<p>উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কবে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বার্তা মিলছে না। এতে সেশনজটের আশঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।   </p> <p>জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য-শিক্ষক সমিতি এবং ছাত্রলীগের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন কয়েকজন শিক্ষক।</p> <p>শিক্ষক সমিতি ওই হামলার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে দায়ী করে তার পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলন শুরু করে। টানা ১৪ দিন চলে শিক্ষকদের আন্দোলন। এতে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।</p> <p>ওই সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের জানান, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।</p> <p>এমতাবস্থায় ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এর পর থেকেই স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম। কবে নাগাদ খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়, সে বিষয়ে নেই কোনো সদুত্তর। </p> <p>এদিকে এক মাস ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অন্তত আটটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। পাশাপাশি আটকে আছে অনেক বিভাগের রেজাল্টও।</p> <p>শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের জিম্মি করে দুটি পক্ষ অপরাজনীতির করছে। নিজেদের স্বার্থে তারা শিক্ষার্থীদের ক্ষতির বিষয়টি উপেক্ষা করে চলছে। </p> <p>এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘প্রায় এক মাস হলো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। আমরা সেশনজটে পড়তে যাচ্ছি। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত খুলে দেওয়া হোক।’</p> <p>শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘উপাচার্য সিন্ডিকেট ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিক। তারপর আমরা সাধারণ সভা ডেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, সেটাই গ্রহণ করব। আমরাও ক্লাসে ফিরতে চাই। সে জন্য আগে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে।’</p> <p>উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমরা দু-এক দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা ডাকার চেষ্টা করব। সিন্ডিকেটে পরবর্তী সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোচনা করব।’</p>