<p style="text-align:justify">‘চলো হারাই শৈশবে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরের পদ্মা নদীর পারে ঘুড়ি উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষের ঢল নামে। বর্ণাঢ্য এই উৎসবে ফরিদপুর জেলা ছাড়াও আশপাশের কয়েক জেলার প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। </p> <p style="text-align:justify">শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকার বালুর চরে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা। </p> <p style="text-align:justify">নীল আকাশকে বর্ণিল করে তোলা পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে হাজার হাজার মানুষ। আকাশে এক সুতায় শত ঘুড়ি, ড্রাগন, কঙ্কাল, সাপ, স্টার, চিল, বাদুড়, অক্টোপাস ও বক্সসহ বাহারি রঙের ঘুড়ি। অষ্টমবারের মতো ব্যতিক্রমী উৎসবের আয়োজন করে ‘ফরিদপুর সিটি পেইজ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।</p> <p style="text-align:justify">উৎসবে জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজারো প্রতিযোগী বিভিন্ন আকৃতির ও রঙের ঘুড়ি নিয়ে উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তিন বিজয়ীকে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এতে প্রথম পুরস্কার ২৪ ইঞ্চি এলইডি স্মার্ট টিভি পেয়েছেন রাজবাড়ির কৃষ্ণ সনাদয়, দ্বিতীয় পুরস্কার মাইক্রোওভেন পেয়েছেন ফরিদপুরের লালন খান মিরান এবং তৃতীয় পুরস্কার গ্যাসের চুলা পেয়েছেন ফাহিম ইসলাম। </p> <p style="text-align:justify">ঘুড়ি উৎসবে আসা রাশিয়া বেগম বলেন, ঘুড়ি উৎসবে এসে অনেক ভালো লেগেছে। প্রথমবারের মতো ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। এ ধরনের আয়োজন দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। </p> <p style="text-align:justify">কলেজ শিক্ষার্থী ঐশি জানায়, বান্ধবীদের সঙ্গে এখানে এসেছি। শুধুই শুনেছি এই ঘুড়ি উৎসবের কথা। সরাসরি দেখতে এসে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমিও ঘুড়ি উড়িয়েছি।</p> <p style="text-align:justify">ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ঘুড়ি আমাদের বাঙালিদের ঐতিহ্য। আর এটাকে সারা বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন। এ উৎসব আমাদের তরুণ সমাজকে মাদকের প্রবণতা থেকে দূরে রাখবে। একইসঙ্গে অপরাধও কমবে। </p>