বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না।’
আজ রবিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল আয়োজিত গুম-খুনের শিকার পরিবারের সদস্যদের মাঝে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা রয়ে গেছে।
তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র করছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না।’
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনকালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের যেসব নেতাকর্মী গুম, খুন ও হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের ও তাদের পরিবারের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উদাসীন। এসব পরিবারের শোক ও মাতম আমরা দেখতে পাই না।
তাদের ব্যথা শুধু তাদের পরিবারই বুঝতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ১৭/১৮ জন রিকশা শ্রমিক শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারগুলো অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে। পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের স্কুল-কলেজে লেখাপড়ার খরচ-বেতন দিতে পারছে না। আজকের অন্তর্বর্তী সরকার যেমন ছাত্রদের, তেমন সাধারণ জনগণ ও শ্রমিকদেরও।
এসব পরিবারকে পুনর্বাসন করার দায়িত্ব এই সরকারের।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘কী সংস্কার করবে, নাকি করবে না তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়িমসি করছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার একেক সময় একেক কথা বলছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিখোঁজ হওয়া, হারিয়ে যাওয়া, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যার মতো দুনিয়া কাঁপানো আন্দোলনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তারা নির্বাচন দিতে দেরি করে কেন?’
রিজভী বলেন, ‘কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের হঠাৎ করে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে ঈদের প্রাক্কালে।
কী কারণে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা বলছে না, আমি চার থেকে পাঁচবার এসপিকে ফোন দিয়েছি, তিনি ফোন ধরছেন না। বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসিনার অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করেছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, হত্যার শিকার হয়েছে। এখনো সেটাই হচ্ছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সহ-সভাপতি ডা. আব্দুল আওয়াল।