সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়াচ্ছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়াচ্ছে সরকার

অন্তর্বর্তী সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সুদহার অন্তত ১ শতাংশ বাড়ছে বলে জানা গেছে। তবে সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীরা সুদ কিছুটা বেশি পাবেন। জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোর সুদের হার পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

শিগগির এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

আরো পড়ুন
অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে পদদলিত হয়ে মৃত কমপক্ষে ৬

অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে পদদলিত হয়ে মৃত কমপক্ষে ৬

 

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের নতুন সুদহার কার্যকর হওয়ার কথা। সঞ্চয়পত্রের সুদহার ৫ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার (সর্বশেষ ছয় মাসের নিলামের ভিত্তিতে) অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। তবে সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ৫০ বেসিস পর্যন্ত প্রিমিয়াম যোগ হবে।

এতে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কিছুটা বেশি সুদ পাওয়া যাবে। 

নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য সঞ্চয়পত্রের সম্ভাব্য সুদহার নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই হিসাবে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এ কম বিনিয়োগকারীদের সুদহার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর বেশি অঙ্কের বিনিয়োগকারীদের সুদহার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সুদহার রয়েছে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

আরো পড়ুন
লেনদেন কমলেও বড় পতন হয়নি শেয়ারবাজারে

লেনদেন কমলেও বড় পতন হয়নি শেয়ারবাজারে

 

তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সম্ভাব্য সুদহার ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে সুদহার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। বর্তমানে এ স্কিমে সুদহার হচ্ছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুদহার পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে সুদহার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে এ স্কিমে সুদহার হচ্ছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুদহার পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে এ স্কিমে সুদহার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ ছাড়া তিন বছর মেয়াদি পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুদ পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর বেশি বিনিয়োগ সুদহার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

আরো পড়ুন
বেনাপোল দিয়ে রপ্তানিতে নতুন শর্ত, ১২ পণ্য পরীক্ষা করবে আইআরএম

বেনাপোল দিয়ে রপ্তানিতে নতুন শর্ত, ১২ পণ্য পরীক্ষা করবে আইআরএম

 

অনুমোদিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, সরকারের নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিডিএমসি) জুন মাসে জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালের জন্য এবং ডিসেম্বর মাসে জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য বিভিন্ন মেয়াদের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার, মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের সুদহার এবং প্রিমিয়াম নির্ধারণ করবে। তবে ওয়েজ আর্নার্স বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এ সংস্কারের আওতাবহির্ভুত থাকবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থায়ী আমানতে সাধারণত ৯ থেকে ১১ শতাংশ সুদ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে কোনো কোনো ব্যাংক ১৩ শতাংশ পর্যন্ত স্থায়ী আমানতে সুদ দিচ্ছে। সেখান বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হচ্ছে ১১ থেকে সাড়ে ১১ শতাংশের মধ্যে। আগে ব্যাংক আমানতের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে অনেক বেশি মুনাফা দেওয়া হতো। ব্যাংক আমানতের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের সুদহারে সামঞ্জস্য আনতেই সুদহার বাড়ানো হচ্ছে।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে গত কয়েক বছর সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়েছে সরকার। আইএমএফও চেয়েছিল সঞ্চয়পত্রে সরকারকে প্রতিবছর যে সুদ গুনতে হয়, তা কমে আসুক। কিন্তু রাজস্ব আহরণ কমে যাওয়ায় এবং ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমাতে এখন আবারও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার দিকে ঝুঁকছে সরকার। 

আরো পড়ুন
ফাইনালে বার্সেলোনা, নেইমারের মতো উদযাপন ইয়ামালের

ফাইনালে বার্সেলোনা, নেইমারের মতো উদযাপন ইয়ামালের

 

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ঋণাত্মক ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ঋণাত্মক ৭ হাজার ৩১০ কোটি নির্ধারণ করা হয়। তবে চলতি অর্থবছরে তা বাড়িয়ে এ খাত থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভিসা বন্ধ

ভারতমুখো কেনাকাটা ব্যাহত, স্থানীয় বাজারে নতুন গতি

    ডলারের চাহিদা কমে খোলাবাজারে মন্দা
মো. জয়নাল আবেদীন
মো. জয়নাল আবেদীন
শেয়ার
ভারতমুখো কেনাকাটা ব্যাহত, স্থানীয় বাজারে নতুন গতি
সংগৃহীত ছবি

প্রতিবছর ঈদ, বিয়ে ও অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে কেনাকাটা করতে যেতেন। ভারতের বড় শপিং মল এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতি তাঁদের ব্যাপক আকর্ষণ ছিল। ডলারের খোলাবাজারেও ঈদের আগমনী বার্তা টের পাওয়া যেত। তবে এবার চিত্র বদলেছে।

ভিসা জটিলতার কারণে ভারতমুখো কেনাকাটা ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে নতুন গতি এসেছে।

কাঙ্ক্ষিত সাড়া নেই বাংলাদেশের ডলারের খোলাবাজারেও। হজকেন্দ্রিক কিছু লেনদেন হলেও তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম। এখন দেশের ব্যাংকগুলোতে ১২২ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে ডলার।

খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংক রেটের পার্থক্য দুই থেকে আড়াই টাকা। কারণ খোলাবাজারে ১২৪ থেকে ১২৪.৫০ টাকার মধ্যেই লেনদেন হচ্ছে প্রতি ডলার।

তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলারের নির্ধারিত দাম ছিল ১১০ টাকা। কিন্তু নির্ধারিত দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছিল না।

আমদানি বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত দামের বাইরে প্রতি ডলারে আরো ১৩ টাকা পর্যন্ত পে অর্ডারের মাধ্যমে দিতে হয়েছে। এতে প্রতি ডলার ১২৩ টাকায় বিক্রি হতো। খোলাবাজারে ডলারের উত্তাপ ছিল আরো বেশি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছর কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে জরিমানাও করা হয়। তবে ২০২৫ সালের ঈদে সেই চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম এস জামান বলেন, অন্যান্য ঈদের মতো এবার সাড়া নেই। আগে ঈদের সময় অনেকে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনত। কিন্তু এখন ঈদকেন্দ্রিক তেমন কোনো চাপ নেই। এখন খোলাবাজারে ১২৪ থেকে ১২৪.৫০ টাকার মধ্যেই ডলার বেচাকেনা হচ্ছে। অনেক দিন থেকে এই দামেই স্থিতিশীল আছে ডলারের বাজার। ব্যাংকের সঙ্গে খোলাবাজারে এখন খুব বেশি পার্থক্য নেই বলেও জানিয়েছেন এই ডলার ব্যবসায়ী।

গ্লোবাল ইকোনমিস্ট ফোরাম নামের একটি সংগঠনের মতে, প্রতিবছর রমজান মাসে কমপক্ষে দেড় লাখ বাংলাদেশি কেনাকাটার উদ্দেশ্যে ভারত যেতেন। এই একটি ঈদকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০ কোটি ডলার আয় করত ভারত। ফলে এই সময়ে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে যেত। বর্তমানে সীমান্ত উত্তেজনা, রাজনৈতিক বিভাজন ও ভিসা জটিলতার কারণে ভারতে যেতে পারছেন না বাংলাদেশিরা।

শুধু ডলারের খোলাবাজারে নয়, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনেও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে যে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা ডিসেম্বরেও অব্যাহত ছিল। ভারতে ২৩ মাসের মধ্যে গত ডিসেম্বরেই বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ছিল সবচেয়ে কম। দেশের বাইরে গত জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতো ভারতেই।

নিম্নমুখী এই প্রবণতার ফলে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচের তালিকায় ভারত নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। আগের মাসের মতো প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের তথ্য ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে রবিবার, যেখানে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য আছে।

হালনাগাদ তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৯১ কোটি টাকা, যা আগের মাস নভেম্বরে ছিল ৪৩১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে ১৩.৯২ শতাংশ।

ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয় ৭৪ কোটি টাকা, যা নভেম্বরে ছিল ৬৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডে ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় থাইল্যান্ডে, ৬৪ কোটি টাকা, নভেম্বরে যা ছিল ৪৬ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুরে লেনদেন হয় ৪১ কোটি টাকা, যা নভেম্বরে ছিল ৩৮ কোটি টাকা। চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারত, যেখানে ডিসেম্বরে লেনদেন হয় ৪০ কোটি টাকা, আর নভেম্বরে হয় ৪৭ কোটি টাকা।

গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে। ফলে ভারতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়, যার প্রভাব ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনেও পড়ে। গত জুলাইয়ে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে ভারতে লেনদেন হয় ৭৩ কোটি টাকা, যা আগের মাসে ছিল ৯২ কোটি টাকা।

মন্তব্য

ঈদের আগে শেষ ব্যাংকিং লেনদেন আজ, যেসব এলাকায় থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের আগে শেষ ব্যাংকিং লেনদেন আজ, যেসব এলাকায় থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা
সংগৃহীত ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শেষ ব্যাংকিং লেনদেন আজ। আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সাপ্তাহিক, ঈদের ও বিশেষ ব্যবস্থার ছুটি। তবে এর মধ্যে আগামী শুক্র ও শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় গার্মেন্ট এলাকাগুলোয় সীমিত সময়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলা থাকবে। এছাড়াও ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথ, অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে।

ঈদের আগে আজ শেষ ব্যাংকিং লেনদেন হওয়ায় ব্যাংকগুলোয় বেশ ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। আজ ব্যাংকগুলোয় নগদ টাকার বেশি চাহিদা থাকবে। তাই ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রেখেছে।

এদিকে ঈদের আগে ২৮ মার্চ শুক্রবার ও ২৯ মার্চ শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু এলাকায় ব্যাংকের শাখা সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকবে।

এর মধ্যে শুক্রবার লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শনিবার লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। 

এ দুইদিন ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। এছাড়া শনিবার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী শাখাগুলোও বিশেষ ব্যবস্থায় আগের নিয়মে খোলা থাকবে।

 

এ সময়ে শুধু টাকা তোলা, স্থানান্তর, চেক নগদায়ন করা যাবে। রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি বিল ভাঙিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারবেন। ঋণবিষয়ক কোনো কাজ করা যাবে না।
আগামী শনিবারের পর ৬ এপ্রিল রোববার ব্যাংক খুলবে। তখন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

২৪ দিনেই প্রবাসী আয়ে ভাঙল মাসের রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২৪ দিনেই প্রবাসী আয়ে ভাঙল মাসের রেকর্ড
সংগৃহীত ছবি

সাত দিন বাকি থাকতেই একক মাসের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের আগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে মার্চ মাস। চলতি মাসের ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর আগে, এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলারের রেকর্ড ছিল গত ডিসেম্বরে। 

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

অন্যদিকে ডলারের দর এখন ১২২ টাকায় স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি সাত দিন সমপরিমাণ এলেও চলতি মাসে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। ফলে মাসের হিসাবে অনেক বড় ব্যবধানের রেকর্ড হতে যাচ্ছে।

গত বছর মার্চের ২৪ দিনে এসেছিল ১৫৫ কোটি ডলার। আর পুরো মাসে এসেছিল ২০০ কোটি ডলারের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আবার ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়ে প্রণোদনাসহ এখন যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তা খোলাবাজারের চেয়েও বেশি।

সাধারণভাবে হুন্ডি চাহিদা কমলে এমন হয়। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ফলে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। রিজার্ভও স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১২৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৬২ কোটি ডলার। এ পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪৬১ কোটি ডলার, যা ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ছাড়া সব মাসেই বেড়েছে। এর আগে,  করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে সারাবিশ্বে লকডাউনের মধ্যে একবার এভাবে রেমিট্যান্স বেড়েছিল। ওই সময় হুন্ডি ছিল না বললেই চলে। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ৩৬ শতাংশের বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে গত ৯ মার্চ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নামে।

পরিশোধের আগে রিজার্ভ উঠেছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে। সরকার পতনের আগে প্রতি মাসে গড়ে ৯০০ মিলিয়ন রিজার্ভ কমছিল। ২০২২ সালের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। গত জুলাই শেষে তা কমে ২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারে নামে। এর বড় কারণ ছিল, আমদানি দায় পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করছে না। বরং আগের ৩৩০ কোটি ডলার বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধে বর্তমান সরকার বেশ সক্রিয়। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ১১টি যৌথ বিশেষ টিম কাজ করছে। শেখ হাসিনা পরিবার এবং ১০টি ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার, অনিয়ম ও  জালিয়াতির তথ্য উদ্ঘাটনে এসব টিম বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। 

রেমিট্যান্স চাঙ্গা হওয়ার পেছনে এসব উদ্যোগের ভূমিকা রয়েছে। 

মন্তব্য

ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি এখন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি এখন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা
সংগৃহীত ছবি

দেশের বাজারে আরো বেড়েছে সোনার দাম। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম এক হাজার ১৫৫ টাকা বেড়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ মূল্য বৃদ্ধির তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

আরো পড়ুন
আলোচিত-১০ (২৫ মার্চ)

আলোচিত-১০ (২৫ মার্চ)

 

নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে এক লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ২৭ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৫ হাজার ৩০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
২০২৭ সাল পর্যন্ত সিমন্সই বাংলাদেশের কোচ

২০২৭ সাল পর্যন্ত সিমন্সই বাংলাদেশের কোচ

 

অপরিবর্তীত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ