<p style="text-align:justify">শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের ওয়াল ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে সংঘটিত ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ উপলক্ষে শেকৃবির বিভিন্ন দেয়ালে শিক্ষার্থীদের হাতে আঁকা গ্রাফিতির সমন্বয়ে ক্যালেন্ডারটি ডিজাইন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">ক্যালেন্ডারটিতে দেখা যায়, পাঁচটি গ্রাফিতির ছবি কোলাজ করে ক্যালেন্ডারের ওপরের অংশে স্থান দেওয়া হয়েছে। মাঝখানে বৃত্তে ঘেরা লাল-সবুজের ওপর কালো কালিতে আঁকা হয়েছে ‘রক্ত দিয়ে পেয়েছি বাংলাদেশ’। ডান পাশের ওপরের অংশে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর লাল ও হলুদ কালিতে আঁকা হয়েছে ‘গণজোয়ার ২০২৪’। ঠিক এর নিচের ছবিতেই দেখা যায়, হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর সবুজ ও লাল কালিতে আঁকা হয়েছে ‘স্বাধীনতা ৩৬ জুলাই ২৪’। </p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া বাঁ পাশে নিচের ছবিতে দেখা যায়, হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর লাল কালিতে আঁকা হয়েছে মুষ্টিবদ্ধ হাতে চারটি কালো শিকল। হাতটির বামপাশে কালো ও লাল কালিতে আঁকা হয়েছে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ এবং ডান পাশে আঁকা হয়েছে ‘ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট’। বাঁ পাশে ওপরের ছবিতে দেখা যায়, আকাশি রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপরের অংশে আঁকা ‘গ্রাফিতিতে ফুটিয়ে তোলো তোমার বিপ্লব’। ঠিক এর নিচেই সবুজ ও লাল কালিতে আঁকা ‘বিপ্লবের রঙে শেকৃবি’। </p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘যাদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা, ক্যালেন্ডারে তাদের স্মরণ রাখার একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। আমরা এই কার্যক্রমের স্বাগত জানাই। জুলাই আন্দোলনের শহীদের ত্যাগের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যক্তি জীবনে ধারণ করে সমাজ এবং রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে যেন কোনোভাবেই এই অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ না হয়।’</p> <p style="text-align:justify">উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের বাংলাদেশ। তাদের ত্যাগের বিনিময়েই আমরা দীর্ঘদিনের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছি। তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমরা ক্যালেন্ডারটি এভাবে ডিজাইন করেছি।’</p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের সম্মানার্থে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের ওয়াল ক্যালেন্ডারে ২৪-এর অভ্যুত্থান উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে আঁকা বাছাইকৃত কিছু গ্রাফিতিকে স্থান দিয়েছি।’</p>