আমরা জানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে শিক্ষার্থীদের বেতন দিতে হয় না। প্রাইভেট বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বেতন দিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। কিন্তু এমনই একটি প্রাইভেট বিদ্যালয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে যে বিদ্যালয়ে মাসিক বেতন, স্কুল ড্রেস ও টিফিনসহ অন্যান্য যাবতীয় কোনো খরচই শিক্ষার্থীদের দিতে হয় না। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর মাসিক বেতন পর্যন্ত বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা বহন করে থাকে।
পড়াশোনা করতে খরচ লাগে না যে বিদ্যালয়ে
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

জানা যায়, ২০১৬ সালে ৪০ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন মো. নুরুল এলাহী নামের এক ব্যক্তি। বিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪০ জন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা নুরুল এলাহী ও তার স্ত্রী মিসাকো জাপানে থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে ভিডিও কন্সফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন। তাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও তার স্ত্রী দুজনই ভিডিও কন্সফারেন্সের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন ও বিদ্যালয়টির সব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।
বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজুমা আক্তার, জিদনী আক্তার, মহিমা আক্তার, সাগর ও শান্ত জানায়, এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আমাদের কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেওয়া হয় না। বই, খাতা ও কলম পর্যন্ত আমাদেরকে বিনা পয়সায় দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, অজপাড়াগাঁয়ে এমন একটি বিদ্যালয় পেয়ে এলাকাবাসী খুবই উপকৃত হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা বিনা পয়সায় পড়াশোনা করতে পারছে। এ ধরনের বিদ্যালয় অন্য কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই।
বিদ্যালয়ের পরিচালক মো. নুরুল ইমাম বাবু বলেন, আমার বড় ভাই মো. নুরুল এলাহী ৩১ বছর ধরে জাপানে থাকেন। সেখানে তিনি মিসাকো নামের এক জাপানি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তারা দুজনই একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করেন। আমার ভাইয়ের স্বপ্ন বিদ্যালয়টিকে পর্যায়ক্রমে কলেজে উন্নিত করবেন। কলেজ পর্যন্ত পড়তে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন নেওয়া হবে না বলে ভাই জানিয়েছেন।

গাজীপুর সাফারি পার্কের জরাজীর্ণ অবস্থা থাকবে না : পরিবেশ উপদেষ্টা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর

গাজীপুরের সাফারি পার্কে জরাজীর্ণ অবস্থা থাকবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘জরাজীর্ণ অবস্থা কেন থাকবে। আপনার জিনিসপত্র কেমন জরাজীর্ণ, তা দেখেই আপনার কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) কেমন কাজের প্রতি সেটা বোঝা যায়। এরকম জরাজীর্ণ অবস্থা থাকবে না, ইনশাআল্লাহ।
আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কে বিভিন্ন প্রাণী বেষ্টনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমার (সাফারি পার্ক) ঘুরে দেখার সামগ্রিক অভিজ্ঞতাটা ইতিবাচক হলো। তিনটা জায়গায় আমার সত্যিই খারাপ লেগেছে। একটি হলো যেখানে হাতিগুলো রাখা হয়েছে সেটা, আরেকটা যেখান থেকে লেমুর তিনটি চুরি হয়ে গেল বা আমরা আর খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, এখানে আমার মনে হয়েছে, একটা সাফারি পার্কে যারা আসবে, তারা প্রাণীকে দেখে প্রাণীকে ভালোবাসবে। ভালোবাসাটা জাগাবার জন্যই সাফারি পার্কের আয়োজন। তা নাহলে তো চিড়িয়াখানার পর আর সাফারি পার্কের প্রয়োজন ছিল না।
লেমুর চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব আমি বিস্তারিতভাবেই তদন্ত করবো। সেখানে আমি বাইরের বিশেষজ্ঞও অন্তর্ভুক্ত করবো। কী করে ভবিষ্যতে এটা প্রতিহত করা যায়, এটা দেখবো। লেমুর তিনটি যেখান থেকে হারিয়ে গেছে সে জায়গাটা অরক্ষিত, এ কথাটা আমি কখনোই বলবো না। এখানে ভেতরে ঢোকার সুযোগটা তারা (চোর) কেমন করে পেল, এটার ব্যাখ্যা তো আমি অবশ্যই দেখবো।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘কেনো বারবার এরকম ঘটনা ঘটছে। বিরল প্রজাতির যেসব বন্যপ্রাণী আমরা এখানে এনে রাখছি সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। একই জায়গা থেকে যখন ময়না পাখি হারায় না, টিয়া পাখি হারায় না, কিন্তু লেমুর যখন হারায়; তখন বুঝতে হবে এখানে কোনো একটা সমস্যা আছে। সে সমস্যাটা আজ আমি চিহ্নিত করবো। আমার মনে হয়, এই সাফারি পার্কের ব্যবস্থাপনাটাকে আরো অনেক উন্নত করা যায়, আরো অনেক প্রাণীবান্ধব, আরো অনেক দর্শনার্থীবান্ধব করা যায়।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে দেওয়া হয়নি। সবকটাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে। হারিয়ে গেছে মানেই হলো আমার যা করার কথা, আমি তা করতে পারি নাই বা আমি তা করি নাই।’
এর আগে উপদেষ্টা কোর সাফারি পার্ক, সাফারি কিংডমসহ বিভিন্ন প্রাণী বেষ্টনী ঘুরে দেখেন। ওই সময় পার্কটির কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার (এসপি) ড. চৈৗধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় সার্কেলের বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন প্রমুখ।

চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক অবরোধ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মানিকগঞ্জে একটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়কে তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় চায়না হার্ডওয়্যার বিডি কম্পানিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দুপুর ২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
শ্রমিকরা জানান, আমাদের মালিক পক্ষ আমাদের শ্রমের ন্যায় মূল্য দেয় না। বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও মাসিক মাত্র ৭ হাজার টাকা বেতন দেয়।
শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম ফয়েজ উদ্দিন জানান, মহাসড়ক অবরোধের কথা শুনে ঘটনা স্থলে আসি। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়। চলতি মাসের ২১ তারিখের মধ্যে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রচলিত শ্রম আইনে তাদের বেতন কাঠামো ঠিক করে দেবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক

নাটোরের লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন।
পুলিশ সুপার বলেন, রুবেলকে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে গ্রেপ্তার করে লালপুর থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে রুবেলকে লালপুর উপজেলার গৌরীপুর গ্রাম থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আটক করে লালপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেয়। এ সময় অসম্মতি জানালে একপর্যায়ে হট্টগোল করে থানা থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে থানা থেকে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সমর্থকরা। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের নামে মামলা করা হয়। অভিযুক্তদের আটক করতে রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে নাটোর থানায় রাখা হয়েছে।

গণপিটুনির শিকার সাবেক এমপি আজিজ আরেক মামলায় কারাগারে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সদ্য কারামুক্ত সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজকে জেলগেট থেকে ধরে মারধর করে থানায় সোপর্দ করার পর আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ আদালতের কোর্ট পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, ‘আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজকে তাড়াশ আমলী আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক গোলাম ওমর ফারুক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তাড়াশ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি নাশকতার মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে হাইকোর্ট থেকে একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় জামিন পান সাবেক এমপি ডা. আব্দুল আজিজ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশের কাগজপত্র সিরাজগঞ্জ কারাগারে আসে বলেও জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ কারাগারের সুপার এস. এম কামরুল হুদা বলেন, ‘জামিনের নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সাবেক এমপি ডা. আব্দুল আজিজকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কারাগারের সামনের রাস্তা থেকে ছাত্র-জনতা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে শুনেছি।
সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি ডা. আব্দুল আজিজকে সদর থানায় সোপর্দ করেন। এরপর তাড়াশ থানার একটি নাশকতার মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।’
এদিকে, সাবেক এমপি ডা. আব্দুল আজিজ জামিনে মুক্ত হওয়ার প্রতিবাদে তাড়াশ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জ সদর থানার সামনে মঙ্গলবার রাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জামিন পেলেও জেলগেট থেকে শোন অ্যারেস্ট করে পুনরায় কারাবন্দি করা হত। অথচ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট এমপিরা জামিন পাওয়ার পর প্রশাসন তা করছে না। এসব এমপিরা জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরতে পারলে আবারও সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করবে এবং রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করবে তুলবে বলে আমরা আশংকা করছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসির মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ বুধবার বিকেলে আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজ হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। এরপর সিরাজগঞ্জ কারাগারের সামনে গিয়ে জেল সুপারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হই।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা মোটর এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল থেকে র্যাব সদস্যরা সাবেক এমপি ডা. আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাড়াশ থানায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। এ মামলায় সাবেক এমপি আজিজসহ আওয়ামী লীগের ৯৯জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছিল।