<p>ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির বৈশ্বিক সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। সেখান থেকে আগস্ট মাসে দুই ধাপ এগিয়ে ৯৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কিছুটা বেড়েছে। তবে তাতে  র‌্যাংকিংয়ে পরিবর্তন আসেনি। জুলাই মাসের মতোই মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে আগস্টে ৮৯তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।</p> <p>বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিড টেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ আগস্ট মাসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।</p> <p>ওকলার তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে গতির সূচকে এগোতে শুরু করে মোবাইল ইন্টারনেট। মার্চে ১১২তম অবস্থানে থাকার পর এপ্রিলে কিছুটা এগিয়ে ১১০তম অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ। এরপর মে মাসে ১০৯তম এবং সর্বশেষ জুনে এক লাফে ৯০তম অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।</p> <p>এদিকে আগস্ট মাসে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৮.১৪ এমবিপিএস। আর আপলোড গতি ছিল ৪৭.৩১ এমবিপিএস। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।</p> <p>গত ছয় মাসে মোবাইল ইন্টারনেটের তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা স্থিতিশীল দেখা গেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির সূচকে এপ্রিলে ১০৬তম অবস্থান থেকে মে মাসে দুই ধাপ পিছিয়ে ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য এক লাফে ১০০তম অবস্থানে উঠে আসে। জুলাইয়ে এক ধাপ পেছানোর পর আগস্টে আবারও দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ।</p> <p>ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, গতি বাড়াতে এবং র‌্যাংকিংয়ের উন্নতির জন্য ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে আরো কাজ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় আশা করি কাজগুলো দ্রুত এগিয়ে যাবে।</p> <p>ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে বিটিআরসি সব সময় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের পরিচালক গোলাম রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘ওকলার ইনডেক্স আমরা দেখে থাকি। সেখানে অনেক বিষয় বা ইনডিকেটর থাকে। বিটিআরসির নানা উদ্যোগ ও তদারকিতে সেবার মান বাড়ানোর কাজ করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে বলে আশা করছি আমরা।’</p>