হাসপাতাল ছাড়বেন পোপ ফ্রান্সিস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাসপাতাল ছাড়বেন পোপ ফ্রান্সিস

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ রবিবার (২৩ মার্চ) রোমের জেমেলি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন তিনি। খবর বিবিসির।

শনিবার জেমেলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পোপের তত্ত্বাবধানকারী দলের প্রধান ডা. সার্জিও আলফিয়েরি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আজ আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আগামীকাল পোপ ফ্রান্সিস বাড়িতে থাকবেন। পবিত্র পিতাকে আগামীকাল থেকে স্থিতিশীল অবস্থায় হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে এবং আংশিকভাবে ওষুধ থেরাপি এবং কমপক্ষে দুই মাসের সুস্থতা এবং বিশ্রামের সময়কাল অব্যাহত রাখার জন্য একটি প্রেসক্রিপশন থাকবে।

আরো পড়ুন
ভারতের দেওয়া তথ্য শেখ হাসিনা উপেক্ষা করেছিলেন : জয়শঙ্কর

ভারতের দেওয়া তথ্য শেখ হাসিনা উপেক্ষা করেছিলেন : জয়শঙ্কর

 

ফুসফুসের জটিল সংক্রমণ নিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ৮৮ বছর বয়সি পোপ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর প্রায় এক মাস ধরে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

তবে এর মাঝেও তিনি তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আর্জেন্টাইন এই ধর্মগুরু ১২ বছর ধরে রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যার অভিযোগ
ছবিসূত্র : আরএসএফের শেয়ার করা ফুটেজ থেকে সংগৃহীত/ বিবিসি।

সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের একটি বাজারে বিমান হামলায় শত শত মানুষকে হত্যার জন্য সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সুদানের গৃহযুদ্ধে উভয় পক্ষের নির্যাতনের নথিভুক্তকারী জরুরি আইনজীবী গোষ্ঠী বলেছে, তুর'রা বাজারে বোমা হামলা একটি ‘ভয়াবহ গণহত্যা’।  যার ফলে শত শত আহতও হয়েছে।

সেনাবাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।

পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে বাজারে মৃতদেহগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশগুলো চেনা যাচ্ছে না। হামলায় মার্কেটের বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মার্কেটের ধ্বংসাবশেষ থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে।
 

সেনা-অধিকৃত এল-ফাশার শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২১ মাইল) উত্তরে অবস্থিত এই বাজারে হামলায় নিহতের সংখ্যা বা সঠিক তারিখ বিবিসি নিশ্চিত করতে পারেনি। দারফুরের একটি কর্মী গোষ্ঠী ‘দারফুর ইনিশিয়েটিভ ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস’ গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে। একে তারা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক বোমা হামলা বলে অভিহিত করেছে। 

আরো পড়ুন
মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

 

একজন সামরিক মুখপাত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, তারা কেবল বৈধ শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির নৃশংস গৃহযুদ্ধে যুদ্ধ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বোমা হামলা এবং গোলাবর্ষণে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু তীব্র হয়েছে।

সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আরএসএফ উভয়ের বিরুদ্ধেই বারবার বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আরএসএফ দারফুরে ড্রোন মোতায়েন করেছে, কিন্তু সেনাবাহিনীর হাতে যুদ্ধবিমান রয়েছে এবং তারা নিয়মিতভাবে অঞ্চলজুড়ে আরএসএফ অবস্থানগুলোতে হামলা চালায়। সেনাবাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একটি আধাসামরিক গোষ্ঠী, যা দারফুরের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। 

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, দুর্ভিক্ষ এবং ক্ষুধা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লড়াইয়ে কমপক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

তবে আরএসএফ দারফুরে গণহত্যা চালাচ্ছে এমন প্রমাণ অস্বীকার করেছে। যার মধ্যে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং ‘জাতিগত নির্মূল’ করার জন্য আরব নয় এমন নারীদের ধর্ষণ অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘের মতে, সুদান বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর
ছবি : এএফপি

ইউক্রেনে সার্বিক যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে একমত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে, সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। তার আগে ইউক্রেনের সঙ্গেও আলোচনা হয় মার্কিনিদের।

সেখান থেকেই কৃষ্ণ সাগর গিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না করার বিষয়ে পৃথকভাবে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

যদিও বৈঠক চলাকালেও একে-অপরের ওপর ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছিল মস্কো ও কিয়েভ।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার রোধ করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষই।’

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেন।

এসব হামলার কারণে এক পর্যায়ে ক্রিমিয়ার নৌঘাঁটি থেকে বেশ কিছু জাহাজ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় মস্কো।

ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে রাশিয়া আক্রমণ চালালেও এখনো ওডেসা অঞ্চলের প্রধান তিনটি সমুদ্রবন্দর থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে শস্য, লোহা ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে যাচ্ছে কিয়েভ।

তবে যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান রপ্তানি কেন্দ্র মাইকোলাইভ বন্দর এখনো বন্ধ আছে।

এ কারণেই চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে নৌ ও আকাশপথে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মন্তব্য

৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা
সংগৃহীত ছবি

প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন জাপানি এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অবশেষে তাঁকে ক্ষতিপূরণসহ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

৮৯ বছর বয়সী ইওয়া হাকামাতাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ২১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ক্ষতিপূরণ প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি।

হাকামাতার আইনজীবীদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জাপানের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারি মামলার জন্য এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ।

১৯৬৮ সালে হাকামাতা তাঁর বস, বসের স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত বছর নতুন করে মামলাটি পর্যালোচনা করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।

হাকামাতার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ৪৭ বছর কারাগারে থাকার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

বিচারক কুনি কোশি সোমবার ওই ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন এবং স্বীকার করেন যে, হাকামাতা অত্যন্ত গুরুতর মানসিক ও শারীরিক কষ্ট ভোগ করেছেন।

হাকামাতাকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ প্রদান করবে জাপান সরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এটিকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

হাকামাতার মামলা জাপানের দীর্ঘতম ও অন্যতম আলোচিত বিচারিক ঘটনা। ২০১৪ সালে তাঁর মামলাটি পুনরায় বিচারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তখনই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই মামলাটি যারা তদন্ত করেছিলেন, তাঁরাই হাকামাতাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে ফাঁসিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।

এ অবস্থায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর শিজুওকার একটি আদালতে বিচারক হাকামাতাকে খালাস দিলে, সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষ ‘বানজাই’ (হুররে) বলে উল্লাস প্রকাশ করেন।

তবে মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনের সেই শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি হাকামাতা।

এই মামলা জাপানের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে পুনঃবিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগের বিষয়ে।

মন্তব্য

সপ্তাহ না যেতেই গাজায় ৮০০ মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সপ্তাহ না যেতেই গাজায় ৮০০ মৃত্যু
ছবি : এএফপি

যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলা শুরুর পর থেকে গত এক সপ্তাহে ৭৯২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৬২ জন।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে ৭৯২ জন নিহত এবং ১,৬৬৩ জন আহত হয়েছেন।

যার ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫০,১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন
সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন

সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন

 

প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতি চলার পর গত মঙ্গলবার থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ইসরায়েলের আক্রমণ আরো বিস্তৃত হয়েছে বলে গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার খান ইউনিস ও রাফায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ