গায়েবানা জানাজা থেকে ইমামকে আটকের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গায়েবানা জানাজা থেকে ইমামকে আটকের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা পড়ার সময় মুন্সীগঞ্জে ইমাসহ বিএনপি নেতাকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জানাজা পণ্ড হয়ে যায়। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শহরের থানারপুল এলাকার জেলা বিএনপির কার্যালয়ের নিচে গায়েবানা জানাজা পড়ার সময় তাদের আটক করা হয়।

জানা যায়, ইমামতিতে থাকা আব্দুর রহমান হিরনও বিএনপির একজন নেতা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানাজার নামাজে দাঁড়িয়ে হাত বেঁধেছেন। নামাজে হাত বাঁধা অবস্থায় পুলিশ ইমাম আব্দুর রহমান হিরন ও শহর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুবউল আলম স্বপনকে ধরে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ আমাদের নামাজ পর্যন্ত পড়তে দেয়নি। উল্টো আমাদের দুজন নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে।

আমরা অবিলম্বে আটক নেতাদের মুক্তি দাবি করছি।’

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সড়ক বন্ধ করে জানাজায় দাঁড়িয়েছিলেন তারা। এতে সড়কে অরাজকতার সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই দুজনকে আটক করা হয়।

একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য সুমন বেপারীকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

সুমন বেপারী উপজেলার সেউতিবাড়িয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হক বেপারীর ছেলে। 

জানা যায়, কয়েকদিন আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাড়াখালি গ্রামের বাদশা হাওলাদারের ঘরে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে ঘরের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বাদশা হাওলাদার বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন জানান, অচেতন করে চুরির ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য

সাভারে মেজর পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে মেজর পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ চাঁদা দাবির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির। 

শনিবার বিকেলে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা গ্রুপের সামনে থেকে ভুয়া মেজরসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা একাধিক মানুষের সঙ্গে মামলা বাণিজ্য এবং তদবির কথা বলে প্রতারণা করেছে বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার জয়মন্টব গ্রামের শেখ মজিবর রহমানের ছেলে মো. এ কে এম আমিনুর রহমান (মেজর) (৫৩) ও তার গাড়ির ড্রাইভার শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী তানার রানী শিমুল গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (৫০)। এ ঘটনায় শাহিনুল হক নামের একজন পলাতক রয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মার্জিনা ইয়াসমিন ডলি (৪৫) নামের একজন এনজিওকর্মীর কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আমিনুর। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই নারীর বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান তিনি।

কয়েকদিন পর আবারও ফোন করে আট লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আমিনুর জানান, তার ভগ্নিপতি শাহিনুল হকও সেনাবাহিনীর সেকেন্ড কমান্ড হিসেবে দায়িত্বে আছেন।

১৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে ফোন করে চাঁদার বাকি টাকা নিয়ে সাভারের মজিদপুর এলাকার পাকিজা নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস কারখানার সামনে যেতে বলেন আমিনুর। তার কথামতো ওই এনজিওকর্মী ও তার প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিন ম্যানেজার মো. আলমাছ (৫২) পাকিজা নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস কারখানার সামনে ভুয়া মেজরকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। 

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমিনুর ও তার গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটোরোলা ওয়াকি-টকি সেট, সেনাবাহিনীর ফোর স্টার ক্যাপ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) লোগো বিশিষ্ট স্টিকার ও একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির জানান, গ্রেপ্তাররা প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। শনিবার বিকেলে পাকিজা গার্মেন্টসের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার হয়। রবিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মন্তব্য

টঙ্গীতে বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
টঙ্গীতে বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ
ছবি: কালের কণ্ঠ

গাজীপুরের টঙ্গীতে দুটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নানা দাবির মুখে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণার পর এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ রবিবার (১৬ মার্চ) টঙ্গীতে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ রবিবার সকালে টঙ্গীর এমটারনেট গ্রুপের দুইটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ ও ব্রাভো ম্যানুফ্যাকচারার লিমিটেড নামক কারখানায় নোটিশ ঝুলিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদে কারখানা দুটির কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা নানা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার মেশিন ও আসবাবপত্র ভাঙচুর চালান।

আরো পড়ুন
কালভার্টের নিচে ডোবায় পড়েছিল কৃষকের মাথাবিহীন লাশ

কালভার্টের নিচে ডোবায় পড়েছিল কৃষকের মাথাবিহীন লাশ

 

আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা ফের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে দুপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর একটি দল, গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তবুও রবিবার কারখানা দুটির শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন যাবৎ কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায় করতে গত শুক্রবার ও শনিবার কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেন। শনিবার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানাটির মেশিনপত্রে ভাঙচুর চালান।

পরে বিকেলে তারা কারখানা ছেড়ে চলে যান।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- কারখানা দুটির শ্রমিকরা তাদের অর্জিত বাৎসরিক ছুটির টাকা, আগামী ২৫ মার্চ ঈদ বোনাস, যেসব শ্রমিকদের এক বছর যাবত চাকরি করছেন তাদের চলতি মার্চ মাসের অগ্রিম অর্ধেক বেতন ও যেসব শ্রমিকদের চাকরির মেয়াদ এক বছরের কম তাদের বেতন চলতি মার্চ মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

কারখানাটির মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস সুজন বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবিগুলো অযৌক্তিক। শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভাঙচুর ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের জানমাল রক্ষায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেন নোটিশ ঝোলানো হয়েছিল।

সেনাবাহিনী,পুলিশ ও শ্রমিকদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা ফের অযৌক্তিক দাবি না জানালে সোমবার থেকে কারখানা চালু থাকবে।’

আরো পড়ুন
দুপচাঁচিয়ায় আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী দোকানির মৃত্যু

দুপচাঁচিয়ায় আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী দোকানির মৃত্যু

 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) ইসমাইল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শ্রমিক প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশের সমন্বয়ে আলোচনা শেষে শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে কারখানা মালিক। সোমবার থেকে কারখানা চালু থাকবে। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবেন বলে আশা রাখি।’

মন্তব্য

কালভার্টের নিচে ডোবায় পড়েছিল কৃষকের মাথাবিহীন লাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কালভার্টের নিচে ডোবায় পড়েছিল কৃষকের মাথাবিহীন লাশ

রাজশাহীর মোহনপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর কালভার্টের নিচের ডোবা থেকে এক কৃষকের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। উপজেলার সইপাড়ার তুলশিক্ষেত্র সড়কের বক্স কালভার্টের দক্ষিণপাশের ডোবা থেকে রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

এর আগে, গত ৯ মার্চ আলতাফ হোসেন নিখোঁজ হন। নিহত আলতাফ হোসেন (৫২) উপজেলার ধুরইল মন্ডলপাড়ার মৃত কুদ্দুস আলী শাহের ছেলে।

তিনি কৃষি কাজ করতেন। 

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে তুলশিক্ষেত এলাকার কালভার্টের পাশের ডোবায় আলতাফের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে মরদেহ দেখে থানায় খবর দেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ সময় মরদেহের শরীরের পোশাক দেখে পরিবার আলতাফের মরদেহ শনাক্ত করে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 


নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৯ মার্চ আলতাফ হোসেন নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরে এ নিয়ে প্রথমে আলতাফের পরিবার মোহনপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ তুলে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে পরিবার। এরপর নিখোঁজের সাতদিন পরে আলতাফের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‌‌‌‌‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ