নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছে বিএনপির তদন্ত প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে তারা কথা বলে এবং অর্থ সহায়তা দেয়।
পরিদর্শনকালে তদন্ত প্রতিনিধিদলের আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর, দোকান ও মন্দিরে এই বর্বর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার তথা প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে নড়াইলে এ ঘটনা ঘটেছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এটি সরকারের চরম ব্যর্থতার চিত্র।
তদন্ত প্রতিনিধিদলের সদস্য বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত বলেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি। ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় আমরা মর্মাহত।
সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। আমাদের সবার একটাই পরিচয়, আমরা বাংলাদেশি। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বর্বর এ হামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।'
তদন্ত প্রতিনিধিদলের সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, 'আপনারা ভয় পাবেন না। বাড়ি ছেড়ে যাবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা সরকারকে বাধ্য করব আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সাহস নিয়ে থাকবেন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে লড়তে হবে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বর্তমান সরকার। আজ ভোট দিতে পারছেন না। অবৈধ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায়। রাজপথে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে জনগণের অধিকার আদায় করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'আপনারা যেমন অসহায়, ঠিক বেগম খালেদা জিয়াও তেমন অসহায়। নিজ সন্তানকে কাছে দেখতে পারছেন না। বিএনপির ওপর ভরসা রাখেন। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার, নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা জনগণের বাংলাদেশ করতে চাই। আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যকার ক্ষমতার দ্বন্দ্বে হামলা চালিয়ে, অগ্নিসংযোগ করে দোষ একজন আরেকজনের ওপর চাপাচ্ছে।'
সাহাপাড়ার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত প্রতিনিধিদলের সদস্য ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরীন মুন্নি, অমলেন্দু অপু, নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জজ, জেলা বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম পলাশ, বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম রবি, ইঞ্জিনিয়ার তাইবুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।