<p style="text-align:justify">৫ আগস্টের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা করা না হলেও শুধু টাইপ করা কপি ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ নেতাকর্মীর মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, থানায় যেসব মামলা হচ্ছে, সেগুলোতে তাদের নাম আছে কি না কিংবা গ্রেপ্তারের জন্য কোনো তালিকা হয়েছে কি না, এসব জানতে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জেলায় হওয়া পৃথক মামলায় একাধিক সাংবাদিককে আসামি করা নিয়েও আলোচনা আছে।</p> <p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভারত, সৌদি আরব, দুবাইসহ তারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্নভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে। পালিয়ে থাকাদের মধ্যে সাবেক গৃহায়ণমন্ত্রী, সাবেক আইনমন্ত্রীর একাধিক ঘনিষ্ঠজন ও রাজনৈতিক সহকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠজন দেশে এসে আদালতে আত্মসমর্পণেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মামলা না করলেও বাদী হিসেবে নাম দিয়ে কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। একটি মামলায় বাদী হলফনামা দিয়ে কয়েকজন আসামির নাম বাদ দিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">একটি প্রতারকচক্র মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে ‘অভিযোগ’ করেছেন খোদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওসি উল্লেখ করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে কতিপয় ব্যক্তি কম্পিউটার টাইপের মাধ্যমে ২০০-৩০০ বা তার অধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলার অভিযোগ লিখে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়া ও মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা-পয়সা আদায়সহ জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ধরনের অভিযোগ দেখে আতঙ্কিত হয়ে টাকা-পয়সা লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান ওসি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রতারকচক্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম লেখে টাকা-পয়সা নিচ্ছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে। থানায় কোনো অভিযোগ করা হলে, মামলা রজু হলে প্রতি পাতায় স্বাক্ষর ও সিল থাকে। প্রতারকদের বিষয়ে তথ্য দিতে তিনি ওসি ও ডিউটি অফিসারের নম্বর ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জুড়ে দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের মো. মোবারক হোসেন নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সদর থানায় করা জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি কোনো মামলার বাদী না হলেও তার নাম ব্যবহার করে মামলার কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মামলায় সাবেক গৃহায়ণমন্ত্রীসহ জেলা আওয়ামী লীগের নাম আসামি হিসেবে লেখা হয়েছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতের আইনি জটিলতা এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি এ সাধারণ ডায়েরি করেছেন।</p>