চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক ভুটভুটি চালক ও এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র।

নিহতরা হলেন- ভুটভুটি চালক ও নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেজগ্রাম এলাকার আসাদ শাহ-এর ছেলে আল আমিন (২৬) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাজাহানপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর এলাকার কাদির মন্ডলের টোলা গ্রামের তাইফুর রহমানের ছেলে সায়েম আলী (৫)।

আরো পড়ুন
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যা বললেন আবরারের মা

মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যা বললেন আবরারের মা

 

সদর থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, ‘রবিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে মান্দা যাওয়ার পথে সদর উপজেলার আতাহার বুলনপুর এলাকায় আমনুরা সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় একটি ভুটভুটির।

এতে ভুটভুটি চালক আল আমিন ও  মান্দার চকশল্লা  এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (৩০) নামে এক ভুটভুটি আরোহী ঘটনাস্থলে আহত হন। তাদের জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর দুপুর ১২টায় আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেদী হাসানকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় একই সময় শাহজাহানপুরের হুরুপাড়া এলাকায় নানাবাড়ির পাশের সড়ক পারাপারের সময় একটি অটোরিকশার ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৫ বছরের শিশু সায়েম।

এসব ঘটনার পরপরই ট্রাক ও অটোরিকশা পালিয়ে যায়। পুলিশ উভয় মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সব ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, প্রবাসীর স্ত্রীকে জরিমানা

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, প্রবাসীর স্ত্রীকে জরিমানা

ফরিদপুর চরভদ্রাসনে অবৈধভাবে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অপরাধের সঙ্গে জড়িত মনিরা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ৪টার দিকে উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নে কানাইরটেক গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত ফারাবী। এসময় চরভদ্রাসন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরহাদ, ভূমি কার্যালয়ের সার্টিফিকেট পেশকার রাসেল মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় ভেকু মেশিনের ব্যাটারি ও যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরা বেগম উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের কানাইরটেক গ্রামের প্রবাসী মঞ্জু মৃধার স্ত্রী। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত ফারাবী বলেন, ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অপরাধের সঙ্গে মনিরা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কৃষি জমিতে যেন কেউ অবৈধভাবে মাটি কাটতে না পারে সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

নাটোরের সিংড়ায় ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে সাকিবুল হাসান স্বচ্ছ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিংড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সাকিবুল হাসান স্বচ্ছ খাজুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকের একটি রাজনৈতিক পোস্টের কমেন্ট সেকশনে মন্তব্য করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটুক্তি করেছে ওই ছাত্রলীগ নেতা।

এমন অভিযোগ উঠলে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা থানায় বিচার দাবি করেন এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, মহানবীকে কটুক্তির ঘটনায় একজনকে আটক করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

চট্টগ্রামে বাসায় ডেকে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে বাসায় ডেকে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মনজুর আহমেদ মঞ্জু (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণে সহযোগিতার করা অভিযোগে মঞ্জুর বন্ধু মো. সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি বলেন, রবিবার দুপুর ৩টার দিকে ভুক্তভোগী নারীকে পতেঙ্গা থানার হাদীপাড়া শাওনের ভাড়াঘর নিচতলায় ডেকে নিয়ে যায় সাইফুল। রুমে নিয়ে মো. সাইফুল তার বন্ধু মো. মনজুর আহমদের সঙ্গে ভিকটিম নারীকে পরিচয় করিয়া দেয়। পরে সাইফুল ভিকটিমকে রুমে বসার জন্য বলে নিজে বাসার বাইরে চলে যায়। এই সুযোগে মো. মনজুর আহমেদ নারীকে ধর্ষণ করেন।

পরে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মন্তব্য

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর
নিহত ইমরান হোসেন। ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের  স্বজনরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর চালায়।

এদিকে হাসপাতাল ভাঙচুর চলাকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। 

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিতে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন।

পরে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেনি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিল। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটিতে রেখেছিল। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয়নি। পরে নানা অজুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরও তারা মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ওষুধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ওষুধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই। এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর চালায়।

রোগীর মা নাজমা বেগম বলেন, ট্রমা হাসপাতালের ডা. আতাউর রহমান শুক্রবার সকাল ৮টায় আমার ছেলের অপারেশন করায়। মারা গেছে রবিবার বিকাল ৫টা বাজে, কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও তারা জানায়নি। রাতে আমরা মারা যাওয়ার খবর পাই। তারা মারা যাওয়ার পরেও ওষুধ আনতে বলেছিল আমাদের। আমরা রোগী মারা গেছে দাবি করার পর তারা ওষুধ ফেরত পাঠায়। এটা রাত ৯টার ঘটনা। ডাক্তারের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজী হয়নি। তারা আমার ছেলেকে অবহেলায় মেরে ফেলেছে। তারা কয়েক দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে টাকা নিয়েছে। কিন্তু একবারও বলেনি আমার ছেলে মারা গেছে।

রাতে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ