আমাদের মানসিকতা বদলে গেছে

  • হামজা চৌধুরী লাল-সবুজ জার্সি গায়ে তোলার পর মাঠ ও মাঠের বাইরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেহারা বদলে গেছে। তবে একটা জায়গায় পুরনো সেই আক্ষেপ রয়েই গেছে; নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাব। তবে এই দলের ভেতরে বেশ কিছু জায়গায় বদল এসেছে। কালের কণ্ঠের রানা শেখের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেসব নিয়েই কথা বলেছেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
শেয়ার
আমাদের মানসিকতা বদলে গেছে
এখন আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চাই। সমমান বা একটু এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে ম্যাচ হলেই জেতার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি আমরা। কারণ আমাদের মানসিকতা বদলে গেছে।

প্রশ্ন : কয়েক বছর ধরে আক্রমণভাগের গুরুদায়িত্ব আপনার কাঁধে। এটা কতটা চাপের এবং কেমন উপভোগ করছেন?

রাকিব হোসেন : চাপ তো সব সময়ই থাকে। আমি চেষ্টা করি সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিতে। শুরুর দিকে অনেক সময় চাপ অনুভব করতাম।

সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করতাম। এখন অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি। তবে উন্নতির তো শেষ নেই। উন্নতির জন্য কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রশ্ন : নিজের ফিনিশিং কিংবা টেকনিক্যাল দিকগুলোতে উন্নতির জন্য বাড়তি কী করে থাকেন?

রাকিব হোসেন : জিমে অনেকক্ষণ থাকা হয়। এটা আমি নিয়মিত করি। জিম করলে মানসিকভাবে সতেজ থাকা যায়। খুবই কাজে দেয়।

যখন ক্লাবে থাকি তখন অনুশীলনের পর ফিনিশিং নিয়ে আরো কিছু সময় কাজ করা হয়।

প্রশ্ন : হামজা চৌধুরীর সঙ্গে প্রথমবার খেললেন। এমন একজন বড় মাপের খেলোয়াড়ের সঙ্গে ড্রেসিং রুম থেকে মাঠের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

রাকিব হোসেন : সে (হামজা) খুব ভালো মানুষ। উঁচু মানের খেলোয়াড়। ওর সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে, সুন্দর মানসিকতা।

সবার সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেতে পারে। আমাদের খুব সহজেই বুঝতে পেরেছে। আমরা যেমন ভেবেছিলাম তেমন না। আমাদের ভাবনার বিপরীত মানুষ সে। খুবই সাদাসিধে একজন মানুষ।

প্রশ্ন : হামজা থাকায় আপনি কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পেরেছেন?

রাকিব হোসেন : সামনে থেকে রক্ষণভাগের নেতৃত্ব দিয়েছে হামজা। আমরা যারা আক্রমণভাগে খেলি, আগে আক্রমণের পাশাপাশি নিচে নেমে রক্ষণেও সাহায্য করতে হতো। এবার সেটা করতে হয়নি। খুব একটা নিচে নামতে হয়নি বলে ভারতের গোলরক্ষক, রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখতে পেরেছিলাম।

প্রশ্ন : হামজার অনুপ্রেরণা তো এবার যোগ হয়েছে। গত কয়েক বছরে জাতীয় দলের মধ্যে কেমন পরিবর্তন দেখছেন?

রাকিব হোসেন : একটা ব্যাপার বলতে চাই, আগে আমরা যে ধরনের ফুটবল খেলতাম, আর এখন যেভাবে খেলিএর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আমরা এখন বিল্ড আপ ফুটবল খেলি। ভারতের সঙ্গে ম্যাচে যদি ফিরে যান তাহলে দেখতে পাবেন, আমরা বল দখলে এগিয়ে ছিলাম। আক্রমণের পর আক্রমণ করেছি। কিন্তু তিন বছর আগে যখন ভারতের সঙ্গে খেলেছিলাম তখন পাল্টা-আক্রমণ নির্ভর ছিলাম। সুযোগের অপেক্ষায় থাকতাম। এখন আর সেই ধরনের ফুটবল খেলি না। এখন আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চাই। সমমান বা একটু এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে ম্যাচ হলেই জেতার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি আমরা। কারণ আমাদের মানসিকতা বদলে গেছে। ২৩ জনের দলে যে-ই সুযোগ পাক না কেন, সবার লক্ষ্য একটাই থাকে, আমাদের জিততে হবে।

প্রশ্ন : এই পরিবর্তনের ছোঁয়া পেলেন কিভাবে?

রাকিব হোসেন : এখানে কোচকে (হাভিয়ের কাবরেরা) কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের সব সময় সাহস জুগিয়েছেন তিনি। মনোবলে যেন চিড় না ধরে সবাইকে সেভাবে উজ্জীবিত করে রাখেন। তাঁর কারণেই আমাদের মানসিকতায় বদল এসেছে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষ দল নিয়ে দারুণ হোমওয়ার্ক করতে পারেন তিনি। বেশির ভাগ সময় তাঁর এই হোমওয়ার্কের সঙ্গে খেলায় মিল পেয়েছি। আর দলের মধ্যে সুস্থ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ আছে। নতুনরা এসে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারছে। সিনিয়ররা নানাভাবে সাহায্য করছে। এই যেমন শাকিল আহাদ তপু। দ্বিতীয়বার ক্যাম্পে এসেই ভারতের বিপক্ষে দারুণ খেলল। সবাই ওকে অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু আগে নতুন কেউ ক্যাম্পে এলে বলত, কেন ওকে ডাকল? এখন আর এ রকমটা হয় না।

প্রশ্ন : মানসিকতার উন্নতি হলেও পুরনো আক্ষেপ মানে ভারতের বিপক্ষেও আপনারা গোল পাননি...

রাকিব হোসেন : এটা তো দৃশ্যমান ব্যাপার। আমাদের আসলে প্রথাগত নাম্বার নাইন নিয়ে খেলতে হবে। এ ছাড়া আমরা যারা আক্রমণভাগে খেলি তাদের অনেক কাজ করতে হবে। সঙ্গে ভাগ্যের ব্যাপারও আছে। অনেক সময় ভাগ্য সহায় থাকে না।

প্রশ্ন : অনেক সুযোগ নষ্ট করে ভারতের সঙ্গে ড্র করলেন। আগামী জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলা। কেমন প্রত্যাশা রাখছেন?

রাকিব হোসেন : এই ম্যাচ আরো কঠিন হবে। কারণ হামজাকে নিয়ে আমরা কিভাবে খেলি সেটা কিছুটা হলেও সিঙ্গাপুর আঁচ করতে পেরেছে, ভারত যেটা পারেনি। তবে আমরা জেতার জন্যই খেলব।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হেরে পিছিয়ে গেল রিয়াল

শেয়ার
হেরে পিছিয়ে গেল রিয়াল
ফ্রেঞ্চ লিগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

লিগ শিরোপা লড়াইয়ে আবার পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ। গত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে কার্লো আনচেলোত্তির দল। একই রাতে বেতিসকে যদি বার্সেলোনা হারাতে পারে তাহলে শীর্ষ দুইয়ের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াবে ছয়ে। ৩০ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৬৩।

ঘরের মাঠে খেলার ১৩ মিনিটে হতাশ করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। স্পট কিকে গোল করতে ব্যর্থ হন এই ব্রাজিলিয়ান। দুই মিনিট পরই রিয়াল সমর্থকদের আরেকবার হতাশায় ডুবতে হয়েছে। কর্নারে উড়ে আসা বলে হেডে বল জালে পাঠিয়ে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে নেন মোক্তার ডিয়াখাবি।

পিছিয়ে পড়া রিয়াল একের পর এক সুযোগ পেয়েছে ম্যাচে ফেরার, কিন্তু এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুসরা জাল খুঁজে পাননি। অবশেষে বিরতি থেকে ফিরে রিয়ালকে সমতায় ফেরান সেই ভিনি। মডরিচের কর্নারে বেলিংহামের ফ্লিকে আলতো ছোঁয়ায় বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। খেলার ভাগ্য যখন ড্রয়ের পথে তখনই বার্নাব্যু স্তব্ধ করে ভ্যালেন্সিয়াকে জয় এনে দেন হুগো দুরো।

এদিকে টানা দুই জয়ের পর আবার হোঁচট খেয়েছে আর্সেনাল। এভারটনের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে গোল খেয়ে পয়েন্ট হারিয়েছে গানাররা। ১-১ গোলে ড্রয়ের ফলে শিরোপা রেস থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ল মিকেল আরতেতার দল। ৬ ম্যাচ বাকি থাকতেই ফ্রেঞ্চ লিগে শিরোপা উৎসব করেছে পিএসজি। অঁজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন লুই এনরিকের দল।

এএফপি

মন্তব্য

টিভিতে

শেয়ার
টিভিতে

ফুটবল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ফুলহাম-লিভারপুল

সরাসরি, সন্ধ্যা ৭টা

ম্যান. ইউনাইটেড-ম্যানসিটি

রাত ৯টা ৩০ মিনিট

স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

বুন্দেসলিগা

সেন্ট পাওলি-মনশেনগ্ল্যাডবাখ

সরাসরি, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট

ই. বার্লিন-ভলফসবুর্গ

সরাসরি, রাত ৯টা ৩০ মিনিট, সনি টেন ২

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

টি স্পোর্টস

শেয়ার
টি স্পোর্টস

ক্রিকেট

আইপিএল, হায়দরাবাদ-গুজরাট

সরাসরি, রাত ৮টা

ডিপিএল, মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক

সরাসরি, সকাল ৯টা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ইশারায় জরিমানা

শেয়ার
ইশারায় জরিমানা

আঙুল দিয়ে গুলি করার ভঙ্গি করে জরিমানা গুনেছেন ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এনবিএ) তারকা খেলোয়াড় জা মোরান্ট। এনবিএর দল মেম্ফিস গ্রিজলিসের এই খেলোয়াড়কে ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাস্কেটবল ম্যাচে দুবার আঙুল উঁচিয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করার ভঙ্গি করার কারণে শাস্তির মুখে পড়েছেন মোরান্ট। বিবিসি

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ