ভিসা বন্ধ

ভারতমুখো কেনাকাটা ব্যাহত, স্থানীয় বাজারে নতুন গতি

  • ডলারের চাহিদা কমে খোলাবাজারে মন্দা
মো. জয়নাল আবেদীন
মো. জয়নাল আবেদীন
শেয়ার
ভারতমুখো কেনাকাটা ব্যাহত, স্থানীয় বাজারে নতুন গতি
সংগৃহীত ছবি

প্রতিবছর ঈদ, বিয়ে ও অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে কেনাকাটা করতে যেতেন। ভারতের বড় শপিং মল এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতি তাঁদের ব্যাপক আকর্ষণ ছিল। ডলারের খোলাবাজারেও ঈদের আগমনী বার্তা টের পাওয়া যেত। তবে এবার চিত্র বদলেছে।

ভিসা জটিলতার কারণে ভারতমুখো কেনাকাটা ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে নতুন গতি এসেছে।

কাঙ্ক্ষিত সাড়া নেই বাংলাদেশের ডলারের খোলাবাজারেও। হজকেন্দ্রিক কিছু লেনদেন হলেও তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম। এখন দেশের ব্যাংকগুলোতে ১২২ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে ডলার।

খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংক রেটের পার্থক্য দুই থেকে আড়াই টাকা। কারণ খোলাবাজারে ১২৪ থেকে ১২৪.৫০ টাকার মধ্যেই লেনদেন হচ্ছে প্রতি ডলার।

তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলারের নির্ধারিত দাম ছিল ১১০ টাকা। কিন্তু নির্ধারিত দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছিল না।

আমদানি বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত দামের বাইরে প্রতি ডলারে আরো ১৩ টাকা পর্যন্ত পে অর্ডারের মাধ্যমে দিতে হয়েছে। এতে প্রতি ডলার ১২৩ টাকায় বিক্রি হতো। খোলাবাজারে ডলারের উত্তাপ ছিল আরো বেশি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছর কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে জরিমানাও করা হয়। তবে ২০২৫ সালের ঈদে সেই চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম এস জামান বলেন, অন্যান্য ঈদের মতো এবার সাড়া নেই। আগে ঈদের সময় অনেকে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনত। কিন্তু এখন ঈদকেন্দ্রিক তেমন কোনো চাপ নেই। এখন খোলাবাজারে ১২৪ থেকে ১২৪.৫০ টাকার মধ্যেই ডলার বেচাকেনা হচ্ছে। অনেক দিন থেকে এই দামেই স্থিতিশীল আছে ডলারের বাজার। ব্যাংকের সঙ্গে খোলাবাজারে এখন খুব বেশি পার্থক্য নেই বলেও জানিয়েছেন এই ডলার ব্যবসায়ী।

গ্লোবাল ইকোনমিস্ট ফোরাম নামের একটি সংগঠনের মতে, প্রতিবছর রমজান মাসে কমপক্ষে দেড় লাখ বাংলাদেশি কেনাকাটার উদ্দেশ্যে ভারত যেতেন। এই একটি ঈদকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০ কোটি ডলার আয় করত ভারত। ফলে এই সময়ে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে যেত। বর্তমানে সীমান্ত উত্তেজনা, রাজনৈতিক বিভাজন ও ভিসা জটিলতার কারণে ভারতে যেতে পারছেন না বাংলাদেশিরা।

শুধু ডলারের খোলাবাজারে নয়, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনেও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে যে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা ডিসেম্বরেও অব্যাহত ছিল। ভারতে ২৩ মাসের মধ্যে গত ডিসেম্বরেই বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ছিল সবচেয়ে কম। দেশের বাইরে গত জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতো ভারতেই।

নিম্নমুখী এই প্রবণতার ফলে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচের তালিকায় ভারত নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। আগের মাসের মতো প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের তথ্য ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে রবিবার, যেখানে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য আছে।

হালনাগাদ তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৯১ কোটি টাকা, যা আগের মাস নভেম্বরে ছিল ৪৩১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে ১৩.৯২ শতাংশ।

ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয় ৭৪ কোটি টাকা, যা নভেম্বরে ছিল ৬৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডে ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় থাইল্যান্ডে, ৬৪ কোটি টাকা, নভেম্বরে যা ছিল ৪৬ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুরে লেনদেন হয় ৪১ কোটি টাকা, যা নভেম্বরে ছিল ৩৮ কোটি টাকা। চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারত, যেখানে ডিসেম্বরে লেনদেন হয় ৪০ কোটি টাকা, আর নভেম্বরে হয় ৪৭ কোটি টাকা।

গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে। ফলে ভারতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়, যার প্রভাব ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনেও পড়ে। গত জুলাইয়ে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে ভারতে লেনদেন হয় ৭৩ কোটি টাকা, যা আগের মাসে ছিল ৯২ কোটি টাকা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড

বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ১০০ মার্কিন ডলারের ওপর উঠেছে প্রতি আউন্স সোনার দাম। এর প্রভাবে দেশের বাজারেও বাড়তে পারে দাম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) বিশ্ববাজারে স্পট সোনার দাম প্রতি আউন্স রেকর্ড ৩ হাজার ১০৬ দশমিক ৫০ ডলারে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ বছর সোনার দাম ১৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সোনার দাম প্রথমবারের মতো তিন হাজার ডলার ছাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হলো অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে বাড়তি উদ্বেগের প্রতিফলন।

আরো পড়ুন
ঈদের খরচ যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে

ঈদের খরচ যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে

 

ওসিবিসির বিশ্লেষকরা বলেছেন, বর্তমানে, ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ এবং শুল্কের অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে সোনার নিরাপদ আশ্রয় এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে আবেদন আরও শক্তিশালী হয়েছে।

চলমান বৈশ্বিক বাণিজ্য সংঘাত এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে সোনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমরা ইতিবাচক রয়েছি।

গোল্ডম্যান স্যাশ, ব্যাংক অব আমেরিকা এবং ইউবিএস এ মাসে সোনার দামের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাশ পূর্বাভাস দিয়েছে, সোনার দাম বছরের শেষ নাগাদ ৩ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছাবে। তাদের আগের পূর্বাভাসে এর পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ ডলার বলা হয়েছিল।

এছাড়া, ব্যাংক অব আমেরিকা ২০২৫ সালে সোনার দাম ৩ হাজার ৬৩ ডলার প্রতি আউন্স এবং ২০২৬ সালে ৩ হাজার ৩৫০ ডলারে পৌঁছানোর আশা করছে, যা তাদের আগের পূর্বাভাসে যথাক্রমে ২ হাজার ৭৫০ ডলার এবং ২ হাজার ৬২৫ ডলার ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকে রক্ষা এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে মধ্যে আমদানি করা গাড়ি এবং অটো যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং চীন থেকে সব ধরনের আমদানিতে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি আগামী ২ এপ্রিল নতুন পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।

আরো পড়ুন
কাল গ্যাসের চাপ কম থাকবে যেসব এলাকায়

কাল গ্যাসের চাপ কম থাকবে যেসব এলাকায়

 

মেরেক্সের পরামর্শক এডওয়ার্ড মেইর বলেন, শুল্কের বিষয়গুলো সোনার দামকে আরও বাড়াতে থাকবে, যতক্ষণ না টিট-ফর-ট্যাট অভিযানের কোনো সমাপ্তি আসে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন
সংগৃহীত ছবি

ঈদকে কেন্দ্র পরিবরের জন্য বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে চলতি মার্চ মাসের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ ২৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলার। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে। এর আগে গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে এসেছে।

বিপিএম-৬ ১৯ দশ‌মিক ৭০ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর রমজান মাসে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভ বাড়ছে।

আরো পড়ুন

প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

 

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হ‌লো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ।

এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ক‌রে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এর হিসাব করা হয়।

মন্তব্য

আজ যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল টানা ৯ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকছে। তবে পোশাক খাতে কর্মরতদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে আজ শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছে। 

আরো পড়ুন
কোরআন সেন্টারের শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার বিতরণ

কোরআন সেন্টারের শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার বিতরণ

 

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল। তবে লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন-পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

আজ শনিবার শিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা ‍দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর মধ্যে ১টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। 

২৪ মার্চ কিছু ব্যাংক শাখা খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

আরো পড়ুন
মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০০০

মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০০০

 

এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে।

ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে পোশাকশিল্পের লেনদেনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক শাখা ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার।

এদিকে শিল্প এলাকায় যেসব ব্যাংক খোলা রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিমোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এখনও ঈদ বোনাস দেয়নি ২৯৯টি পোশাক কারখানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এখনও ঈদ বোনাস দেয়নি ২৯৯টি পোশাক কারখানা
বকেয়া বেতনের দাবিতে টিএনজেড গ্রুপের মালিকানাধীন তিনটি কারখানার শ্রমিকরা ২৮ মার্চ শ্রম ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন

এখনও ১০২টির মতো গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল কারখানায় শ্রমিকদের এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মজুরি পরিশোধ করা হয়নি বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ। এসব কারখানার মধ্যে ৩০টি জানুয়ারি এবং তার আগের মাসের মজুরিও পরিশোধ করেনি। শ্রমিকদের দাবি, দ্রুত বকেয়া মজুরি ও বোনাস পরিশোধ করা না হলে তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।

শিল্প পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশে নিটওয়্যার ম্যানফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) এবং বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটির (বেপজা) আওতাধীন দুই হাজার ৮৯০টি কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৭৮৮টি কারখানার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে।

শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রতি মাসের বেতন পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা তা করেনি, যা শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি করেছে।

এদিকে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এক হাজার ১৭৯টি কারখানা মার্চ মাসের বেতনের অর্ধেক অগ্রিম পরিশোধ করেছে। দুই হাজার ৫৯১টি কারখানা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দিলেও ২৯৯টি কারখানা এখনও বোনাস দেয়নি।

শিল্প পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে পাটকল ও অন্যান্য কারখানাসহ মোট ৯ হাজার ৬৯৫টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে আট হাজার ৩৯টি ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে, তবে চার হাজার ৩৫২টি এখনও মার্চ মাসের বেতন দেয়নি। যা মোট কারখানার ৪৫ শতাংশ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ