ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়

হিজাবের জন্য নয়, শিক্ষার্থীদের পেটানো হয় স্কুল ড্রেস না পরায়

বদলগাছী, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
বদলগাছী, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
শেয়ার
হিজাবের জন্য নয়, শিক্ষার্থীদের পেটানো হয় স্কুল ড্রেস না পরায়

নওগাঁর মহাদেবপুরের দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের পেটানো হয়নি। স্কুল ড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মেরেছিলেন শিক্ষিকা আমোদিনী পাল। হিজাব ইস্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের জন্য নয়, নির্ধারিত স্কুল ড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মেরেছিলেন। একই দিনে বদিউল আলম নামে আরেক শিক্ষকও মেরেছিলেন শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন।

এ ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদনে গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গুজব ছড়ানোর পেছনে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নামও উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরে ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, স্কুল ড্রেস না পরার কারণে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষক বেত্রাঘাত করেন। তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল। হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে, এমন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য
কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ

পদ্মায় বালু লুটের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পদ্মায় বালু লুটের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটের ঘটনায় কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত। শুক্রবার (২১ মার্চ) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমলযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরেও মামলা না করায় আদালত এই আদেশ দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারকে সংবাদে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে রাত গভীর হওয়ার সঙ্গেই শুরু হয় বালু লুটের মহোৎসব। প্রায় ৪ থেকে ৫টি কাটার দিয়ে চলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ। এতে বিপাকে মেঘুলা, নারিশা ও মুকসুদপুর এলাকার বেড়িবাঁধ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব কাটার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ভিটে বাড়ি হারিয়েছে পদ্মাপারের অন্তত দুই শ পরিবার।

মন্তব্য

ঠাকুরগাঁওয়ে নারীর শরীরে স্পর্শ, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে নারীর শরীরে স্পর্শ, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁওয়ে এক নারীর শরীরে স্পর্শ করায় জহিরুল হক (৪৮) নামে ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক জহিরুল হক কচুবাড়ি কৃষ্টপুর এলাকার ধিহান আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ইফতারের পর ঈদের কেনাকাটা করতে বাজারে আসেন তিনিসহ আরেকজন।

পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কাপড়ের মার্কেটে যাওয়ার পথে ওই ব্যক্তি হঠাৎ করে তাদের পিছু নেন এবং সুযোগ বুঝে তার শরীরে স্পর্শ করেন। এসময় তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে আটক করে। পরে স্থানীয় জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহীদুর রহমান জানান, আটক ব্যক্তি থানা হেফাজতে আছে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনাকে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : আমানউল্লাহ আমান

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
শেখ হাসিনাকে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : আমানউল্লাহ আমান
সংগৃহীত ছবি

দেশের সকল হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-২ সংসদীয় আসনের মডেল থানা বিএনপির উদ্যোগে আটি ভাওয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য বলেন।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, পিলখানার ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। এসব হত্যার বিচার বাংলাদেশের জনগণ দেখবে এবং শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতনের পর ভারতে পালিয়ে গেছেন। এখন তিনি দেশে প্রবেশের জন্য ভারত থেকে উঁকি দিচ্ছেন, তবে আর কোনোদিন দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন মিনু, সহ-সভাপতি হাজী শামীম হাসান, সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী, যুবদল নেতা মো. মাসুদ রানা, এবং যুবদলের আহ্বায়ক হাজী আসাদুজ্জামান রিপন। 

মন্তব্য

রিকশা থামিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
রিকশা থামিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার চান্দিনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।  এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে বাদী হয়ে মামলা করে। চান্দিনা থানায় করা মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়।

আটকরা হলেন—কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. সোয়েব ও একই ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের রতন চন্দ্র সরকার।

ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা। সে কচুয়া উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ১৯ মার্চ বিকেলে চান্দিনা ও কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কৈলাইন বাজারে বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানায়, বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার পর অটোরিকশায় বন্ধুর সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে ৫-৬ জন যুবক আমার অটোরিকশাটি থামিয়ে চালক ও আমাকে চর-থাপ্পর দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে জমির মাঝে একটি সেলু মেশিনের ঘরে নিয়ে যায়।

অটোরিকশার চালককের হাত-পা বেঁধে পাঁচ যুবক আমাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। অনেকক্ষণ পর আমার জ্ঞান ফিরলে চালকের হাত-পায়ের বাঁধ খুলে দিলে সে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরদিন (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় আমি ওই অটোরিকশা নিয়ে আবারও কৈলাইন বাজারে এসে দুইজনকে চিনতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাটি বাজারে উপস্থিত মানুষকে অবহিত করলে মানুষ তাদেরকে আটক করে।
পরে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে তাৎক্ষনিক আটক করা হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ