<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ থেকে শতবর্ষ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম সাহিত্য সমাজ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠার পটভূমিতে ছিল বাংলার হিন্দুদের কলকাতাকেন্দ্রিক জাগরণ, ইউরোপের রেনেসাঁস, তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক বিপ্লব। কামাল আতাতুর্কের বিপ্লব দুনিয়াব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বিপ্লব-উত্তর রাশিয়ার ক্ষমতাসীন লেনিনও কামাল আতাতুর্কের বিপ্লবী ভূমিকার ও তুরস্ককে একটি আধুনিক রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার সফল প্রচেষ্টাকে অভিনন্দিত করেছিলেন। ঢাকার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম সাহিত্য সমাজ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চেষ্টা করেছিল বাংলার মুসলমানদের মধ্যে চিন্তাচর্চার ও সাহিত্য সৃষ্টির আগ্রহ জাগাতে এবং হিন্দু ও মুসলমানদের মিলিত চেষ্টা দ্বারা জাতি গঠনের ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলতে। বাঙালি মুসলমানদের মনকে তারা অন্ধবিশ্বাসের দুর্গ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন চিন্তাশীলতায় উন্নীত করতে চেয়েছিল। তাদের আন্দোলন পরিচিত হয়েছিল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামে। মুসলিম লীগের পাকিস্তান আন্দোলন যখন খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তখন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম সাহিত্য সমাজে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, আওয়ামী লীগের ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম সাহিত্য সমাজে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র চেতনা। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সব কিছু বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যায়। এখন সর্বজনীন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হলে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের সব আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসের পুনর্বিবেচনা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে প্রগতিমনস্ক সবার মধ্যে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের শতবর্ষ উদযাপনের আন্তরিক তাগিদ ও কার্যক্রম দরকার। বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে (১৯০৫-১১) যখন ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রহিত করে, পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে একীভূত করে, নতুনভাবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি বা বাংলা প্রদেশ গঠন করে, তখন বাংলায় মুসলিম লীগ নেতাদের অসন্তোষ রোধ করার জন্য মুসলমান বাঙালিদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির কথা বলে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। যুদ্ধের পর জেলায় জেলায় হিন্দু জমিদার-মহাজনদের ও কিছু হিন্দু বুদ্ধিজীবীর তীব্র বিরোধিতার মধ্যে ১৯২১ সালে ব্রিটিশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। সে বছর পয়লা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস আরম্ভ হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও সেকালের রাজনীতির ইতিহাস অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ ও ব্রিটিশ সরকারের ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসির স্বরূপ বোঝার জন্যও তৎকালীন ঘটনাবলি অত্যন্ত সহায়ক। ব্রিটিশ সরকার যা চেয়েছে, তা-ই সফল করেছে। বাংলার মুসলমানদের মধ্যে নানা ঐতিহাসিক কারণে উচ্চশিক্ষিত লোকের সংখ্যা ছিল একান্তই ক্ষুদ্র। তবে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে পূর্ব বাংলায় উচ্চশিক্ষার প্রতি এবং সব পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ বিরাটভাবে বেড়ে যায়। মুসলমান সমাজেও উচ্চশিক্ষার প্রতি এবং সাধারণ স্কুল শিক্ষার প্রতিও আগ্রহ জোরদার হতে থাকে। মাদরাসা শিক্ষিত আলেমদের দিক থেকে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষিত লোকদের প্রতি জনসাধারণের আগ্রহ বেড়ে চলে। বাংলার হিন্দু সমাজে বিবেক ও যুক্তি অবলম্বন করে জীবনজগেক  বোঝার চেষ্টা সূচিত হয় রামমোহনের ধর্ম সংস্কার ও সমাজ সংস্কারের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। বিদ্যাসাগর, অক্ষয় কুমার দত্ত, ইয়ং বেঙ্গল দল, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী, শরত্চন্দ্র প্রমুখের চিন্তা ও কর্মের মধ্য দিয়ে ঘটে এক রেনেসাঁস। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলার হিন্দু সমাজ ও মুসলমান সমাজ একই শাসনব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করলেও ধর্মীয় ভিন্নতার কারণে সংস্কৃতির দিক দুই ভিন্ন ধারা ধরে অগ্রসর হয়েছিল। সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে বাংলার হিন্দু ও মুসলমানদের বিরোধের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হলেও বিরোধ সংঘাত-সংঘর্ষের রূপ প্রায় নেয়নি। বিভিন্ন ধারার মঙ্গলকাব্য, চৈতন্যজীবন অবলম্বন করে রচিত তত্ত্ব গ্রন্থগুলোতে এই বিরোধ ও আনুষঙ্গিক নানা বিষয়ে অনেক কিছু জানা যায়। ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ইংরেজ শাসকদের ভূমিকা ছিল প্রবল। হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যকার বিরোধের মধ্যে কাজ করেছে ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকা। লর্ড ওয়াভেল ও লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্যে ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগ হয়, পাঞ্জাব ভাগ হয়, ভারত ভাগ হয় এবং স্বাধীন পাকিস্তান ও স্বাধীন ভারত প্রতিষ্ঠিত হয়। হিন্দু সম্প্রদায় ও মুসলমান সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="আজও প্রাসঙ্গিক বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন" height="261" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/01-10-2024/Untitled-1.jpg" style="float:left" width="321" />জিন্নাহ ও নেহরু কেউই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাননি। সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মপরায়ণতার মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে না পারলে ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালের রাজনীতিকে বোঝা যাবে না। ইংরেজ শাসকরা সেদিন সাম্প্রদায়িকতাবাদ </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">communalism) </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> দিয়ে জাতীয়তাবাদকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">(nationalism)  </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আড়ালে রেখেছিল। তারা জাতীয়তাবাদের জায়গায় সাম্প্রদায়িকতাবাদকে প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং জিন্নাহ ও নেহরু তা মেনে নিয়েই বাংলা, পাঞ্জাব ও ভারতকে বিভক্ত করার বাস্তবতা সৃষ্টি করেছিলেন। ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৭৭ বছরের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এবং গোটা পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, অনেক সমস্যার সমাধান হয়নি, নতুন অনেক সমস্যা সামনে এসেছে। তবে ধর্ম, জাতি ও রাষ্ট্র নিয়ে গুরুতর কিছু সমস্যা রয়ে গেছে এবং এগুলোতে ঘটেছে অনেক বিকার-বিকৃতি। এগুলোর সমাধান করতে হলে ইতিহাসকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। জাতি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">(nation), </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> রাষ্ট্র, জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ ইত্যাদি নিয়ে পরিচ্ছন্ন ধারণা লাভ করতে হবে। পরিবর্তন ও প্রগতির ধারণাকে বুঝতে হবে। কবি রবীন্দ্রনাথ মানববাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে অনেক কথা লিখেছেন। সেগুলোর গুরুত্ব স্বীকার করতে হবে। আমাদের অবলম্বন করতে হবে বিজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি। আজ ঢাকার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম সাহিত্য সমাজ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সম্পর্কে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। বর্তমান অতীতের সৃষ্টি ও ভবিষ্যতের স্রষ্টা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই কথার তাৎপর্য বুঝতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমরা লাভ করেছি, তাতে ইতিহাসের গুরুত্ব উপলব্ধির পরিচয় পাওয়া যায় না। এখানে চলমান কালের একটি ক্ষুদ্র পরিসরে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও এগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আরো কিছু বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করা হয়। সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি দুর্গম। ইতিহাসের নামে অনেক মনগড়া বক্তব্যও প্রকাশ করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও উত্তরকালের ইতিহাস সন্ধান করলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপক ও গভীর হবে এবং আমাদের ইতিহাস চেনার ব্যাপকতা ও গভীরতা দেখা দেবে এবং আমাদের প্রায় দেড় হাজার বছরের ইতিহাসের দিকে প্রখরিত হবে। ঢাকার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সম্পর্কে বাংলা ভাষার দেশে নবচেতনা দেখা দেবে। সেটা হতে পারে ব্যাপক ও গভীর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবুল হুসেন, কাজী আবদুল ওদুদ, কাজী মোতাহার হোসেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী, আবুল ফজল, আবদুল ফকির প্রমুখের চিন্তাধারা ও কর্মের প্রতি দৃষ্টি দিলে তা আমাদের চিন্তা-চেতনাকে জাগ্রত ও অনুশীলনমুখী করবে। এই রকম বহুবিধ কারণ রয়েছে, যেগুলো বর্তমান সময় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তা-চেতনাকে জাগ্রত ও কার্যকর করবে। এ জন্যই আমরা চাই শতবর্ষ উপলক্ষে এ বিষয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানাদি ও লেখার মাধ্যমে আমাদের চিন্তাধারা ও সৃষ্টিশীলতাকে শাণিত করতে। কেবল ঢাকায় নয়, ঢাকার সঙ্গে সারা বাংলাদেশে এই উদযাপনের সৃষ্টিশীল দৃষ্টান্ত তৈরি হোক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সৃষ্টিশীল চিন্তাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p> <p> </p>