বিএনপির উদারতায় রাজনীতির সুযোগ পায় জামায়াত : রিজভী

রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী ব্যুরো
শেয়ার
বিএনপির উদারতায় রাজনীতির সুযোগ পায় জামায়াত : রিজভী
সংগৃহীত ছবি

জামায়াতে ইসলামীকে বিএনপি সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়।’

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রি করেছিলেন। দুর্নীতির মহারানি দেশ থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন তার পরিবারের নামে। দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে পুঙ্গ করে ফেলেছেন। তার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের নামে বিদেশে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। শেখ হাসিনা পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। উসকানি ছড়াচ্ছেন।

সেই ভারত আপনাদের কাছে প্রিয় হয়ে গেল, এটা খুবই দুঃখজনক।’

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘সংস্কারের নামে গণতন্ত্রকে মজবুত ও শক্তিশালী করার জন্য যে কাজগুলো রয়েছে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গণতান্ত্রিক সরকার নেই বলে এখন বিনিয়োগ হচ্ছে না বা বিনিয়োগ করতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। কারণ অন্তর্বর্তী সরকার হচ্ছে সাময়িক সময়ের সরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।

একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছে। এই অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্যই রাজনৈতিক সরকার দরকার। জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেবে, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন যাতে ঘটাতে পারে, সে ধরনের সরকার দরকার। তাহলে অর্থনীতির যে সংকট, বৈদেশিক ঋণের ওপর যে নির্ভর করতে হচ্ছে, রিজার্ভ আবার কমতে শুরু করেছে, দিগন্ত রেখায় যে কালো মেঘ জমাট হচ্ছে, এগুলো দূরীভূত করতে হলে অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের পথে হাঁটতে হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেই বাড়ি ফিরব : শরীফ উসমান হাদী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেই বাড়ি ফিরব : শরীফ উসমান হাদী

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই ও শাপলা চত্বর এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ উসমান বিন হাদী শনিবার (১৫ মার্চ) এক ঘোষণায় জানান, আগামী ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ মোড়ে ‘শহীদি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন
ইনকিলাব মঞ্চের পদযাত্রা প্রত্যাহার, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ইনকিলাব মঞ্চের পদযাত্রা প্রত্যাহার, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

 

সংগঠনটির দাবি, এই সমাবেশে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের বাবা-মায়েরা, শাপলা চত্বরে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এবং পিলখানার শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের সন্তানরা উপস্থিত থাকবেন।

শরীফ উসমান বিন হাদী বলেন, ‘শহীদি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।

এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

আরো পড়ুন
করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখে উন্নীত করার প্রস্তাব দিল সিপিডি

করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখে উন্নীত করার প্রস্তাব দিল সিপিডি

 

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ২৫ এপ্রিলের সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরব না। ইনশাআল্লাহ।’

ইনকিলাব মঞ্চের দাবিগুলো হলো-
১. জুলাই, পিলখানা, শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচার করতে হবে।


২. গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই : আসাদুজ্জামান রিপন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই : আসাদুজ্জামান রিপন
বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন। ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের নামে দেশে কোনোভাবেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করা চলবে না। আর এটা আমরা হতেও দেবো না। কেউ কেউ বলছেন দেশে একটি গণপরিষদ হবে, গণপরিষদ করার দায়িত্ব কে দিয়েছে তাদের?

গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা হলে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ৩টায় বর্ধিতসভাটি শেষ হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।

আরো পড়ুন
ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঢাকা ছেড়েছেন গুতেরেস

ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঢাকা ছেড়েছেন গুতেরেস

 

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার সুযোগ নেই। দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা বলব সংস্কার বা গণপরিষদের নামে কোনো কালক্ষেপন না করে যত দ্রুত সম্ভব এ দেশে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিতদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।

হাসিনা গত ১৬ বছর ভোট করেনি বলেই বিদায় নিতে হয়েছে, তাকে পালাতে হয়েছে। দেশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আর যাতে ফিরিয়ে না আসে সে জন্য দরকার একটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’

দলীয় নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দখল বাণিজ্য তখনই আসে যখন গণতন্ত্র থাকে না দেশে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে মানুষের ভালোবাসা না পেলে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ করা থেকে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।’

আরো পড়ুন
আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত, জানালেন আমির

আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত, জানালেন আমির

 

বর্ধিতসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাদা মিয়া, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাসুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপি নেত্রী হেলেন জেরিন খান, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ। 

সভায় ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গি, বিএনপি নেতা সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মো. আজম খান ও রশিদুল ইসলাম লিটনসহ ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত, জানালেন আমির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত, জানালেন আমির
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

মাগুরায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সিএমএইচে মারা যাওয়া শিশু আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ রবিবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, মাগুরার শিশু আছিয়ার পরিবার নিতান্তই একটি অসহায় পরিবার। তার পিতা একজন মানসিক রোগী।

এ পরিবারে অন্য কোনো পুরুষ সদস্য নেই। মানবিক কারণে এই পরিবারের দায়িত্ব মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইনশাআল্লাহ নিচ্ছে।

জামায়াত আমির আরো লিখেছেন, ইতিমধ্যে মজলুম এই পরিবারের সদস্যবৃন্দকে তা অবহিত করা হয়েছে। সবার কাছে দোয়ার আবেদন, আল্লাহ তায়ালা যেন সঠিকভাবে এ দায়িত্ব পালনে আমাদের তাওফিক দান করেন।

আমিন।

গত বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) মৃত্যুর পর মাগুরার শ্রীপুরের সোনাইকুণ্ডীতে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
স্মরণ

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। ঢাকায় ও নোয়াখালীর নিজ গ্রামে কয়েক দফা জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে মওদুদ আহমদকে দাফন করা হয়।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। সাবেক এমপি ও অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে ব্রিটেনের লন্ডনস্থ লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার- অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন।

তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। দেশে ফিরে হাইকোর্টে ওকালতির একপর্যায়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন আইনি লড়াইয়ে।

এর আগে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিয়ে পুলিশি নির্যাতনের পর মওদুদ আহমদের ঠাঁই হয়েছিল কারাগারে। ঢাকা কলেজ ছাত্রসংসদের আপ্যায়ন সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অ্যাডভোকেট ফরমান উল্লাহ খান প্রতিষ্ঠিত খেলাফত রব্বানীর ছাত্রসংগঠন ছাত্রশক্তির নেতা ছিলেন তিনি।

শেখ মুজিবুরের পক্ষে আইনি লড়াই করতে খ্যাতনামা ব্রিটিশ আইনজীবী স্যার টমাস উইলিয়ামস কিউসিকে বাংলাদেশে আনতে রেখেছিলেন ভূমিকা।

১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে শেখ মুজিবুরের সঙ্গে ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠকের ভূমিকা ছাড়াও ব্যারিস্টার মওদুদকে পোস্টমাস্টার জেনারেল নিয়োগ করে মুজিবনগর সরকার। স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর দিকেও তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে।

পেশাজীবী হিসেবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে নানা ভূমিকায় নিজেকে রেখেছিলেন রাজনীতির কক্ষপথেই। বিএনপি আর জাতীয় পার্টি গঠনে পালন করেন মুখ্য ভূমিকা। কারাভোগ করেছেন পাকিস্তান আমল, মুজিব, এরশাদ, ওয়ান-ইলেভেন ও মহাজোট সরকারের আমলে।

১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম এমপি নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয় এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫-এর নির্বাচনে মওদুদ আহমদ আবারও এমপি নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬-এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।

১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমদ আবার এমপি নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। পাঁচবার নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন মওদুদ আহমদ। মওদুদ আহমদ পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের জামাতা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ