ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে সরকারি অফিস আজ রবিবার খুলছে। আজ থেকে রোজার আগের নিয়মেই অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অফিস। গত ২৮ মার্চ থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত টানা ছুটি কাটালেন সরকারি চাকরিজীবীরা। গত ৩১ মার্চ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ খুলছে সরকারি অফিস
বিশেষ প্রতিনিধি

গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানী ছেড়েছে অসংখ্য মানুষ। কর্মজীবী মানুষ ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে। ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগই গতকালের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন। রাজধানীর লঞ্চ, রেল ও বাসস্টেশনে গতকাল দেখা গেছে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়।
রোজা ও ঈদের ছুটি শেষে আগের নিয়মে ফিরবে সরকারি অফিস, আদালত ও ব্যাংক। রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, ঈদের আগে ২৮ মার্চ (শুক্রবার) ছিল শবেকদরের ছুটি। এবার ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হয় ঈদুল ফিতরের ছুটি, টানা পাঁচ দিনের ছুটি (২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) ছিল ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর মাঝখানে ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা ছিল, সেদিনও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
সম্পর্কিত খবর

সাফারি পার্ক থেকে দুর্লভ প্রাণী উধাও, কঠোর অবস্থানে পরিবেশ উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘গাজীপুর সাফারি পার্কের দুর্লভ প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। শুধু চাকরিচ্যুতি নয়, এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের গাফিলতি করার সাহস না পায়।’
আজ বুধবার গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, পার্কে ঘুরে তার মনে হয়েছে কিছু প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুরূপ পরিবেশে থাকলেও অনেক প্রাণীর জীবনমান পর্যাপ্ত নয়।
সম্প্রতি প্রাণী নিখোঁজের ঘটনায় উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘একটি লেমুর হারিয়ে গেলে বুঝতে হবে ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি আছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি চিহ্নিত করেছি।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি প্রকল্প এলেই কাজ করবেন–এমনটা হতে পারে না। সাফারি পার্ক একটি জাতীয় সম্পদ। এর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়মিত বরাদ্দ ও সদিচ্ছা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা গাজীপুরে থাকেন, তাদেরই প্রথম দায়িত্ব নিতে হবে এই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার জন্য। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ, অবৈধভাবে পাখি বিক্রি বন্ধ ও নিখোঁজ প্রাণী উদ্ধারে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি।’
এ সময় বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেন এবং বন বিভাগের চম্পা সম্মেলন কক্ষে গাজীপুরস্থ বন অধিদপ্তর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন ড. ইউনূস
অনলাইন ডেস্ক

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের নিদারুণ কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের নিদারুণ কষ্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই সময় প্রায় ১৫ লাখ মানুষ খাদ্যের অভাবে মৃত্যুবরণ করে।’ এ কথা বলেই আবেগাপ্লুত হয়ে নীরব হয়ে যান প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও নারী ক্ষমতায়নের কথাও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষুধায় মানুষ মারা গেছে। আমাদের দেশের অনেক বড় একটা দুর্ভিক্ষ ছিল। ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। তখন স্বাধীন বাংলাদেশ ছিল।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা (বছরে) একটিই ফসল ফলাতাম তখন। আমাদের অন্য কোনো উপায় জানা ছিল না। আমাদের দেশের মানুষ কৃষক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কারণ তাদের আর কোনো পেশা ছিল না। আর তাদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশের নিজের কোনো জমি ছিল না।
১৯৭৪ থেকে ২০২৫ সালের এই যাত্রা অনেক চমৎকার একটি সফর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বড় বড় শিল্প নিয়ে আমরা আলাপ করছি, বিদেশি অনেক কম্পানি আরো শিল্প-কারখানা এখানে গড়ে তুলতে চায়, বড় বড় বাজার নিয়ে কথা হয়, তরুণ জনগোষ্ঠী নিয়ে আলাপ হয়। খুব অল্প সময়ে অনেক পথ পেরিয়ে, এটি এখন বাংলাদেশ।’

হারাম অর্থ দিয়ে হজ কবুল হয় না : ধর্ম উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হাসান বলেছেন, ‘হালাল টাকা খরচ করে হজ করতে হবে। হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত হয় না।’
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ-২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মঞ্জুরুল হক ও হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সুদ-ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ কামানোর প্রবণতা আছে। তবে অসৎ পথে উপার্জিত অর্থে হজ কবুল হবে না।’
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সুদখোর, ঘুষখোররা যখন হারাম শরিফে গিয়ে বলে আল্লাহ আমি হাজির, তখন ফেরেশতারা সমস্বরে বলতে থাকেন, তোমার হাজিরা কবুল হয়নি।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘হজব্রত পালনে শারীরিক কষ্ট ও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবহন সেবা না-ও পাওয়া যেতে পারে। হেঁটে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় যেতে হতে পারে।
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ মানুষকে কৌশলী করে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মে সিদ্ধি লাভ করা যায়। যত বেশি মনোযোগ সহকারে হজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যাবে, হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন তত বেশি সহজ হবে।
হজযাত্রীদের ভাগ্যবান অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, ‘হজ ভাগ্যের ব্যাপার। টাকা কিংবা বিত্তবৈভব থাকলেই হজ করা যাবে, এ কথা ঠিক নয়। অনেকের টাকা থাকা সত্ত্বেও আজ যাবে, কাল যাবে করে যেতে পারে না। মানুষ যখন মায়ের পেটে থাকে তখনই কে কত দিন দুনিয়ায় থাকবে, কী পরিমাণ রিজিক পাবে, সৎকর্ম করবে কি না, হজ করতে পারবে কি না—এ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়ে যায়।’
কবুল হজের ফজিলত বর্ণনা করে ড. খালিদ বলেন, ‘কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। হাজিদের আল্লাহ সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ করে দেন।’
উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের মধ্য হতে আজ দুটি ব্যাচে সাত শতাধিক হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।

ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব
অনলাইন ডেস্ক

এক দশকের বেশি সময় পর ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। আগামী ১৭ এপ্রিল দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বেলোচ ঢাকায় পৌঁছবেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন সূত্রে তা জানা গেছে। এ সফরে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জানা যায়, আমনা বেলোচের এ সফর মূলত দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক পরামর্শ বা ফরেন সেক্রেটারি লেভেল কনসালটেশনের অংশ হিসেবে হচ্ছে। এ সফর দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
সূত্রটি উল্লেখ করে, এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসেই ঢাকা সফরে আসছেন। তিনি বলেন, তাদে সফর নিশ্চিত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তার সফরের তারিখ জানাতে পারব।
উল্লেখ্য, ইসহাক দারের এই ঢাকা সফর হবে ২০১২ সালের পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।