তো সংকোচ কেটে গেল। ইরফান ভাইও সহশিল্পী হিসেবে দশে দশ পাবেন।
ভালোবাসা দিবসে প্রকাশিত হয়েছিল ‘প্রথম প্রেমের গল্প’। কতটা সাড়া পেয়েছেন?
এর মধ্যে মিলিয়ন ভিউ পার করেছে। অলমোস্ট ১৫ লাখের কাছাকাছি। দর্শকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমার প্রতিটি নাটকই মিলিয়ন ভিউয়ের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। ‘প্রথম প্রেমের গল্প’ নির্মিত হয়েছে নাইনটিজের গল্পে। দর্শক বেশ পছন্দ করেছে নাটকটি। মন্তব্যের ঘরে দারুণ দারুণ সব কথা। আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
কাজল আরেফিন অমির সঙ্গে আর কোনো কাজ করছেন?
অমি ভাই এখন তো খুব সময় নিয়ে কাজ করছেন। মাঝখানে শুধু ‘হাউ সুইট’ করলেন। আমাকে এখানে একটা ক্যামিও চরিত্রে ডেকেছিলেন। শেষ পর্যন্ত যদিও হয়নি। ভাইয়ের পরের প্রজেক্টে হয়তো ডাক পাব। তিনিও তো আমার পরিবারের মানুষ। নাটকে তিনিই আমাকে এনেছেন।
আগেরবার বলেছিলেন, শিগগিরই একটা ধামাকা খবর দেবেন। সেটা কতদূর?
গতকালও নির্মাতার সঙ্গে মিটিং করেছি। আসলে ধামাকাটা সিনেমা নিয়ে। আমি যেহেতু সিনেমা দিয়েই শুরু করেছিলাম, তাই মূল লক্ষ্য সেখানেই। ধরে রাখুন, এই বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ খবরটা পেয়ে যাবেন।
ওটিটিতে নতুন কাজ কবে আসবে?
গত বছর ‘বিলাই’ ও ‘ত্রিভুজ’ করে দারুণ সাড়া পেয়েছিলাম। এখনো সেই রেশ চলছে। মার্চের শেষের দিকে নেপাল থেকে ‘বিলাই’য়ের জন্য আরেকটি পুরস্কার হাতে আসবে। এর মধ্যে দীপ্ত প্লের একটি কাজ চূড়ান্ত হয়েছে। হয়তো ঈদের পরে শুটিং হবে। চরকির জন্য মাঝখানে অডিশন দিয়েছি। আশা করছি, শিগগির ডাক পাব।
সম্পর্কিত খবর
প্রয়াত লাকী আখন্দের সুরে একটি দেশের গান নিয়ে আসছেন কিংবদন্তি শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার সঙ্গে আরো আছেন শিল্পী সাঈদা শম্পা। গানটির শিরোনাম, ‘দেখেছি সে তোমাকে’। গোলাম মোর্শেদের কথায় গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মানাম আহমেদ।
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “যখন শুনেছি গানটি লাকী আখন্দের সুরে তখন আর না করতে পারিনি। পরে গানটির কথা ও সুর শুনে দারুণ মুগ্ধ হয়েছি। অনেক দিন পর এমন একটি দেশের গান করতে পেরে ভালো লাগছে। অনেকেই হয়তো জানে না আমার কালজয়ী গান ‘আগে যদি জানতাম, মন ফিরে চাইতাম’ গানটিও লাকী আখন্দের সুরের গান।
গীতিকার গোলাম মোর্শেদ বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আমল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সময় পর্যন্ত বাঙারি সত্তা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কেবলমাত্র বাংলাকে ভালোবেসে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যারা, তাদের নিয়ে এই গান।
শম্পা বলেন, ‘এমন খ্যাতিমান ভারী ভারী মানুষদের সম্মিলনে তৈরি গানটিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি নিজে অনেক সম্মানিত বোধ করছি, শুধু সেটা নয়, স্বপ্নে আছি নাকি বাস্তবে আছি সেটা পরখ করতে নিজের শরীরে নিজে চিমটি কেটে দেখার মতো অবস্থা হয়েছিল। আনন্দের মাত্রা ছিল ঠিক তেমনি, আমার জন্য।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ ‘গান জানালা’র ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত হবে।
অপরিচিত দুটি ছেলে-মেয়ের এক হঠাৎ জার্নি আর সেই জার্নিতে ঘটতে থাকে নানা রকম ঘটনা। সেই ঘটনাগুলো কী বলতে চায়—এমন গল্পের আভাসেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’।
এর মধ্যে ফিল্মটির টিজার, ট্রেলার এবং একটি গান উন্মুক্ত হয়েছে, যা দর্শকরা লুফে নিয়েছেন। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি।
দর্শকদের পরিপূর্ণ বিনোদন দেবে ‘হাউ সুইট’, এমনটাই জানালেন এর পরিচালক। ৯০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ওয়েব ফিল্মে রোমান্স, অ্যাকশন, কমেডি, নাচ-গান সব কিছুই রয়েছে।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘হাউ সুইট’ একটা গুড ফিল, অর্থাৎ মন ভালো করার মতো কনটেন্ট, একটা হ্যাভ ফান কনটেন্ট যেখানে একটু রোমান্স, একটু কমেডি, একটু অ্যাকশন থাকবে। দর্শকরা ঘরে বসে যেন একটু সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারে সে জন্যই ওটিটিতে কনটেন্টটি করেছি।
তিনি আরো বলেন, দর্শক এই ঈদে তাদের ওয়াচলিস্টে ‘হাউ সুইট’কে এগিয়ে রাখবে।
কনটেন্টের ব্যাপ্তি অনেক সময় বেশি দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
‘হাউ সুইট’-এর ব্যাপ্তি ৮৬ মিনিট, এন্ড টাইটেল মিলিয়ে ৯০ মিনিট। দর্শকের এক সেকেন্ডও বিরক্ত লাগবে না, বরং তারা বলবে আরো ১০ মিনিট বেশি হলে ভালো হতো।
বঙ্গ প্রযোজিত ‘হাউ সুইট’ মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ, পাভেল প্রমুখ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়ায়, ‘প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা হরনাথ চক্রবর্তী!’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে টলিপাড়ায় হইচই শুরু হয়ে যায়।
এর পর এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, খবরটি ভুয়া।
এর পর ভারতীয় গণমাধ্যমে হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকাল যে কোনো কিছু লিখে দিয়ে ভিউ বাড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। মানসিকভাবে অত্যন্ত আহত হয়েছি এমন খবরে।
এর পর পরিচালক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগে গত ১৮ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে তার স্ত্রী রাজশ্রী চক্রবর্তী মারা যান।
বললেন, সেই খবর অনেকেই জানতে পেরেছিলেন।
প্রসঙ্গত, হরনাথ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন অঞ্জন চৌধুরীর সহকারী পরিচালক হিসেবে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র হল মঙ্গলদ্বীপ (১৯৮৯)। তার পরিচালিত সাথী (২০০২) বাংলার তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০টি একক নাটক ও একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন নির্মাতা এস আই সোহেল। নাটকগুলো প্রযোজনা করেছেন পিএফএফ এন্টারটেইনমেন্ট, কেএসআর মাল্টিমিডিয়া, ফখরুল ইসলাম ও থ্রি স্টার ড্রামা।
নাটকগুলো হলো পিতার মতো শ্বশুর, ৫ টাকার কয়েন, সাইকো ম্যান, চাটগাইয়া বউয়ের ঠেলা, লতিফের সুন্দরী বউ, প্রবাসীর লাশ, আইল ঠেলা মুসুল্লি, শ্বশুরবাড়ি বরিশাল, শ্বশুরের খেদমত, প্রাক্তনের প্যারা। গল্পগুলো রচনা করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক ও সজিবুর রহমান পিন্টু।
নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শেলী আহসান, তন্ময় সোহেল, সাব্বির আহমেদ, একে আজাদ, মীম চৌধুরী, সামান্তা পপি, নেহা মনি, নওশীন নাহার, ফারজানা উর্মি, শিশির আহমেদ, নাবিলা চৌধুরী, রেশমি আহাম্মেদ, আনোয়ার শাহী, এম কে এইচ পামির, শিবা শানু, জিনিয়া যিনি, নাবিলা চৌধুরী, শিশির আহমেদ, ইমরান আজান, টি.এ. তুহিন খান, একে আলামিন, ইভা রহমান, টিটু বাঙ্গালী, লিটন, মাইমুনা মম, সাবিনা রনি, নাহার নৌরিন আরও অনেকে।
এর বাইরে এসআইসোহেল ‘রঙিন ফিলিংস’ নামে একটি বিগ বাজেটের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল এবং শাহরিয়ার রাফাত। গানটির গীতিকার সুদীপ কুমার দীপ।