টঙ্গীতে বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
টঙ্গীতে বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ
ছবি: কালের কণ্ঠ

গাজীপুরের টঙ্গীতে দুটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নানা দাবির মুখে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণার পর এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ রবিবার (১৬ মার্চ) টঙ্গীতে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ রবিবার সকালে টঙ্গীর এমটারনেট গ্রুপের দুইটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ ও ব্রাভো ম্যানুফ্যাকচারার লিমিটেড নামক কারখানায় নোটিশ ঝুলিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদে কারখানা দুটির কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা নানা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার মেশিন ও আসবাবপত্র ভাঙচুর চালান।

আরো পড়ুন
কালভার্টের নিচে ডোবায় পড়েছিল কৃষকের মাথাবিহীন লাশ

কালভার্টের নিচে ডোবায় পড়েছিল কৃষকের মাথাবিহীন লাশ

 

আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা ফের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে দুপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর একটি দল, গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তবুও রবিবার কারখানা দুটির শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন যাবৎ কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায় করতে গত শুক্রবার ও শনিবার কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেন। শনিবার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানাটির মেশিনপত্রে ভাঙচুর চালান।

পরে বিকেলে তারা কারখানা ছেড়ে চলে যান।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- কারখানা দুটির শ্রমিকরা তাদের অর্জিত বাৎসরিক ছুটির টাকা, আগামী ২৫ মার্চ ঈদ বোনাস, যেসব শ্রমিকদের এক বছর যাবত চাকরি করছেন তাদের চলতি মার্চ মাসের অগ্রিম অর্ধেক বেতন ও যেসব শ্রমিকদের চাকরির মেয়াদ এক বছরের কম তাদের বেতন চলতি মার্চ মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

কারখানাটির মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস সুজন বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবিগুলো অযৌক্তিক। শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভাঙচুর ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের জানমাল রক্ষায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেন নোটিশ ঝোলানো হয়েছিল।

সেনাবাহিনী,পুলিশ ও শ্রমিকদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা ফের অযৌক্তিক দাবি না জানালে সোমবার থেকে কারখানা চালু থাকবে।’

আরো পড়ুন
দুপচাঁচিয়ায় আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী দোকানির মৃত্যু

দুপচাঁচিয়ায় আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী দোকানির মৃত্যু

 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) ইসমাইল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শ্রমিক প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশের সমন্বয়ে আলোচনা শেষে শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে কারখানা মালিক। সোমবার থেকে কারখানা চালু থাকবে। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবেন বলে আশা রাখি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, প্রবাসীর স্ত্রীকে জরিমানা

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, প্রবাসীর স্ত্রীকে জরিমানা

ফরিদপুর চরভদ্রাসনে অবৈধভাবে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অপরাধের সঙ্গে জড়িত মনিরা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ৪টার দিকে উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নে কানাইরটেক গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত ফারাবী। এসময় চরভদ্রাসন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরহাদ, ভূমি কার্যালয়ের সার্টিফিকেট পেশকার রাসেল মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় ভেকু মেশিনের ব্যাটারি ও যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরা বেগম উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের কানাইরটেক গ্রামের প্রবাসী মঞ্জু মৃধার স্ত্রী। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত ফারাবী বলেন, ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অপরাধের সঙ্গে মনিরা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কৃষি জমিতে যেন কেউ অবৈধভাবে মাটি কাটতে না পারে সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

নাটোরের সিংড়ায় ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে সাকিবুল হাসান স্বচ্ছ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিংড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সাকিবুল হাসান স্বচ্ছ খাজুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকের একটি রাজনৈতিক পোস্টের কমেন্ট সেকশনে মন্তব্য করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটুক্তি করেছে ওই ছাত্রলীগ নেতা।

এমন অভিযোগ উঠলে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা থানায় বিচার দাবি করেন এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, মহানবীকে কটুক্তির ঘটনায় একজনকে আটক করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

চট্টগ্রামে বাসায় ডেকে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে বাসায় ডেকে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মনজুর আহমেদ মঞ্জু (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণে সহযোগিতার করা অভিযোগে মঞ্জুর বন্ধু মো. সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি বলেন, রবিবার দুপুর ৩টার দিকে ভুক্তভোগী নারীকে পতেঙ্গা থানার হাদীপাড়া শাওনের ভাড়াঘর নিচতলায় ডেকে নিয়ে যায় সাইফুল। রুমে নিয়ে মো. সাইফুল তার বন্ধু মো. মনজুর আহমদের সঙ্গে ভিকটিম নারীকে পরিচয় করিয়া দেয়। পরে সাইফুল ভিকটিমকে রুমে বসার জন্য বলে নিজে বাসার বাইরে চলে যায়। এই সুযোগে মো. মনজুর আহমেদ নারীকে ধর্ষণ করেন।

পরে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মন্তব্য

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর
নিহত ইমরান হোসেন। ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের  স্বজনরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর চালায়।

এদিকে হাসপাতাল ভাঙচুর চলাকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। 

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিতে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন।

পরে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেনি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিল। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটিতে রেখেছিল। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয়নি। পরে নানা অজুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরও তারা মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ওষুধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ওষুধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই। এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর চালায়।

রোগীর মা নাজমা বেগম বলেন, ট্রমা হাসপাতালের ডা. আতাউর রহমান শুক্রবার সকাল ৮টায় আমার ছেলের অপারেশন করায়। মারা গেছে রবিবার বিকাল ৫টা বাজে, কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও তারা জানায়নি। রাতে আমরা মারা যাওয়ার খবর পাই। তারা মারা যাওয়ার পরেও ওষুধ আনতে বলেছিল আমাদের। আমরা রোগী মারা গেছে দাবি করার পর তারা ওষুধ ফেরত পাঠায়। এটা রাত ৯টার ঘটনা। ডাক্তারের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজী হয়নি। তারা আমার ছেলেকে অবহেলায় মেরে ফেলেছে। তারা কয়েক দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে টাকা নিয়েছে। কিন্তু একবারও বলেনি আমার ছেলে মারা গেছে।

রাতে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ