<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে নানা ধরনের সংস্কার সেরে নিতে চাচ্ছে। কারণ রাজনৈতিক সরকারগুলোর সময়ে সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণের প্রবণতা খুব স্পষ্ট ছিল। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ন্যায় প্রতিষ্ঠা কঠিন ছিল। তাই জনকল্যাণমুখী সংস্কার করে তার কাঠামো যাতে রাজনৈতিক সরকার অনুসরণ করতে বাধ্য থাকে, এরই একটি প্রচেষ্টা যেন! এসব সংস্কারের সঙ্গে আমরা যোগ করতে বলব ভবিষ্যতে কোনো সরকারই যাতে আর রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করতে না পারে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছোটবেলায় যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি, তখন দারুণ পুলিশভীতি ছিল। পুলিশের খাকি পোশাক, হাতে লাঠি, কাঁধে রাইফেল আমার ভয়ের প্রধান কারণ। আমাদের স্কুলে যাওয়ার পথে একটি পুলিশ ফাঁড়ি ছিল। এখনো আছে। সে সময় রিকশায় করে স্কুলে নেওয়ার বিলাসিতা অনেক পরিবারেরই ছিল না। আমাদেরও ছিল না। তাই হেঁটেই যেতে হতো। মনে পড়ে, আসা-যাওয়ার পথে পুলিশ ফাঁড়িটি নজরে আসতেই বুক ধক করে উঠত। চোখ প্রায় বন্ধ করে কোনোভাবে ফাঁড়ি এলাকা পার হতাম। একই কারণেই সম্ভবত খাকি পোশাক পরা পাটকলের দারোয়ানকেও ভয় পেতাম পুলিশ ভেবে। পরে শৈশবেই ধীরাজ ভট্টাচার্যের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন পুলিশ ছিলাম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বইটি পড়ি। মনে করি, এ সময় থেকেই পুলিশের প্রতি ভয় কাটতে থাকে। পুলিশকে মানবিক মানুষ হিসেবে দেখতে থাকি। অনেক দিন থেকেই আমাদের সাহিত্যে, চলচ্চিত্রে, নাটকে কখনো কখনো পুলিশকে খলচরিত্রে দেখানো হয়। উপস্থাপন করা হয় দুর্নীতিপরায়ণ হিসেবে। সাহিত্যে জীবনের ছবিই প্রতিফলিত হয়। হয়তো ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ আছে বলেই কোনো কোনো পুলিশ সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকতে পারেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="পুলিশের রাজনৈতিক ব্যবহার আর দেখতে চাই না" height="290" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/27-12-2024/1.jpg" style="float:left" width="323" />অনেক বছর আগের কথা। বিশেষ প্রয়োজনে সাভার থানায় যেতে হয়েছিল। এর আগে থানায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। আমার প্রয়োজন ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলা। তিনি বিশেষ কাজে বাইরে ছিলেন। চলে আসবেন। পরিচয় জেনে এসআই পদমর্যাদার একজন সমাদর করে বসালেন। চা খেতে খেতে কথা বলছিলাম। গরমের দিন। ঘরে একটি বৈদ্যুতিক পাখা ছিল। নষ্ট থাকায় থেমে আছে। আসবাবের অবস্থা ভালো না। জোড়াতালি দেওয়া। অনেকটা দীনহীন অবস্থা। জানলাম এসবের সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজন মেটাতে পারে না। বুঝলাম অপরাধীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে প্রয়োজন মেটাতে হয়। তা ছাড়া দায়িত্ব অনুযায়ী পুলিশের বেতন ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সম্মানজনক নয়। এসব কারণ সম্ভবত কোনো কোনো পুলিশ সদস্যকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে পুলিশকে নেতিবাচক চরিত্রে উপস্থাপন করার সুযোগ নেই।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশের প্রতি বড় শ্রদ্ধা তৈরি হলো মুক্তিযুদ্ধের সময়। ২৫ মার্চ রাতেই রাজারবাগে পুলিশের যে বীরোচিত ভূমিকা রাখার কথা জেনেছি, তাতে পুলিশের দেশপ্রেমিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পুলিশের প্রতি আমার মনে শ্রদ্ধার আসন অনেক বেড়ে গেছে। তাই কখনো যখন পুলিশ সদস্যদের কোনো বড় স্খলনের কথা সামনে আসে, তখন খুব কষ্ট পাই। মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া বীর পুলিশ সদস্যদের কথা ভেবে ভীষণ বিব্রত হই।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিব্রত হওয়ার মতো উপাদানও বাড়ছে প্রতিদিন। সমাজে যখন স্খলন শুরু হয়, তখন তা ওমিক্রনের চেয়েও দ্রুত যেন ছড়িয়ে পড়ে। মাস্ক না পরলে যেমন ওমিক্রন ছড়ানো কমানো যায় না, তেমনি শাসন না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক স্খলনও কমানো যায় না। সেই পুরনো কাল থেকেই পুলিশ ও ঘুষ দুটি শব্দই পাশাপাশি ছিল। কিন্তু তা সর্বপ্লাবী ছিল না। ভালোদের মাঝে মন্দ খুঁজে বের করতে হতো। এখনকার পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব নয়, তবে দুর্নীতির রকমফের দেখা যায় অথবা ভুক্তভোগীদের মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে। পথে আমরা যারা গাড়ি নিয়ে বের হই, তারা ট্রাফিক পুলিশ, সার্জেন্টদের হাত পাতা তো দেখতেই পাই। ক্ষমতা আছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নানা ছুতানাতা তৈরি করে কেস দেওয়ার হুমকি আছে। নেই শুধু বন্ধুর মতো সহযোগিতা করার সৌন্দর্য। অবশ্য এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। থানা নিয়ে তো নানা কথা আছে। কেউ অপরাধ করে বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে থানায় আটক হলে পরিবারের লোকজনের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। মারধর কমানোর জন্য, নরম চার্জশিট দেওয়া ইত্যাদিসহ নানা কারণে নাকি রফা করতে হয়। প্রায়ই কাগজে বেরোয় মাদক দমনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে মাদক বণিক হিসেবেও পুলিশের নাম আসে। এমন তালিকা অনেক বড়। বলে জায়গা নষ্ট করতে চাই না। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, এর সব কিছুই গুজব বলে প্রমাণিত হোক। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব তথ্যই যে নির্ভেজাল, বলা যাবে না। কিন্তু কিছু স্পর্শকাতর বিষয় বেশ ঘটা করে প্রচারিত হচ্ছে। পুলিশের বড় কর্তাদের নিয়ে নানা ধরনের কেচ্ছাও থাকছে সেখানে। বেনজীরের মতো দুর্নীতির নজির অনেক পুলিশ কর্মকর্তা রেখে সমাজের মানুষের সামনে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন। এটি মানতে হবে, পুলিশ বাহিনীর ভেতর হয়তো সৎ ও বিবেকসম্পন্ন সদস্যের সংখ্যাই বেশি। এসব প্রচারণায় তারা বেশ বিব্রত। ছোট্ট আয়তনের দেশ আমাদের। অনেকেই আমরা অনেককে কাছে থেকে চিনি। তাই সাধারণ মানুষের চোখে অনেক অন্ধকারই স্পষ্ট হয়। আমরা মনে করি, এসবের বিরূপ প্রতিফলন বিগত সরকারগুলোর ওপরও কোনো না কোনোভাবে বর্তায়। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়াতে গিয়ে একজন অসাধারণ মেধাবী ছাত্রকে পাই। ও প্রায় দিনই ক্লাসের পর সুযোগ পেলে আমার কাছে আসত। নানা বিষয়ে কথা হতো। প্রচুর পড়াশোনা করত সে। আমার কাছ থেকে অনেক বইয়ের খোঁজ নিত। ওর কাছ থেকেও অনেক বইয়ের সন্ধান পেতাম। কথায় বুঝতাম দেশের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ওর। ছেলেটির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষের দিকে তখন। ও জানাল, বিসিএস পরীক্ষা দেবে। আমার পরামর্শ ও পরিচর্যা চায়। আমাকে বিস্মিত করে জানাল, ওর একমাত্র লক্ষ্য পুলিশ ক্যাডারে চাকরি করা। কারণ জানতে চাইলাম। বলল, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্যার, মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগে পুলিশের বীরত্বগাথা আমাকে গর্বিত করে। যখন নানা কারণে পুলিশের প্রতি মানুষ নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে, আমার তখন খুব খারাপ লাগে। আমি চাই, পুলিশে যোগ দিয়ে পুলিশের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ায় ভূমিকা রাখতে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ওর কথায় আমি আপ্লুত হয়েছিলাম। ছাত্রটির লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। জানলাম, উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন মুলুকে হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শেষ করে কয়েক বছর আগে দেশে ফিরেছে। এখন পুলিশের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ দেশে রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার পর্যন্ত কোনো সরকারই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে প্রশাসনের সর্বত্র। ক্ষমতার রাজনীতি কলুষিত করছে চারপাশের সব প্রতিষ্ঠানকে। সব পর্বে ক্ষমতাসীনরা পুলিশ প্রশাসনকে তাদের রাজনীতির হাতিয়ার বানাতে চেয়েছে। ভেতরে ভেতরে রাজনৈতিকীকরণও সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের উচ্চতর পদে পদ-পদায়ন, পদোন্নতিতে নাকি রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পেত। এতে বৃদ্ধি পায় পারস্পরিক ক্ষোভ ও হতাশা। রাজনৈতিকীকরণের কুফল চারিত্রিকভাবে দুর্বল করে দেয় পুলিশকে। এর দীর্ঘ কুপ্রভাব বয়ে বেড়াতে হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানকে। জুলাই গণ-আন্দোলনে এর ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ করেছি। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একসময়ের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপারেশন ক্লিনহার্ট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আর অন্য সময়ের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রসফায়ার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নির্দেশনায়ই হতো। ফলে এহেন নির্দেশ পালনকারী চাইলে ক্ষমতাসীন নির্দেশদাতাদের কাছ থেকে পাঁচটি অবৈধ সুযোগ লাভ করতে পারে। পুলিশকে অনেক কাল ধরে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলনের হাতিয়ার হিসেবে। এর পথ ধরে গ্রেপ্তার বাণিজ্য-ঘুষ বাণিজ্যের কথা আজকাল অনেক বেশি পল্লবিত হচ্ছে। সৎ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা এসব কারণে মানসিক পীড়নে ভুগছেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেক স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ড নিকট অতীতে ঘটেছে, যার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এর পেছনে তিনটি কারণের কথা অনেকেই বলে থাকে। এক. রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব; দুই. পুলিশের দুর্নীতিপরায়ণতা এবং তিন. পুলিশের সঠিক প্রশিক্ষণের অভাব। এসব কারণে আমাদের সামনে পুলিশি নিরাপত্তার বিষয়টি দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু সত্যি কি আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনী এতটা দুর্বল? পুলিশের উল্লেখ করার মতো অনেক সাফল্য আছে। তাহলে কি পুলিশ বাধ্য হচ্ছে ব্যর্থতার কলঙ্কতিলক কপালে পরতে? </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের ধারণা, পুলিশি শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে গিয়ে পুলিশের ভেতরের নৈতিক ও আদর্শিক জায়গাটিকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। এভাবে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে গিয়ে বিনিময়ে তাদের নৈতিক স্খলনকে প্রশ্রয় দিতে হয়েছে শাসকদলগুলোকে। ফলে শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে পুলিশকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। দুর্নীতিপরায়ণ করে ফেলা হয়েছে। এর ফল কখনো ভালো হতে পারে না। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা মনে করি, বিশেষ সংকটে বিজিবি, র‌্যাব ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সাংবৎসর যারা ভূমিকা রাখবেন, তারা হচ্ছেন আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্য। এই পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার বন্ধ না করলে দৃঢ় ও আদর্শিক পুলিশ আমরা পাব না। প্রত্যাশা থাকবে, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক সরকার গঠনের আগে পুলিশি সংস্কার এমনভাবে করবে, যাতে এই বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ অনেকটা কমে যায়।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"> </p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">shahnawaz7b@gmail.com</span></span></span></span></p> <p> </p>