ভাইভা অভিজ্ঞতা

ফার্মেসি পড়ে কেন পররাষ্ট্র ক্যাডারে আসতে চান?

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন সাদিয়া চৌধুরী। তিনি ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমানে নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
ফার্মেসি পড়ে কেন পররাষ্ট্র ক্যাডারে আসতে চান?
সাদিয়া চৌধুরী

এক্সটার্নাল-১ : (ক্যাডার চয়েস দেখে) ফার্মেসি পড়ে কেন পররাষ্ট্র ক্যাডারে আসতে চান?

—আমি এক বছর ওষুধ কম্পানিতে চাকরি করেছি। তখন মনে হয়েছে, আরো বড় পরিসরে কাজ করতে চাই। এ জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিসিএসের জন্য পড়াশোনা শুরু করেছি।

বিআরআই কী?

—চীনা নেতৃত্বাধীন বড় ধরনের অবকাঠামোগত প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বা বিআরআই।

এটি কেন করা হয়েছে?

—মূলত বাণিজ্য ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির জন্য। এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বও অনেক।

 

এক্সটার্নাল-২ : টিআরআইপিএস কী?

—টিআরআইপিএস হলো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকারের বাণিজ্য সম্পর্কিত দিকগুলোর চুক্তি। এর পূর্ণরূপ Trade Related Aspects of Intellectual Property Rights|

এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে ওষুধ খাতে কী সমস্যা হবে?

—বর্তমানে ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে যে বিশাল মূল্যছাড় পাচ্ছি সেটা আর পাব না।

ফলে ওষুধের দাম অনেক বেড়ে যাবে।

এই সমস্যার সমাধানে আমরা কী করছি?

—এলডিসি থেকে উত্তরণ হলেও ওষুধের ক্ষেত্রে মূল্যছাড়ের সুবিধাটা যেন আরো কয়েক বছর থাকে, সে জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জে এপিআই (ওষুধের কাঁচামাল) পার্ক তৈরি হচ্ছে। পররাষ্ট্র ক্যাডার হলে কী করবেন?

—স্যার, কী ধরনের কাজ করব, এটা মূলত আমার পোস্টিং কোথায় হবে সেটার ওপর নির্ভর করবে...

(স্যার থামিয়ে দিয়ে) বলো, Innovation, Invention Avi Discovery কী?

—স্যার, Innovation হলো কোনো সমস্যা সমাধানের নতুন কোনো আইডিয়া, এর মাধ্যমে আগের চেয়েও সহজে কোনো কাজ করা যাবে।

Invention হলো এমন কোনো কিছু নতুনভাবে আবিষ্কার করা, যা আগে ছিল না। যেমন—নতুন কোনো টিকা আবিষ্কার। আর উরংপড়াবৎু হলো, যার অস্তিত্ব আগে থেকেই ছিল, কেবল নতুনভাবে খুঁজে বের করা। যেমন—কোনো দুর্গম জায়গায় মানুষ প্রথমবার গিয়ে নতুন কোনো ঔষধি গাছ খুঁজে পেলে সেটা হবে Discovery।

‘তথ্য আপা’ কী?

—এটি আইসিটি খাতে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত একটি প্রকল্প।

বাংলাদেশের কয়টি আন্ত সীমান্ত নদী আছে?

—৫৪টা। ৫৩টি ভারতের সঙ্গে আর ১টি মায়ানমারের সঙ্গে।

 

চেয়ারম্যান : ড্রাগ ও মেডিসিনের পার্থক্য কী?

—যেকোনো পদার্থ যা আমাদের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা বিশেষ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডোজে গ্রহণ করা হয়, সেটা মেডিসিন। আর সেই একই পদার্থ অপরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে সেটাকে বলা হয় ড্রাগ।

ডোজ কী?

—ডোজ হচ্ছে ওষুধ গ্রহণের নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রা, যা ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।

ইমালশন কী?

—ওষুধের তরল অবস্থা মূলত ৩ প্রকার। এর একটি হচ্ছে ইমালশন।

ওটিসি ড্রাগ কী?

ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ, যা কেনার জন্য চিকিৎসকের ব্যাবস্থাপত্রের প্রয়োজন হয় না।

মাল্টি ড্রাগ রেসিসট্যান্স কী?

—এটা মূলত অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে দেখা যায়। যখন কোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও নিয়ন্ত্রণ হয় না।

অনেকে দেশি ওষুধে আস্থা রাখে না কেন?

—স্যার, এটা আমাদের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। অন্যান্য অনেক দেশি পণ্যে ভেজাল থাকে বলে আমরা ধরে নিই দেশে তৈরি ওষুধও খারাপ। কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে বলতে পারি, আমাদের ওষুধের গুণগত মান খুবই ভালো। এখন ১৫৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

ঠিক আছে, আসুন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার

৩৩৫ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নেবে পিডিবিএফ

    সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে ৩৩৫ জন নিয়োগ দেবে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)। সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকতা পদে আবেদন করতে হবে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে। কাজের ধরন, নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ আবেদনের দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
৩৩৫ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নেবে পিডিবিএফ

আবেদনের যোগ্যতা ও বেতন-ভাতা

অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ বাণিজ্যে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। হিসাব ব্যবস্থাপনার কাজে পারদর্শী হতে হবে। সব বিভাগ ও জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা আবেদন করতে পারবেন।

৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। বয়স নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিধি অনুসরণ করা হবে। পিডিবিএফ-এ কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য হবে। নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১১তম গ্রেডে ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা স্কেলে প্রারম্ভিক মাসিক বেতন পাবেন।
পরে অন্যান্য সুবিধাও যুক্ত হবে।

 

সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্ব

সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা মূলত উপজেলা পর্যায়ের গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের ঋণ বিতরণ ও আদায়ের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ রাখতে হয়। সুবিধাভোগীদের সঞ্চয় সংগ্রহের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ ও ডেটাবেইসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড রাখা, আর্থিক রিপোর্ট তৈরি ও বিশ্লেষণে সহায়তা করাও তাঁদের দায়িত্ব।

এ ছাড়া দাপ্তরিক অন্যান্য আর্থিক দায়িত্বও পালন করতে হয়।

 

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা নিয়োগ বিধি অনুসারে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমসিকিউ অথবা রচনামূলক পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষায় ৮০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে।  শুরুতেই লিখিত এবং পরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিধি অনুযায়ী প্রার্থীকে উভয় পরীক্ষায়ই পাস করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীর প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র নিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, হিসাববিজ্ঞান, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। গদ্য-পদ্য অংশ থেকেও প্রশ্ন থাকতে পারে। রচনামূলক পরীক্ষার জন্য অনুচ্ছেদ, লেটার রাইটিং, রচনা লেখার প্রস্তুতি রাখতে হবে। ইংরেজি অংশে গ্রামার থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। তাই গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বেশি পড়তে হবে। রচনামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে লেটার রাইটিং, প্যারাগ্রাফ, রচনা লেখার প্রস্তুতি রাখতে হবে। হিসাববিজ্ঞানে নবম ও দশম শ্রেণির বই অনুসারে শর্ট ও ব্রড দুই পদ্ধতির অঙ্কগুলো বেশি বেশি চর্চা রাখতে হবে। গণিত অংশে পাটিগণিত ও বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো অনুশীলন করতে হবে। সাধারণ জ্ঞানে জাতীয় ও আন্তর্জার্িতক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাধারণ জ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক বা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদের বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে অনুশীলন করলে পরীক্ষার বিষয়ে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। এই পদের জন্য বাজারে সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলো প্রস্তুতিতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখবে।

 

অনলাইনের লিংক

http://pdbf.teletalk.com.bd

 

মন্তব্য
পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

সমবায় অধিদপ্তরে শূন্যপদ ৫১১টি

    ১৭ ধরনের পদে ৫১১ কর্মী নিয়োগ দেবে সমবায় অধিদপ্তর। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জনবল নেওয়া হবে অফিস সহায়ক, অফিস সহকারী ও সহকারী পরিদর্শক পদে। আবেদনের শেষ তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২৫। নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
সমবায় অধিদপ্তরে শূন্যপদ ৫১১টি

বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ

২০২১ সালের সহকারী পরিদর্শক, সহকারী প্রশিক্ষক, সাঁট মুদ্রাক্ষরিকসহ তৃতীয় শ্রেণির পদগুলোতে ৭০ নম্বরে লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। একই বছর সহকারী ফিল্ড অপারেটর, অফিস সহায়কসহ চতুর্থ শ্রেণির বেশ কিছু পদে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন ছিল। এর মধ্যে বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২০ ও সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বরের প্রশ্ন রাখা হয়েছিল।

২০২৩ সালের সহকারী পরিদর্শক পদের পরীক্ষা ছিল ৫০ নম্বরে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। সময় ছিল ৫০ মিনিট। এ ছাড়া ২০২৩ সালের চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতেও এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ছিল। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ কর্তৃপক্ষ এবারের নিয়োগ পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেবে, তা আবেদনপ্রক্রিয়া শেষে সিদ্ধান্ত নেবে।  

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

তৃতীয় শ্রেণির পদগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে। চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোর ক্ষেত্রে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে। চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোর ক্ষেত্রে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হয়।

উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্ঞানে সমসাময়িক বিষয়াবলিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ওপর প্রশ্ন থাকে।

 

বাংলা : বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বানান, রিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, সন্ধি, সমাস, কারক, অনুচ্ছেদসহ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য থেকেও প্রশ্ন আসে।

ইংরেজি : Number, Gender, Article, Preposition, Right form of verb, Changing sentence, Phrase, Spelling, Translation থেকে প্রশ্ন থাকে।

গণিত : পাটিগণিত ও বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন থাকবে।

সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিতের সরল, সুদকষা, শতাংশ, ঐকিক বিষয় এবং নবম শ্রেণির বীজগণিতের উৎপাদক বিশ্লেষণ ও মান নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণ জ্ঞান : সাধারণ জ্ঞানে জাতীয় ও আন্তর্জার্িতক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। বিশেষ করে সমসাময়িক ইস্যু, ভৌগোলিক বিষয়াবলি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, যুদ্ধ-সংঘাত, বিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ নানা আলোচিত ইস্যুতে পর্যাপ্ত পড়াশোনা ও জানাশোনা থাকতে হবে।

 

পদের সংখ্যা

পরিদর্শক পদ ৩৪টি, মহিলা পরিদর্শক ১টি, প্রশিক্ষক ১৬টি, ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর ১৯টি, কম্পিউটার ২টি, সহকারী পরিদর্শক ১০৫টি, মহিলা সহকারী পরিদর্শক ২টি, সহকারী প্রশিক্ষক ১১টি, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক-কাম- কম্পিউটার অপারেটর ২টি, ড্রাইভার/ফিল্ম ভ্যান ড্রাইভার ৬টি, তাঁত সুপারভাইজার ৫টি, ক্যাশিয়ার ৪টি, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ১০৮টি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ১টি, সহকারী ফিল্ম অপারেটর ২টি, নৈশ প্রহরী ৪টি এবং অফিস সহায়ক ১৮৯টি; এসএসসি বা সমমান পাস।

 

বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন লিংক

http://coop.teletalk.com.bd

 

মন্তব্য

অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার পদে চাকরির সুযোগ

    গত দুই মাসে অর্ধশতাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ পদের আবেদনপ্রক্রিয়া এখনো চলমান। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শক রবিউল আলম লুইপা
শেয়ার
অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার পদে চাকরির সুযোগ

কোথায় কেমন সুযোগ-সুবিধা

চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তো আছেই। সামনে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীরা কাজের ধরন, একাডেমিক বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যতার চেয়েও কাজের পরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধাকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনেকে এমন বিষয় মাথায় রেখে বেছে বেছে আবেদন করেন।

এরই মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন, এমন প্রার্থীরাও নতুন আবেদনের সময় প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাকে গুরুত্ব দেন। যাঁদের আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি ভালো, তাঁরা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদগুলোতে আবেদন করতে পারেন।

 

কোন পদে আবেদন করবেন

অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার পদে চাকরির সুযোগঅনেক প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে আবেদন করা যায় না অথবা সব পদের পরীক্ষা একই সময়ে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের পদগুলোর মধ্যে ঠিক কোনটিতে আবেদন করা উচিত, এ নিয়ে প্রার্থীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন।

এখানে দুটো বিষয় বিবেচনা করা উচিত। ১. প্রার্থীর ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ৯ম বা ১০ম গ্রেড, নাকি ১১ থেকে ১৭তম গ্রেড। ২. প্রার্থীর চাকরির প্রস্তুতি কেমন। প্রস্তুতি ভালো থাকলে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদগুলোতে চেষ্টা করা উচিত।
তবে এটা ঠিক,  বর্তমানে ১১ থেকে ১৭ গ্রেডের চাকরিতে তুমুল প্রতিযোগিতা। চাকরি পেতে খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই যেকোনো পদের ক্ষেত্রে টিকতে হলে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ ও সক্ষমতা বিবেচনা করে সিদ্ধান্তটি নিন।

 

পরীক্ষা কবে হতে পারে

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জীবন বীমা করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কার্যক্রম খুব দ্রুত হয়।

এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাদের নিয়োগ কার্যক্রমও দ্রুত হবে। চলতি বছরের মধ্যেই এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা হতে ৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের পর চাকরিপ্রার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়ের কথা মাথায় রেখে রুটিন করে নিয়মিত প্রস্তুতি নিন।

 

পরীক্ষা পদ্ধতি

সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে ‘কম্পিউটার দক্ষতা’র পরীক্ষাও নেওয়া হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রথমে এমসিকিউ, এরপর সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন অধিদপ্তরের ১৩ থেকে ১৭তম গ্রেডের পদগুলোর পরীক্ষায় লিখিত (সংক্ষিপ্ত) ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বানান ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, ইংরেজি বাক্য রূপান্তর, চযধত্ধংব ধহফ রফরড়সং,, সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ভিত্তিক কম্পোজিশন ইত্যাদি পাঠ থেকে প্রশ্ন করা হয়।

 

নিয়োগ প্রস্তুতি

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়। ১. বিসিএস ধাঁচের প্রশ্ন। এখানে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, বর্ণনামূলক গণিত, সাধারণ জ্ঞান (ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা) প্রভৃতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২. ব্যাংক ধাঁচের প্রশ্ন। এখানে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা (জিম্যাটের মতো), শর্টকাট গণিত, সাধারণ জ্ঞান (সাম্প্রতিক)-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোনো চাকরিপ্রার্থী এই দুই ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পর তাঁকে আর আলাদা করে কোনো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে না। অর্থাৎ প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ভালো করতে পারবেন। অন্যদিকে যাঁরা মূল বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি না নিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রস্তুতি নেন, তাঁদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক প্রার্থীই পরীক্ষায় ভালো করেন! বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, খাদ্য অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে বিসিএস ধাঁচের প্রশ্ন এবং বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জীবন বীমা করপোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক ধাঁচের প্রশ্ন করা হতে পারে। নিয়োগ প্রস্তুতির জন্য বাজারে প্রচলিত বিসিএস ও ব্যাংকের বিষয়ভিত্তিক গাইড বই থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখলে প্রশ্নপত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এসব প্রশ্ন অনুশীলন করলে প্রস্তুতিও ভালো হবে।

 

বি. দ্র. চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে পদসংখ্যা ১০০ থেকে ১৭৯১টি। তুলনামূলক কম পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে আছে—জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৬৬), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৬৩), ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (৭৫), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (৫৫), বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড (৫০), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (৫০), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (৫৩), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (২৬), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় (২৮), সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর (১৭), রুরাল পাওয়ার কম্পানি (১২) এবং আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগ (৩৮)। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (১৩), জেলা প্রশাসকের কার্যালয়—মাগুরা (১৪), ঝালকাঠি (১৮), গোপালগঞ্জ (২০) এবং  বিভিন্ন জেলা জজের কার্যালয়ে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। সম্প্রতি আবেদনের সময় শেষ হয়েছে, এগুলোর মধ্যে আছে—সরকারি কর্ম কমিশন (১৮২৫), পরিসংখ্যান ব্যুরো, পানি উন্নয়ন বোর্ড (২৭৭), বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (১০৪), বিয়াম ফাউন্ডেশন (৬৭), কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (১০২), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (৫৪), ডাক জীবন বীমা, পূর্বাঞ্চল (৩০), জীবন বীমা করপোরেশন (৫৯) এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা (২৯)।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ