সুপারশপে কেনাকাটায় অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হবে না

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুপারশপে কেনাকাটায় অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হবে না
সংগৃহীত ছবি

সুপারশপে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হবে না। পণ্যের খুচরা মূল্য হিসেবে যে দাম লেখা থাকবে, তা দিলেই চলবে। এতে সুপারশপ মালিকরা রেয়াত নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

 

চলতি বছরের বাজেটের সময় সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করা হয়। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে চেইন সুপারশপের মালিকেরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনা করেন তারা।

জানা গেছে, প্রতিবছর সুপারশপ খাত থেকে দেড়শ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট পায় এনবিআর।

সুপারশপের মালিকদের দাবি, খুচরা মূল্যের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকলে এবং সঠিকভাবে যথানিয়মে বেচাকেনা হলে সুপারশপ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হবে।

আরো পড়ুন
কেক-বিস্কুটে ভ্যাট কমল অর্ধেক

কেক-বিস্কুটে ভ্যাট কমল অর্ধেক

 

এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট থাকায় ভোক্তাদের ওপর বাড়তি ভ্যাটের চাপ পড়ে। তাই সুপারশপের পণ্যের গায়ে লেখা খুচরা মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হবে। যাতে খুচরা মূল্য (এমআরপি) ১৫ শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তবে এ জন্য সুপারশপের মালিকদের ভ্যাটের চালান দেয় এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। সুপারশপের মালিকেরা নিজেদের মূল্য সংযোজনের অংশের ভ্যাট দেবেন। আগের পর্যায় থেকে ভ্যাট রেয়াত নেবেন। উৎপাদন পর্যায়ে যেসব পণ্যে ভ্যাট নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে সুপারশপের মালিকেরা ভ্যাট দেবেন না। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৯ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধায় আমদানি রপ্তানি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
৯ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধায় আমদানি রপ্তানি
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে দেশের একমাত্র চারদেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা। ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এই সময়ে বন্দর দিয়ে কোন প্রকার পণ্য আমদানি রপ্তানি হবে না। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মানুষ যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের একটি চিঠিতে জানা যায়, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। সেই সাথে ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। তাই দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট ৯ দিন বন্ধ থাকবে চতুর্দেশীয় স্থলবন্দরটির আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। আগামী ৬ এপ্রিল আবারো পুরো দমে চালু হবে বন্দরের সব কার্যক্রম।

ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ডএফ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
 

মন্তব্য

২৬ দিনেই প্রবাস আয়ে নতুন রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
২৬ দিনেই প্রবাস আয়ে নতুন রেকর্ড
সংগৃহীত ছবি

চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৪ কোটি ডলার। এর আগে একক কোনো মাসে এত অধিক রেমিট্যান্স আসেনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫২ কোটি ডলার। চলতি মাসের ২৬ দিনেই ফেব্রুয়ারির সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে জানা যায়, এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৩২ লাখ ডলার এসেছে। ফলে প্রথমবারের মতো ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে দরকার আর অল্প কিছু প্রবাস আয়ের। আজ বৃহস্পতিবারও প্রবাস আয় আসছে, যার হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। মাস শেষ হতে আরো চার দিন বাকি।

প্রবাস আয়ের ধারা বিবেচনা করলে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, চলতি মাসে নতুন রেকর্ড করতে যাচ্ছে প্রবাস আয়।

আরো পড়ুন
ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি পান করা কতটা নিরাপদ

ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি পান করা কতটা নিরাপদ

 

জানা যায়, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম ঈদ সমাগত। বিদেশ থেকে প্রবাসীরা বৈধ পথে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। 

ব্যাংকাররা বলছেন, মূলত অর্থপাচার কমে আসায় প্রবাসীরা তাঁদের আয় পাঠাতে বৈধ পথকে বেছে নিয়েছেন।

এর ফলে পবিত্র রমজান মাসে প্রবাস আয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

প্রবাস আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে কর্মকর্তারা জানান। তাঁরা বলেন, ডলারের দাম নিয়ে অস্থিরতাও কমেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাস আয় কিনছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাস আয় আসে ১৬৬ কোটি ডলার।

চার দিন পরে, অর্থাৎ ১৯ মার্চে ব্যাংকিং চ্যানেল তথা বৈধ পথে আসা প্রবাস আয় দাঁড়ায় ২২৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে শুধু ১৯ মার্চ এক দিনেই এসেছে ১৩ কোটি ডলার। আবার ১ থেকে ২২ মার্চ তথা মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাস আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪৩ কোটি ডলার, যা ২৪ মার্চে বেড়ে ২৭০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। আর ২৬ দিনে আয় বেড়ে হয় ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গড়ে ১১ কোটি ও দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ে ১২ কোটি ডলার করে এসেছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিকাশ, নগদ ও রকেটে দিনে ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিকাশ, নগদ ও রকেটে দিনে ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যাবে
ফাইল ছবি

মোবাইলে ব্যাংকিং বা আর্থিক সেবার (এমএফএস) লেনদেন সীমা বাড়ানো হয়েছে। তাই মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা এসব হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন। আগে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা জমা রাখার সুযোগ ছিল। এ ছাড়া লেনদেন সংখ্যার সীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের এ নতুন সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ঈদের আগে গ্রাহকের লেনদেনের পরিমাণ বেশ বেড়ে গেছে, এমন পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

এখন থেকে একজন গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে দিনে ৫০ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জমা (ক্যাশ-ইন) করতে পারবেন। একই সঙ্গে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা তোলা বা ক্যাশ আউট করা যাবে।

মাসে করা যাবে ২ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তি হিসাবে আগে ৩০ হাজার টাকা জমা করা যেত, এখন তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হলো। একইভাবে প্রতি মাসে একজন গ্রাহক দুই লাখ টাকা জমা করতে পারতেন, তা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তি হিসাবে আগে ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা যেত, তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

একইভাবে প্রতি মাসে এজেন্ট থেকে আগে গ্রাহকেরা দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারতেন, তা বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে।

পাশাপাশি একজন ব্যক্তি হিসাবধারী আরেকজন হিসাবধারীকে দিনে ২৫ হাজার টাকা পাঠাতে পারতেন, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রতি মাসে একজন হিসাবধারী তিন লাখ টাকা অন্য হিসাবধারীকে পাঠাতে পারবেন, আগে যা ছিল দুই লাখ টাকা। এক হিসাবে আগে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখা যেত, তা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে।

মন্তব্য

ভারত থেকে কেনা হবে আরো ৫০ হাজার টন চাল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত থেকে কেনা হবে আরো ৫০ হাজার টন চাল
সংগৃহীত ছবি

সরকার ভারত থেকে আরো ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনবে। এতে ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১০ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনা হবে।

প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। 

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
টানা ছুটিতেও স্থবির হবে না অর্থনীতি : অর্থ উপদেষ্টা

টানা ছুটিতেও স্থবির হবে না অর্থনীতি : অর্থ উপদেষ্টা

 


 
এর আগে, গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর কয়েক দফায় ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

ভারতের পাশাপাশি চাল আমদানি হচ্ছে মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকেও।
 
সভায় চাল ছাড়াও এলএনজি ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ