রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রদলের উদ্যোগে গণসাহরির আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্নধর্মী এই আয়োজন ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণসাহরির এই আয়োজন করে ছাত্রদল। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ব্যতিক্রমী এই গণসাহরির আয়োজন।
এ সময় ক্যাম্পাসের অসংখ্য শিক্ষার্থী একসঙ্গে সাহরি করেন। মেয়েদের জন্য ছিল হলভিত্তিক পার্সেলব্যবস্থা।
আরো পড়ুন
হাসিনাকে আ. লীগ নেতার গান শোনানোর অডিও ভাইরাল, বিএনপির বিক্ষোভ
আয়োজকরা জানান, রমজানের সিয়াম সাধনায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতেই তারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রায় ১৮০০ জনের জন্য এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাইরে অংশগ্রহণ করেন অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীও।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই। রমজান সংহতি ও সহমর্মিতার মাস। এ আয়োজন তারই প্রতিফলন।’
সাহরি করতে আসা শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রদল একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে- এ রকম উদ্যোগ এর আগে কখনো কেউ নেয়নি।
আমরা চাই এ রকম উদ্যোগ ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে চলতে থাকুক। আজকে ছাত্রদল ইফতার করাচ্ছে, আগামীকালকের ইফতার শিবিরের পক্ষ থেকে হোক। সাহরি করলাম ছাত্রদলের, ইফতার করলাম শিবিরের- এভাবেই ভালো প্রতিযোগিতা চলতে থাকুক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও করুক এমন আয়োজন।
আরো পড়ুন
শহীদ জসিমের মেয়েকে নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির
এ বিষয়ে শেকৃবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা শেকৃবি ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে পরামর্শ করে এ ধরনের গণসাহরির আয়োজন করেছি।
শিক্ষার্থীরা পরামর্শ দেয় এ ধরনে আয়োজন আগে কোথাও হয়নি। আমাদের গণসাহরিতে প্রায় ১৮০০ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং নিরাপত্তারক্ষীর জন্য সাহরির আয়োজন করেছি। এখানে প্রায় দুই হাজারেরও অধিক লোকসমাগম ঘটেছে। মেয়েদের খাবারগুলো আমরা মেয়েদের হলে পৌঁছে দিয়েছি।’
শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে আমাদের যেসব ভাই শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য এবং আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আমরা শেকৃবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে গণসাহরির আয়োজন করেছি। আমাদের আয়োজনের আরেকটা অন্যতম উদ্দেশ্য, আমাদের নিজেদের মধ্যে একটা বন্ডিং তৈরি করা।'
আরো পড়ুন
বিশ্ব ইজতেমায় জঙ্গি হামলা, রিমান্ডে নাট্য ব্যক্তিত্ব এহসানুল বাবু
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখানে ছাত্রীদের জন্য আলাদা পার্সেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ছাত্র ভাইদের সাথে একসাথে বসে খাওয়ার মাধ্যমে যেন আমাদের মধ্যে একটা ভ্রাতৃত্ব বোধ তৈরি হয়। এখানে ধর্ম বর্ণ জাতি গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে যেন আমরা এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে পারি, সে জন্যই এই আয়োজন।'