<p>কুমিল্লার তিতাসে শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর এক চোখের নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষার্থীর নাম ফারহান ইসলাম রোহান (৮)।</p> <p>ফারহান উপজেলা দক্ষিণ আকালিয়া গ্রামের প্রবাসী মো. রবিউলের ছেলে এবং সেবা মাল্টিমিডিয়া আইডিয়াল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে একটি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপজেলা শিক্ষা অফিস ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন।</p> <p>ভুক্তভোগীর চাচা মোফাজ্জল মেম্বার জানান, আমার ভাতিজা ফারহান খুব মেধাবী ছাত্র। তার রোল নম্বর-৩।</p> <p>অভিভাকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ক্লাস চলাকালে ফারহান দুষ্টুমি করেছিল। এতে সহকারী শিক্ষক সৌরভ তার হাতের একটি প্লাস্টিকের রোলার দিয়ে ফারহানকে আঘাত করে। তখন রোলারটি ভেঙে অর্ধেক হয়ে যায়। এ সময় ফারহানের একটি বই মাটিতে পড়ে গেলে সে বইটি মাটি থেকে উঠাতে গেলে শিক্ষক সৌরভ তার হাতে থাকে রোলার স্কেলটির ভেঙে যাওয়া বাকি অংশ ছুঁড়ে মারলে সেটি সরাসরি ফারহানের ডান চোখে লাগে। এতে তার ডান চোখ থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার একটি চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ অপারেশনের করান। ফারহানের চোখ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ ও চোখের সব পানি ঝরে গিয়ে চোখের মধ্যে পানিশূন্য হয়ে এক চোখের দৃষ্টি শক্তিহীন হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও তার চোখের দৃষ্টি শক্তি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। </p> <p>এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. সৌরভ বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়া নিচ্ছিলাম। এ সময় শিক্ষার্থী ফারহান দুষ্টুমি শুরু করে দেয়। আমি হাতে থাকা প্লাস্টিকে স্কেল দিয়ে তাকে আঘাত করি, তাতে স্কেলটি ভেঙে অর্ধেক অংশ মাটিতে পাড়ে যায়। তার পর আমার হাতে থাকা বাকি অংশ দিয়ে তাকে তাকে ভয় দেখাতে গেলে সে এগিয়ে এলে তার চোখা লাগে। এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। ওই ছাত্রের চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন হয় আমি তা করব।’</p> <p>উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভিন ভানু জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন শিশুটির মা। আমরা প্রতিষ্ঠান পরিচালককে শোকজ করেছি। বেত দিয়ে আঘাত করার কোনো বিধানই নেই। শুধু তাই নয় শ্রেণিকক্ষে বেত নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি নেই।</p> <p>উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, ‘ব্যাপারটি আমি শুনেছি। শিশুটির স্বজনরা আমাকে মা লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>