<p>কুমিল্লার লাকসামে ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় স্টুয়ার্ডদের (অ্যাটেনডেন্ট) ওপর হামলা চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ হকাররা। এতে ট্রেনের দুই স্টুয়ার্ড ও এক যাত্রীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল আটটার দিকে লাকসাম রেলওয়ে জংশনে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p>আহতরা হলেন উপকূল এক্সপ্রেসের স্টুয়ার্ড শামিম আল হাসান, মো. রাহুল মিয়া ও ট্রেনের যাত্রী অন্তর। এদের মধ্যে শামিম ও রাহুল লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় স্টুয়ার্ড শামিম বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে। </p> <p>লাকসাম রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাকসাম জংশনে পৌঁছালে হকাররা ট্রেনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় ট্রেনটির অ্যাটেনডেন্ট শামিম ও রাহুল হকারদের প্রবেশে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হকাররা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ট্রেনে থাকা অন্তর নামের এক যাত্রী স্টুয়ার্ডদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন হকাররা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অ্যাটেনডেন্ট শামিম। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছেন।</p> <p>রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় লাকসাম রেলওয়ে জংশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালামত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। </p> <p>লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, আহত স্টুয়ার্ড শামিম আল হাসানের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>