দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ড. খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ড. খন্দকার মোশাররফ

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায়ের আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। 

এদিন খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদালতে উপস্থিত হন।

এরপর তার উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। 

২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি রমনা থানায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সেনবাগ উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সেনবাগ উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক কারাগারে
প্রতীকী ছবি

ভূমি প্রতিকার ও প্রতিরোধ আইনের মামলায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, এ মামলায় মানিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় বাদীপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার শেখ মো. বাবুল হোসেন তার নামে থাকা সাড়ে ছয় কাঠা জমি জাহাঙ্গীর আলম মানিকের কাছে বিক্রি করেন।

তবে মানিক এই জমির পাশাপাশি আরো তিন কাঠা জমি দখলে নেন। এই জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে মানিক তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনার পর গত ১২ মার্চ ঢাকার আদালতে মানিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল হোসেন। ওইদিন আদালত এ মামলাটি গ্রহণ করে ৯ এপ্রিল আসামিদের হাজিরে সমন দেওয়া হয়।
তবে সমন পেয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মন্তব্য

তবু আনিসুরের এত দাপট!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তবু আনিসুরের এত দাপট!
সংগৃহীত ছবি

অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ২০১৭ সালে চাকরিচ্যুত করা হলেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ওয়াকফ এস্টেট পরিচালিত বাবুস সালাম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনিসুর রহমান আদালতের রায় অমান্য করে দায়িত্বপালন করছেন। বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।

জানা গেছে, ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ওয়াকফ এস্টেটের (ইসি নং-১৮৮৭১) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুতাওয়াল্লি ছিলেন সৈয়দ মুশতাক হোসেন। ২০০২ সালে ওয়াকফ প্রশাসনে আবেদনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়।

ওয়াকফ এস্টেটের মাদরাসার প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমানকে নানা অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ২০১৭ সালে কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় ওই বছরই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। কারণ দর্শানোর ও বরখাস্তের বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তৎকালীন মন্ত্রী ও ঢাকা-১৮ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের প্রভাব খাটিয়ে আনিসুরের অনুসারীরা ওয়াকফ এস্টেটের মুতাওয়াল্লি ও সভাপতি সৈয়দ মুশতাক হোসেনের ওপর হামলা চালায়। বাবুস সালাম ওয়াকফ এস্টেট মসজিদ, মাদরাসা ও মার্কেট দখল করে নেন আনিসুরের অনুসারীরা।
প্রতিষ্ঠানের ২০ বছরের মূল্যবান ফাইলপত্র চুরিও হয়। 

আরো পড়ুন
সাবেক আইজিপি ময়নুলকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ

সাবেক আইজিপি ময়নুলকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ

 

এরপর এস্টেটের অধীনস্থ বরাদ্দকৃত বৈধ মালিকদের ৯টি দোকান দখল করেন মাওলানা আনিসুর রহমান, মফিজ উদ্দিন বেপারী, ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাঈম, বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান আলী মন্ডল ও হাবীব হাছানসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় ওয়াকফের প্রতিষ্ঠাতা মুতাওয়াল্লি ঢাকার সিএমএম আদালতে মফিজউদ্দিন বেপারী, কাউন্সিলর নাঈম ও মাওলানা আনিসুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আদালত সিআইডিকে মামলাটিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সিআইডি ওয়াকফ প্রশাসন বরাবর ওই আসামিদের দোকান ভাড়া আদায়, চুক্তিপত্র বরাদ্দ অনুমতি ছিল কি না, তা যাচাইয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ওয়াকফ প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। পরে ওয়াকফ প্রশাসন সিআইডিকে জানায়, মামলার আসামিদের বাবুস সালাম ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনা, দোকান ভাড়া উত্তোলন ও চুক্তিপত্র বরাদ্দ বিষয় সংক্রান্ত কোনো অনুমতি দেয়নি তারা। 

পরে মাওলানা আনিসুর রহমান হাইকোর্টে দুটি রিট পিটিশন করেন। পরবর্তীতে রিট পিটিশন দুটি হাইকোর্ট খারিজ করে দেন। এই তথ্য গোপন করে পুনরায় ওয়াকফ প্রশাসনের করা ২০২৩ সালের ভাড়ার নোটিশের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করেন মাওলানা আনিসুর।

ওই রিট পিটিশন মামলায় ওয়াকফ্ ও অন্যান্য পক্ষসহ সকল বিবাদীপক্ষ মামলাটি খারিজের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত  ২০২৩ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নুরুজ্জামান ননীকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বেতন-ভাতায় স্টেট পরিচালনার জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আদেশ দেন। 

আরো পড়ুন
একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার ও সংসদ নির্বাচনে দাবি জেএসডির

একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার ও সংসদ নির্বাচনে দাবি জেএসডির

 

অভিযোগ আছে, আনিসুর রহমান আদালতের দেয়া ২০১৭ সালের আদেশ ও ওয়াকফ্ প্রশাসনের সকল আদেশ লঙ্ঘন করে ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এস্টেটের সকল খাতের আয়ের ১০ কোটি টাকা ওয়াকফ্ নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। পরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দোকান মালিক বিভিন্ন সময়ে থানা ও কোর্টে জাল- জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণার অভিযোগে মোট ১০টি মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। তারা সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিলও করে।  

এ ব্যাপারে মাদরাসার বর্তমান মোতাওয়াল্লী সৈয়দ মুশতাক হোসেনের আইন বিষয়ক প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আদালতের রায় পাওয়ার পরও আমরা মাদরাসায় গেলে গত ১ এপ্রিল কিছু ছাত্র এবং আওয়ামী পন্থী লোকজন দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। হামলায় ওয়াকফের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মোতায়াল্লী ও সভাপতি সৈয়দ মোশতাক হোসেন রতন এবং আমিসহ অনেকেই মারাত্মকভাবে আহত হই। পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মাদরাসায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন
আবুধাবিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময়

আবুধাবিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময়

 

ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, অবৈধ প্রিন্সিপাল মাওলানা আনিসুর রহমান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র আব্দুল্লাহ বিন যাহি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মাওলানা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি এবং এয়ারপোর্ট থাকায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাওলানা আনিসুর রহমানের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি এখন ফোনই ধরেন না। আনিসুরের একাধিক অনুসারী দাবি করছেন, আনিসুরের ওপর প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করছে।

মন্তব্য

চূড়ান্ত পর্যায়ে গণহত্যার ৪ মামলা, তদন্তে আরো ৩৫টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চূড়ান্ত পর্যায়ে গণহত্যার ৪ মামলা, তদন্তে আরো ৩৫টি

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর ৩৯টি অভিযোগে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ, মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারের হালনাগাদ তথ্যের এক প্রতিবেদন তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ২২টি মিসকেইস (বিবিধ মামলা) করা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্ত ১৪১ জন। প্রসিকিউশনের আবেদনে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা জারির পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৪ জনকে।

বাকি ৮৭ জন পলাতক। 

অভিযুক্ত ১৪১ জনের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তি আছেন ৭০ জন, পুলিশ সদস্য রয়েছেন ৬২ জন এবং সামরিক বাহিনীর ৯ জন সদস্য রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

এই সরকারে আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে আসিফ নজরুল ঘোষণা দেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা হবে। সে ঘোষণা অনুযায়ী প্রথমে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠনের পর ১৪ অক্টোবর রাতে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করার পর ১৭ অক্টোবর প্রথম বিচারকাজে বসেন পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক কাজের প্রথম দিনই শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে বিভিন্ন সময় ৯৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

চার মামলার তদন্ত প্রায় শেষ

তদন্তকাজের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলাসহ মোট চারটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষ বা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। এই চার মামলার অন্য তিনটি হচ্ছে- সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা, রাজধানীর চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা এবং রাজধানীর রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা ব্যক্তির ওপর গুলির ঘটনায় হওয়া মামলা। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এতে আরো বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এক হাজার জনের বেশি ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ভিডিওসহ ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে এক হাজারের বেশি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। এছাড়া গুমবিষয়ক তদন্ত কার্যক্রমে ঢাকা শহরের তিনটি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া জেলায় গুমের তিনটি কেন্দ্র (আয়নাঘর, হাসপাতাল, এলআইসি ইত্যাদি বিভিন্ন কোনডেমে পরিচিত) পরিদর্শন ও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা, সিলেট, রংপুরসহ ১৫টি জেলায় তদন্ত কাজ চালানো হয়েছে। তদন্তকাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসা পর্যায়ে চারটি গণশুনানি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ ব্যক্তিরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। থানা, হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দলিলপত্র পুড়িয়ে বা লুকিয়ে নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পলাতক সুবিধাভোগীরা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে তদন্ত কার্যক্রম এবং বিচার প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

বোমা হামলা-ষড়যন্ত্র

গুমের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে আয়নাঘর নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালা বা নির্যাতন কক্ষে টাইমারসহ বোমা উদ্ধারের কথা চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের আগেই জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং প্রসিকিউশন টিমের ওপর সরাসরি প্রাণঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা হয়েছে। প্রসিকিউটরদের সম্পর্কে গুজব ও ভূয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে জনমনে বিশেষ করে শহীদ পরিবারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত ও বিচারকাজ বাঁধাগ্রস্ত করতে বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনতে বিপুল টাকা ব্যায়ে ব্রিটেনের বিখ্যাত ‘ডটি স্ট্রিট চেম্বার’কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

মতবিনিময়সভায় প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাইমুম রেজা, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আইনজীবী অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আইনজীবী অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
ছবি : কালের কণ্ঠ

ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসনের মাধ্যমে ইসরায়েলির নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ হয়। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ মুসলিমবিশ্বের প্রাণকেন্দ্রে বিষফোড়ার মতো ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত থাকলেও এত দিনে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পূর্বের সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা না হলে একদিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মুছে যাবে। 

আরো পড়ুন
মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

 

তারা আরো বলেন, জাতিসংঘ, ওআইসি ও আরব লীগের মতো সংগঠনগুলো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু গাজা থেকে ফিলিস্তিনদের তাড়িয়ে সেখানে অবকাশ কেন্দ্র স্থাপনের কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফিলিস্তিনরা নিজ দেশেই এখন সবচেয়ে বড় মজলুমে শরণার্থী ও মজলুমে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মুসলমানরা তাদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা মুক্ত করতে একসময় জেগে উঠবে। আর সেই মুক্তিকামী আন্দোলনে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে। 

বিশ্বনেতাদের এক করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

 

আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিটের উদ্যোগে এ বিক্ষোভে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও আইনজীবী অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব অ্যাভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, গণ অধিকার পরিষদের সহসভাপতি ও আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাভোকেট খাদেমুল ইসলাম ও আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাভোকেট মো. পারভেজসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ