<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো তারকারা যখন কোনো দলে থাকেন তখন বাকিদের জন্য কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। সতীর্থদের জন্য তাঁরা অনুপ্রেরণা কিংবা আদর্শ হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশ দলে হামজা চৌধুরী যোগ দেওয়ার পর ঠিক এমন আবহ পাচ্ছেন সাদ উদ্দিন-হৃদয়রা। মাত্র চার দিনেই দলের সঙ্গে মিশে গেছেন হামজা। ইংলিশ ফুটবল মাতানো এই তারকার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছেন বাকিরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="দলের সঙ্গে মিশে গেছেন হামজা" height="82" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/03.March/23-03-2025/kk--1a---23-03-2025-14.jpg" style="float:left" width="300" />গতকাল জওয়াহেরলাল নেহরু স্পোর্টস কমপ্লেক্সের টার্ফের মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাকে যদি ভোট দিতে বলা হয় তাহলে আমি ১০০-তে ১০০ দেব। ওর (হামজা) মান আমাদের তুলনায় অনেক উঁচুতে। শুধু আমি না, আপনারাও সেটা জানেন। ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক কিছু শিখছি। হামজার জীবনযাপন খুবই স্বাভাবিক। এ কারণে আমাদের মানিয়ে নিতে সহজ হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অনুশীলনেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে হামজাকে। মাঝেমধ্যেই সতীর্থদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মাততে দেখা গেছে তাঁকে। সহকারী কোচ হাসান আল মামুন তাই বলছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হামজা দলের সঙ্গে মিশে গেছে। ও জানে দেশ ও দলের জন্য নিজের দায়িত্ববোধ আছে। প্রথম দিন থেকেই সে কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের সঙ্গে উজ্জীবিত। নিজে থেকেই সবাইকে সম্মান করছে, কথা বলছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিলংয়ে প্রথম দিনের মতো গতকালও বাংলাদেশের অনুশীলন মাঠ নিয়ে হয়েছে নাটকীয়তা। শুক্রবার ঘাসের মাঠে প্রস্তুতি নিলেও মাঠ যথেষ্ট উপযুক্ত ছিল না বলে হতাশা ঝাড়েন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। গতকাল আবার <img alt="দলের সঙ্গে মিশে গেছেন হামজা" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/03.March/23-03-2025/kk--1b---23-03-2025-14.jpg" style="float:right" width="450" />আর্টিফিশিয়াল টার্ফে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২৩ মার্চ ম্যাচ হবে জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের প্রাকৃতিক ঘাসে। এক দিন ঘাসের উঁচু-নিচু অসমতল মাঠে অন্য দিন টার্ফে অনুশীলন করায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি শতভাগ হওয়া নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ চেয়েছিল মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করতে, কিন্তু অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন অনুমতি দেয়নি। ভারত অবশ্য জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে টানা অনুশীলন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কালকের অনুশীলনও ছিল নাটকীয়তায় ভরা। শুরুতে সন্ধ্যা ৬টায় অনুশীলনের সময় দিলেও তা পরিবর্তন করে সাড়ে ৭টায় নেওয়া হয়। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা উতরে সাফল্য পাওয়ায় আশাবাদী হাসান আল মামুন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা তো টার্ফে অনুশীলন করতে চাইনি। ঘাসের মাঠ চেয়েছিলাম। কিন্তু ওদের সীমাবদ্ধতা বা অন্য কোনো কারণ হয়তো ছিল। এগুলো নিয়ে ভাবছি না। আমরা অনুশীলনে মনোযোগ রাখছি। অন্য কিছুতে নয়। প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি, ভারতে আমাদের এ রকম সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের মাটিতে সর্বশেষ ২০১৯ সালে খেলা ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে গোল করা সাদ উদ্দিন এবারও নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। তিনি বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুযোগ পেলে আবারও গোল করতে চাই। অনুশীলন মাঠ নিয়ে সমস্যা হলেও আমরা মনোযোগ হারাচ্ছি না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ের জন্য খেলব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হামজা যেভাবে দলের সঙ্গে মিশে গেছেন, তাতে ভারতের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশকেই দেখা যাবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>
