<p>রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রতিপক্ষের বাটামপেটায় পাবনার চরমপন্থী নেতা শহিদ মোল্লা (৪৪) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শহিদ মোল্লা পাবনা জেলার আমিনপুর থানার বড় দুর্গাপুর গ্রামের মো. কানাই মোল্লার ছেলে।</p> <p>নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিপক্ষের হাতে নিহত শহিদ মোল্লা গত ছয় মাস যাবৎ রাজবাড়ী জেলা শহরের বাঁশপট্টি এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। ঘটনার দিন শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হন শহিদ। পরে ওই দিন বিকেলে অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত শহিদ মোল্লাকে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মাতবরপাড়া এলাকার নির্জন এক মেহগনি বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা শহিদ মোল্লাকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেদম পেটায়। এতে মারাত্মক আহত শহিদকে বিকেল ৫টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।</p> <p>এদিকে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলার কিছুক্ষণ পর শহিদ মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল থেকে শহিদ মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। ওই রাতেই রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।</p> <p>গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিপক্ষের বাটামপেটায় নিহত শহিদ মোল্লা পাবনা এলাকার চরমপন্থী দলের একজন নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।’ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে ওসি জানান।</p>