পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়, দিনটি আমাদের ঐক্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে। পহেলা বৈশাখ আমাদের নতুন বছরকে আশা ও অনুপ্রেরণায় ভরে তোলে। নতুন বর্ষবরণে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আয়োজিত হচ্ছে গ্রামীণ বৈশাখী মেলা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৬ ইউনিয়নে আয়োজন করা হচ্ছে এই মেলার।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, দেশীয় ঐতিহ্যবাহী লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা মোল্লা পাড়া মাঠে লোকজ মেলা ও ঘৌড় দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছে। সাভার হামজা মাঠে, দিঘলীয়া ইউনিয়নে প্রফিল্ল ঋষিপাড়ায়, বালিয়াটি ইউনিয়নে ভাটারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বাহ্রা ঋষিপাড়ায়, দরগ্রাম ইউনিয়নে সাফুল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেবারিয়া গ্রামে তিল্লী ইউনিয়নে পশ্চিম চরতিল্লী, ধানকোড়া ইউনিয়নে খল্লী দাসপাড়া গ্রামীণ লোকজ মেলার আয়োজন করে স্থানীয় গ্রামবাসী।
আরো পড়ুন
কুলাউড়ায় ট্রেন থেকে ১১ বগি বিচ্ছিন্ন, ৩ ঘণ্টা বিলম্বে যাত্রা
এসব মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসে।
মেলাকে সামনে রেখে অনেক ব্যবসায়ী কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেন। মেলায় মৃৎশিল্পসহ অনেক লোকজ শিল্প পসরা বসে। যদিও এসব মেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো জৌলুস। শহুরে মেলা জাঁকজমক হলেও গ্রামীণ এসব মেলায় লোকসমাগম কম হয়। মেলা স্থান এবং আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাঙালির প্রাণের স্পন্দন বৈশাখী উৎসব। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে এক কাতারে এসে দাঁড়ায় এ উৎসবে। মেলায় নাগরদোলা, সাকার্স, যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লাঠি খেলা, ঘৌড়দৌড় থাকত। নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এ মেলার আয়োজন।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, বৈশাখী বর্ষবরণ উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। সব ধর্ম, সব জাতি এক কাতারে এসে উৎসব পালন করে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বর্ষবরণের নানা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন
৭ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ আইন উপদেষ্টার
সাটুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বর্ষবরণ উপলক্ষে লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। তবু আমরা সতর্ক রয়েছি।’