<p>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন তিন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা অনশন শুরু করেন। </p> <p>অনশনকারী তিন শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান মাসুম, ফোকলোর বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আল শাহরিয়া শুভ এবং পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ। </p> <p>মেহেদী মারুফ বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল কোটার বিরুদ্ধে। আমাদের দেড় হাজার ভাইবোন শহীদ হওয়ার পরও সেখানে যদি কোটা বহাল থাকে তাহলে আমরা কিসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলাম? আর কত দিন আমাদের সামনে এই কোটা নামক বিষফোড়া থাকবে। শিক্ষকদের কি এতই দৈন্যদশা যে তাদের সন্তানদের পোষ্য কোটা লাগবে? তারা কি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী?’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাবিতে কোটা নির্ধারিত আসনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/03/1730642283-c6451dc02590cadcda1acad2af4cfb97.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাবিতে কোটা নির্ধারিত আসনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/11/03/1442331" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই আমরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন এটি কোনোভাবেই কর্ণপাত করেনি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে প্রশাসন এসেছে তারা শিক্ষার্থীবান্ধব। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কোটা প্রথা রাখবে না বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা কোটা বহাল রেখেছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো আশ্বাসে এই আন্দোলন প্রত্যাহার করব না।’</p> <p>মেহেদী হাসান মাসুম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা প্রাণ দিয়েছেন। তার পরও কেন বৈষম্য থাকবে? ওই সময় যে শিক্ষকেরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব পাওয়ার পর তারা আর আমাদের সঙ্গে নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত পোষ্য কোটা বাতিল করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’</p> <p>আল শাহরিয়া শুভ বলেন, ‘দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের সন্তানদের জন্য তো কোনো কোটা নেই। আমরা পোষ্য কোটা সংস্কার নয়, পুরোপুরি বাতিল চাই।’</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয় ও জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকেলে জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729788729-4cdf551601d6c7f9abbd061ebd247d38.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/10/24/1438805" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। দাবি মেনে না নিলে তিনিও প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।</p> <p>আরেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা-পোষ্যতে জিরো টলারেন্স। মুক্তিযোদ্ধা কোটা দিলে শহীদ, আহত ও সমন্বয়ক কোটা দিতে হবে। পোষ্য কোটা নিতে হলে বাপরে চাকরি থেকে রিজাইন দিতে হবে।’</p>