ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

গণপিটুনির শিকার ভ্যানচালক মিনু মিয়া না ফেরার দেশে

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
গণপিটুনির শিকার ভ্যানচালক মিনু মিয়া না ফেরার দেশে

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সয়া হাটে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার নিরীহ ভ্যানচালক মিনু মিঞা অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। টানা ৯ দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে মারা যান তিনি। তিনি ভূঞাপুর উপজেলার কোরবান আলীর ছেলে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মিনু মিঞার বড় ভাই আব্দুল আজিজ জানান, মিনু মিঞা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাত। বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়ায় এবং ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে টেপিবাড়ি স্কুলের নিকট রাস্তা ভেঙে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ও কর্মহীন হয়ে পড়ে। সংসার চালানোর তাগিদে ও গত ২১ জুলাই কালীহাতীর সয়া হাটে যায় মাছ ধরার জাল কিনতে। এ সময় ওই এলাকার চিহ্নিত এক কিশোর তার পকেটে হাত দিলে মিনু তার হাত ধরে ফেলে।

এ সময় ওই চতুর কিশোর ছেলেধরা বলে চিৎকার করলে গণপিটুনির শিকার হয় ও।

নির্যাতনকারীরা মৃত ভেবে ওকে ফেলে গেলে পুলিশ মিনুকে উদ্ধার করে কালিহাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেন হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যায়।

মিনুর সংসারে রয়েছে ছয় বছরের ছেলে ও ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।

এদিকে কিছু উৎসুক জনতা মিনুর গণপিটুনীর সময় তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। মিনুর নির্যাতনকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভূঞাপুরে ভ্যান-রিকশা শ্রমিকরা ও এলাকাবাসী পৃথকভাবে মানববন্ধন করেছে।

মিনুর গণপিটুনির ঘটনায় তার বড় ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন বলেন, মিনু মিঞাকে গণপিটুনির মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি মৃত্যুবরণ করায় এখন হত্যা মামলা নেওয়া হবে।

মন্তব্য
ঠাকুরগাঁও

কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ধ্বংস কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ধ্বংস কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁওয়ে গত শনিবার দিবাগত রাতে (১৩ এপ্রিল) ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে এবং কৃষকদের মূল্যবান ফসল, বিশেষ করে পেঁয়াজের বীজ, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়।

এলাকাবাসী জানায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে আকস্মিকভাবে প্রবল বেগে বাতাস বইতে শুরু করে।

সেই সঙ্গে বজ্রপাত ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ভেঙে পড়তে শুরু করে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ।

ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজের বীজ বপনের মৌসুম চলছে।

অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই তাদের জমিতে বীজ বপন করেছেন। ঝড়ের পর মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জমির মাটি সরে গিয়ে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহমত আলী হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছিলাম।

ঝড়ের পরে সকালে মাঠে গিয়ে দেখি, কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব নষ্ট হয়ে গেছে।'

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়ন গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের শুধু পেঁয়াজবীজই নয়, সঙ্গে থাকা কিছু টমেটো ও মরিচগাছও ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এক রাতের ঝড় আমার অনেক দিনের কষ্টের ফসল কেড়ে নিল।’

এদিকে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ‘ঝড়ে ভুট্টা ১০.৭৫ হেক্টর, মরিচ ১ হেক্টর, শাকসবজি ১.৫ হেক্টর, পেঁয়াজবীজ ৫০ হেক্টর এবং লালশাক ২ হেক্টরসহ মোট ৬৫.৪৮২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হবে।'

মন্তব্য

নিজেদের সম্পত্তি বুঝে পেতে চায় শতাধিক জমির মালিক

খালিদ সাইফুল
খালিদ সাইফুল
শেয়ার
নিজেদের সম্পত্তি বুঝে পেতে চায় শতাধিক জমির মালিক
ছবি : কালের কণ্ঠ

মাথা গোঁজার স্বপ্নে সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি বাড়ি করতে চান অনেকেই। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কুষ্টিয়ার হাউজিং স্টেটের চতুর্থ পর্বে প্লটপ্রাপ্তরা ১০ বছরেও বুঝে পাননি বরাদ্দকৃত জমি।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য

প্যারালাইজড স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর সংগ্রামী জীবন

এম সাইফুল ইসলাম
এম সাইফুল ইসলাম
শেয়ার
প্যারালাইজড স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর সংগ্রামী জীবন
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঝুপড়ি ঘরে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বাস করছেন হতদরিদ্র ঝর্ণা বেগম। কখনও খেয়ে আবার কখনও না খেয়ে কোনো রকমে চলছে তাদের সংসার। শশুরবাড়িতে কোনো সম্পত্তি না থাকায় মাথা গোঁজার ঠায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডুমুরিয়া উপজেলার পৈত্রিক ভিটার ছোট একটি ঘর। 

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য
নেত্রকোনা

ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১৮

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
শেয়ার
ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১৮
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনার মদনে ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইমাম হোসেন (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আখাশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

আরো পড়ুন
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আহত তৌহিদ মিয়া ও ক্বারী ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক থানায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আখাশ্রী গ্রামের কৃষক সোনাতন মিয়ার একটি বোরোক্ষেতের ধান খাচ্ছিল একই গ্রামের আকবর মিয়ার ছাগল।

এ নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে দুই কৃষকের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে দুই পক্ষের ১৮ জন আহত হন। এর মধ্যে আহত ইমাম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গতকাল শনিবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি।

আরো পড়ুন
বিমানে হেনস্তার শিকার গায়িকা ইমন চক্রবর্তী

বিমানে হেনস্তার শিকার গায়িকা ইমন চক্রবর্তী

 

মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘আখাশ্রী গ্রামে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ এখনো ময়মনসিংহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ