সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নারীদের ঋণ পাওয়ার সুযোগ-সুবিধা এখন অনেক বেড়েছে। এতে প্রতিবছর যে হারে নারী উদ্যোক্তা বাড়ার কথা বাস্তবে তা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ৯ বছরে ৪ লাখ ৬২ হাজার নারী উদ্যোক্তা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) আওতায় ঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই ৯ মাসে পেয়েছেন ৪৬ হাজারের মতো; যার মধ্যে নতুন উদ্যোক্তা রয়েছেন মাত্র ১০ হাজার।
শর্তের বেড়াজালে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

এ ছাড়া এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ১০ শতাংশ ঋণ বিতরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো বছরই তা ৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়নি। ২০১৭ সালে এসএমই খাতে বিতরণ হওয়া ঋণের মাত্র ২.৯৫ শতাংশ পান নারী উদ্যোক্তারা। আর ২০১৮ সালের ৯ মাসে এই হার একটু বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ শতাংশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পরিসংখ্যান বলছে, এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ও ঋণ বিতরণ আশানুরূপ নয়।
নারী উদ্যোক্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালায় নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ও বিনা জামানতে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হলেও বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সবার ক্ষেত্রে সেগুলো যথাযথভাবে পরিপালন করছে না। উল্টো ঋণ আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের নামে নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে তাদের হয়রানি ও ভোগান্তিতে ফেলছেন। এতে নতুনদের পক্ষে ঋণ পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা তেমন হয় না। কারণ তাঁদের ঋণ দিতে প্রতিষ্ঠানগুলো মুখিয়ে থাকে।
নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ওমেন ওয়েন্ডের প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ প্রদানের নীতিমালা প্রণয়ন করলেও নারী উদ্যোক্তারা এই সুবিধা পাচ্ছেন না। ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা নানাবিধ শর্তের বেড়াজাল এবং উচ্চ সুদের কারণে প্রতিনিয়ত পুঁজি সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে।
‘আইঅ্যামএসএমই অব বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাফিয়া শ্যামা বলেন, ব্যাংকগুলো শুধু প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে চায়। কিন্তু যাঁরা নতুন, তাঁদের ক্ষেত্রে অনীহা দেখায়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনরর্থায়ন তহবিলের আওতায় ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার কথা বলা আছে, সেই ঋণ পেতে গ্যারান্টার একজন নয়, একাধিক গ্যারান্টার চায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রগ্রামস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শেখ মো. সেলিম বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান বিবেচনায় এটাকে প্রাইমারি সেক্টর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ বিতরণের একটা সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ খাতে মোট বিতরণ হওয়া ঋণের কমপক্ষে ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংক কাউকে টাকা দেবে তখনই, যখন নিয়মমাফিক সব কিছু পরিপালিত হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে ঋণ দিতে অনীহা দেখাতেই পারে তারা। তবে এটাকে হয়রানি হিসেবে নেওয়া ঠিক হবে না।
সম্পর্কিত খবর

ব্যাংকের টাকা লোপাট করে কেউ পালাতে পারবে না : গভর্নর
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘ব্যাংকের টাকা লোপাট করে কাউকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে, যাতে কেউ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে না পারে। অনিয়ম, কেলেঙ্কারি ও সুশাসনের ব্যর্থতার কারণে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য প্রয়োজন সংস্কার।’
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিআইবিএম কার্যালয়ে দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, সংস্কারের জন্য গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টাস্কফোর্স গঠন, নতুন আইন প্রবর্তন ও ব্যাংক কম্পানি আইনের মতো বিদ্যমান আইন সংশোধনসহ ব্যাংকিং খাতের একগুচ্ছ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলস্বরূপ লুটপাট করা কিছু ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও কোমর ভেঙে আছে বেশ কিছু ব্যাংকের।
আর সব ব্যাংকের অবস্থা খারাপ নয়, তবে যেগুলো খারাপ সেগুলোর অবস্থা খুব খারাপ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকের টাকা লোপাট করে আর কাউকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না এবং ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরো বলেন, ‘গ্রাহকের স্বার্থে ব্যাংকের বোর্ডে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরো একটি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে।
এ সময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘ব্যাংকের প্রকৃত মালিক গ্রাহকরাই। তাই তাদের আস্থার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না এই খাত।’

বসুন্ধরা গ্রুপে বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
অনলাইন প্রতিবেদক

ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে, বিশেষ করে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও টেকসই উন্নয়ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টারে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা এ আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কিছু ফিনিশ কোম্পানির সহযোগিতামূলক ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে, আমরা সেটি আরো সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী।”
রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজনেস ফিনল্যান্ড-এর প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন কুলব্রুক প্রজেক্ট ডিরেক্টর শ্রীনিবাসন শ্রীরামুলু, এলেম্যাটিক-এর সন্দীপ কুমার, কোনক্রেইনস-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রতন বিশ্বাস, মিরাসিস -এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরিন্দম দাস সরকার, রাউটা ডিজিটাল-এর সিইও কুমার অভিজিৎ, ওয়ার্টসিলা বাংলাদেশের সাইফুল ইসলাম, ওয়্যারপাস-এর মারুতি মাল্লেপল্লি এবং ফিনল্যান্ড দূতাবাস ও বিজনেস ফিনল্যান্ড-এর অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত জানান, প্রতিনিধি দল আগের দিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছে। আজ আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছি।
বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”
বৈঠক শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের সিওও শাহেদ জাহিদ জানান, ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধি দল সিমেন্ট, পেপার এবং প্রি-কাস্ট বিল্ডিংসহ বেশ কিছু খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। সিমেন্ট খাতে ফসিল ফুয়েলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রস্তাব তারা দিয়েছেন, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে স্বল্পসুদে অর্থায়নের অভাব রয়েছে। ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা দাঁড় করানো কঠিন। ফিনল্যান্ড সরকার দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ কাঠামোর মাধ্যমে এ বিষয়ে সহায়তা করতে পারে। প্রতিনিধি দলটি আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা স্বল্প সুদে ঋণ ও যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করবে।
সভায় বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডিএমডি মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএমডি কে এম জাহিদ উদ্দিনসহ গ্রুপের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমবে, মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ১০.২ শতাংশে : এডিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়বে ৫.১ শতাংশে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এডিবির ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এপ্রিল ২০২৫’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বাড়লেও রাজনৈতিক উত্তরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, শিল্প খাতে অস্থিরতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়েছে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জেয়ং বলেন, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি সহনশীল রয়েছে। এই সহনশীলতা আরও শক্তিশালী করা সম্ভব কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
তিনি আরো বলেন, তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আর্থিক খাতের সুশাসন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করা যেতে পারে।
এডিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ অর্থবছরে ১০.২ শতাংশে পৌঁছাবে। পাইকারি বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব, বাজার সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। তবে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ১.৪ শতাংশ থেকে কমে ০.৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এডিবি বলছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ভোগ ও বিনিয়োগে কিছুটা গতি আসবে।
প্রতিবেদনটি ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক ঘোষণার আগে তৈরি হওয়ায় সেসব শুল্কের প্রভাব এতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তবে এডিও এপ্রিল ২০২৫-এ নতুন শুল্ক নীতির ফলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রবৃদ্ধিতে সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলাদা বিশ্লেষণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বর্তমানে ৬৯টি সদস্য দেশের মালিকানাধীন। প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং সহনশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

উন্নয়ন প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এনডিবি
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকস প্রতিষ্ঠিত সাংহাই ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির কাজবেকভ এ কথা জানান।
তিনি জানান, ''‘এক্সপ্যান্ডেড ঢাকা সিটি ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্ট প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করা হয়েছে, তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ বছর এই অর্থায়নের পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি করতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা নতুন এই বহুপাক্ষিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, 'এটি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।'
কাজবেকভ আরো বলেন, 'বাংলাদেশের গ্যাস খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এনডিবির। দেশের বেসরকারি খাতে সক্ষমতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ঋণ দিতেও আগ্রহী তারা।'
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা জোর দেন আবাসনসহ সামাজিক অবকাঠামোতে ঋণ দেওয়ার ওপর, বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, ''এনডিবির উচিত বাংলাদেশের জন্য ‘কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি প্রোগ্রাম’ চালু করা, যাতে করে তাদের অর্থায়ন দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি পায়।''
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।