<p style="text-align:justify">ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও মহিমাকে খর্ব না করার আহ্বান জানিয়েছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এ আহ্বান জানান তিনি। </p> <p style="text-align:justify">বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, ‘স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার বীজমন্ত্র এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। ১১০০ বছরের পরাধীনতার শিকল ভেঙে বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক মহৎ অধ্যায় হচ্ছে ৭ মার্চ। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’— চূড়ান্ত লড়াইয়ের এই নির্দেশনায় অকুতোভয় বাঙালি এবং সর্বস্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিসংগ্রামে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৮০৩ এসআই ও ৬৭ এএসপির নিয়োগ বাতিলের দাবি বিএনপির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/17/1729162813-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৮০৩ এসআই ও ৬৭ এএসপির নিয়োগ বাতিলের দাবি বিএনপির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/17/1436134" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘বাঙালির হাজার বছরের দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা এবং ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে রাখার ইতিহাসকে ধারণ করে, এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠীর মনের গভীরে স্বাধীনতা অর্জনের সামগ্রিক আকাঙক্ষাকে তুলে ধরে গণমানুষের অভিপ্রায়ের চরম অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে। যা সমগ্র জনগোষ্ঠীকে তার মর্মমূলসমেত গভীরভাবে আবেগকম্পিত, উদ্দীপ্ত এবং জাগ্রত করে তুলেছিল। এই ভাষণের সঙ্গে স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণের মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজুল আলম খানসহ অন্যরা সম্পৃক্ত ছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনের একটি অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতাসংগ্রাম ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের আপসহীন নেতা।’ </p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘৭১-এর ২ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩  মার্চ ইশতেহার পাঠ, ৭ মার্চের ভাষণ এবং সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা— একই সূত্রে গাঁথা। সুতরাং স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে গণআকাঙ্ক্ষাবিরোধী শাসনক্ষমতা বা অপকর্মের দায়-দায়িত্বের নিরিখে স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এবং অসামান্য বীরত্বকে অস্বীকার করা হবে—সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের অন্তর্নিহিত সত্যকে আড়াল করা।’ </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সরকারের সিদ্ধান্তে বাম নেতাদের প্রতিবাদ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/17/1729163422-e0da419712736c80dd38024d8dfeca6c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সরকারের সিদ্ধান্তে বাম নেতাদের প্রতিবাদ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/17/1436139" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আ স ম রব বলেন, ‘অতএব, ৭ মার্চের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং ঐতিহাসিকতাকে অনুধাবন করার সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা হবে আত্মঘাতী। এ ধরনের অদূর ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম সংগ্রামী জনগণ মেনে নেবে না। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মৌলিক করণীয় উপেক্ষা করে, সরকার নতুন নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শক্তির মাঝে বিভেদ তৈরি করবে। আমি আশা করব, জুলাই গণহত্যার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পূর্ব প্রজন্মের অসম সাহসী বীরদের মহৎকীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়েই নতুন প্রজাতন্ত্র নির্মাণ করতে হবে।’</p>