<p>বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বাজারগুলোতে হঠাৎ করেই বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আজ রবিবার সকাল থেকে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। মাত্র সপ্তাহখানেকের মাথায় কেন হঠাৎ করে এতটা দাম বেড়েছে? এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, লাগাতার খরার কারণে জমিতে কাঁচা মরিচের ফলন কম হচ্ছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।</p> <p>এক-দেড় সপ্তাহ আগে যেখানে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকার মধ্যে, সেখানে বর্তমান দাম পড়ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। মাত্র ১০-১২ দিনের ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।</p> <p>হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে বাড়া দামের কারণ জানতে চাইলে মরিচ ব্যবসায়ী দ্বীন ইসলাম জানান, অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম। ফলে মোকামে মরিচের চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি বাজারে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। এতে খুচরা বাজারেও বাধ্য হয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। </p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম, কোমরপুর, মঙ্গলপুর, অন্তাহার, জিনইর, কাশিমালা, শিবপুর, কড়ই, শালগ্রাম ও আমইলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ করা হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ বেশি। এখানকার মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এক সপ্তাহ আগেও উপজেলার সর্বত্র হাটবাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বেচাকেনা হয়েছে মাত্র ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সেই কাঁচা মরিচ এখন হাটবাজারগুলোতে হঠাৎ করেই পাইকারি বেচাকেনা হচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও ক্রেতাদের উঠেছে নাভিশ্বাস।</p> <p>মরিচ চাষি সাদেক হোসেন জানান, টানা খরার কারণে জমিতে কাঁচা মরিচের ফলন কম হচ্ছে। ফলে হাটবাজারে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। </p> <p>উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, মরিচ প্রচণ্ড তাপ সহ্য করতে পারে না। গাছে ফুল আসার পর যদি গরম পড়ে তাহলেও উৎপাদন কমে যায়। এবার খরা বেশি হওয়ায় উৎপাদন কিছুটা কমেছে। তা ছাড়া কোরবানি ঈদের কারণে অনেকে আগেই মরিচ কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করছেন। ফলে কিছুটা চাহিদা বাড়ছে। মূলত উৎপাদন কম আর চাহিদা বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে। তবে এ সংকট বেশি দিন থাকবে না।</p>