হামজা চৌধুরীকে নিয়ে ভারতবধের স্বপ্নে বুঁদ এখন ফুটবলপ্রেমিরা। হাভিয়ের কাবরেরাও বলছেন তা খুবই সম্ভব। তবে হামজাকে নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল স্বপ্নটা শুধু ভারত ম্যাচেই আটকে নেই নিশ্চয়ই। গতকাল বাংলাদেশের ফুটবলে হামজার প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন শুনে সেই প্রসঙ্গই টেনেছেন কাবরেরা, ‘হামজা এখন আমাদের মাঝে আছে, এটা বিরাট খবর।
ওকে নিয়ে ভারতকে হারানো আমাদের প্রথম মিশন। তবে হামজাকে আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য চাই। ওকে আমরা সামনের বছরগুলোতেও যে পেতে যাচ্ছি—বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এটাই বড় ব্যাপার।’
লাল-সবুজের জার্সিতে হামজার স্রেফ শুরু ভারত ম্যাচটাতে।
দারুণ একটা শুরুর জন্যও মুখিয়ে সবাই। কাবরেরার কণ্ঠে সেই আত্মবিশ্বাসও, ‘হামজা যোগ হয়েছে, তার মানে আমরা আরো শক্তিশালী হয়েছি। ভারতকে হারানোর
সম্ভাবনা এতেই আরো বেড়ে গেছে আমাদের। ভারতের প্রতি পূর্ণ সমীহ আছে আমার। ওরা শক্তিশালী দল। এই অঞ্চলে র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে। তবে গত দুই-তিন বছর ধরে আমরা যেভাবে এগিয়েছি এবং দলে এই মূহূর্তে এমন একজনকেও পেয়েছি যে কিনা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, তাতে ভারতের বিপক্ষে অবশ্যই বড় কিছুর আশা আমরা করতে পারি।’ সেই ২০০৩ সালে সাফ জয়ের পথে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ
জয় বাংলাদেশের। এরপরের প্রতিটি ম্যাচে তুমুল লড়াই হলেও ভারতকে হারানোটা এই প্রজন্মের কাছে এখনো অধরা হয়ে আছে। হামজাকে নিয়ে নতুন শুরুর স্বপ্ন এখন তাই বাংলাদেশ ফুটবলে।
এই হামজা দলের সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নেন সেটি নিয়েও এখন কৌতূহলের শেষ নেই। তিনি একাদশে ঢুকলে লাইনআপটাই বা কেমন হবে? কাবরেরা যদিও বলেছেন এখনো চূড়ান্ত নয় কিছুই, ‘এখনো পাঁচটা সেশন আমাদের সামনে আছে। অনুশীলন সেশনগুলোতে দেখবেন প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজেদের মেলে ধরতে উজাড় করে দিচ্ছে। এই প্রতিযোগিতাটা ভালো। আমার মনে হয় একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে লাইনআপটা জানতে হলে।’ হামজা কোথায় খেলবেন—সেই প্রশ্নও আছে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড, বক্স টু বক্স নাকি আরো আক্রমণাত্মক ভূমিকায়? কাবরেরা সেটি নিশ্চিত করার জন্যও সময় নিয়েছেন, ‘তার জন্য একটু অপেক্ষা করতেই হবে। আজকেই ও প্রথম অনুশীলনে নামবে। অবশ্যই ওকে আমরা মাঝমাঠে চাই। ওর সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে তাকে আমি আমার ভাবনাটা জানিয়েছিও। এখন অনুশীলনে নেমে আমরা বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে চাই।’
ভারত গতকালই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে মালদ্বীপের বিপক্ষে, বাংলাদেশ সেই অর্থে প্রস্তুতি ম্যাচ পায়নি। সেটি কতটা প্রভাব পড়বে—এমন প্রশ্নেও অবশ্য কাবরেরা ইতিবাচক থেকেছেন, ‘ভারতে নতুন কোচ, অনেক খেলোয়াড়কে তারা বাজিয়ে দেখছে, খেলার ধরন নিয়েও হয়তো কাজ করছে। সেখানে আমরা অনেক দিন ধরে কিন্তু একসঙ্গে আছি। এটি তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’