ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

তালিকা আতঙ্কে আ. লীগ নেতাকর্মী, টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
তালিকা আতঙ্কে আ. লীগ নেতাকর্মী, টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র

৫ আগস্টের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা করা না হলেও শুধু টাইপ করা কপি ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ নেতাকর্মীর মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, থানায় যেসব মামলা হচ্ছে, সেগুলোতে তাদের নাম আছে কি না কিংবা গ্রেপ্তারের জন্য কোনো তালিকা হয়েছে কি না, এসব জানতে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জেলায় হওয়া পৃথক মামলায় একাধিক সাংবাদিককে আসামি করা নিয়েও আলোচনা আছে।

আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভারত, সৌদি আরব, দুবাইসহ তারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্নভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে। পালিয়ে থাকাদের মধ্যে সাবেক গৃহায়ণমন্ত্রী, সাবেক আইনমন্ত্রীর একাধিক ঘনিষ্ঠজন ও রাজনৈতিক সহকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠজন দেশে এসে আদালতে আত্মসমর্পণেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মামলা না করলেও বাদী হিসেবে নাম দিয়ে কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। একটি মামলায় বাদী হলফনামা দিয়ে কয়েকজন আসামির নাম বাদ দিয়েছেন।

একটি প্রতারকচক্র মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে ‘অভিযোগ’ করেছেন খোদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন।

গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওসি উল্লেখ করেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে কতিপয় ব্যক্তি কম্পিউটার টাইপের মাধ্যমে ২০০-৩০০ বা তার অধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলার অভিযোগ লিখে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়া ও মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা-পয়সা আদায়সহ জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

এ ধরনের অভিযোগ দেখে আতঙ্কিত হয়ে টাকা-পয়সা লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান ওসি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রতারকচক্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম লেখে টাকা-পয়সা নিচ্ছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে। থানায় কোনো অভিযোগ করা হলে, মামলা রজু হলে প্রতি পাতায় স্বাক্ষর ও সিল থাকে। প্রতারকদের বিষয়ে তথ্য দিতে তিনি ওসি ও ডিউটি অফিসারের নম্বর ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জুড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের মো. মোবারক হোসেন নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সদর থানায় করা জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি কোনো মামলার বাদী না হলেও তার নাম ব্যবহার করে মামলার কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মামলায় সাবেক গৃহায়ণমন্ত্রীসহ জেলা আওয়ামী লীগের নাম আসামি হিসেবে লেখা হয়েছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতের আইনি জটিলতা এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি এ সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেল ৫০ শিশু-কিশোর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেল ৫০ শিশু-কিশোর
ছবি: কালের কণ্ঠ

টাঙ্গাইলে একটানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করায় পুরস্কার পেল ৫০ জন শিশু-কিশোর। গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) আছরের নামাজের পর শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে তাদের পুরষ্কার দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআই-এর সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট সোলায়মানের উদ্যোগে এ পুরষ্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার পেয়ে খুশি শিশু-কিশোররা।

এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মুসুল্লিরা।

আরো পড়ুন
পহেলা বৈশাখে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা ও উৎসব

পহেলা বৈশাখে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা ও উৎসব

 

একটানা ৪০ দিন শিশু-কিশোররা মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করলে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণায় মসজিদে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। এখন নিয়মিতই বড়দের সঙ্গে মসজিদে নামাজ আদায় করে শিশু-কিশোররা।

আছরের নামাজ শেষে ৫০জন শিশু-কিশোরকে ৩টি ক্যাটাগরি ভাগ করে দেওয়া হয় পুরস্কার।

প্রথম ক্যাটাগরিতে ছিলেন যারা এই ৪০দিন মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন। তাদের ১টি করে ছাতা, ১টি করে টুপি ও ১টি করে সাবান পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা প্রতিদিন মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেনি তাদের পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ১টি করে হাত ঘড়ি ও একটি করে সাবান দেওয়া হয়। উপহার পেয়ে খুশি তারা।
সারাজীবন নামাজ ও ভালো কাজের সঙ্গে থাকার কথা জানান পুরস্কার বিজয়ীরা।

বিতরণ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ। এ ছাড়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন
সাংবাদিক প্রফুল্লকুমার সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাংবাদিক প্রফুল্লকুমার সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

উদ্যোক্তা সোলায়মান জানান, মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বাড়াতে এবং শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করার জন্যই এ উদ্যোগ। ফলে মসজিদে বেড়েছে শিশু-কিশোরদের সংখ্যা।

পরবর্তীতে বিভিন্ন মসজিদে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহিন জানান, খুবই ভালো একটি উদ্যোগ এটি। ছোট বেলা থেকেই মসজিদে নামাজের আগ্রহ বাড়ছে তাদের। এ উদ্যোগ জেলাব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করা হবে।

মন্তব্য

ফকিরহাট গাড়ির ধাক্কায় পাণ গেল বাইসাইকেল চালকের

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফকিরহাট গাড়ির ধাক্কায় পাণ গেল বাইসাইকেল চালকের
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় এক বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের মূলঘর এলাকায় রাজপাট-সোনাখালী মোড় নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাইসাইকেল চালক মো. আতিয়ার রহমান (৪৫) বাগেরহাটের যাত্রাপুর এলাকার মৃত ইমান উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিসমিল্লাহ ফিড মিলস্ লিমিটেডের কর্মচারী ছিলেন।

 

আরো পড়ুন
সাংবাদিক প্রফুল্লকুমার সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাংবাদিক প্রফুল্লকুমার সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ওসি শেখ নুরুজ্জামান জানান, আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আতিয়ার রহমান রাতে ডিউটি করে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। মূলঘর এলাকায় রাজপাট-সোনাখালী মোড়ে এসে পৌঁছলে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে যান। এ সময় দ্রুতগামী অপর একটি অজ্ঞাত গাড়ি তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

 

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ফায়া সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। তবে ঘাতক অজ্ঞাত পরিবহন দুটিকে জব্দ করা সম্ভব হয়নি বলে এ কর্মকর্তা জানান।

মন্তব্য

অজানা ভাইরাসে মরছে মাছ, লোকসানের শঙ্কা

রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
শেয়ার
অজানা ভাইরাসে মরছে মাছ, লোকসানের শঙ্কা
ছবি: কালের কণ্ঠ

দেশের বাজারে তাজা মাছের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে রুই, কাতল, মৃগেল ও কার্প জাতীয় যেসব তাজা মাছ বিক্রি হয়, তার বেশির ভাগই যায় রাজশাহী থেকে। ট্রাকে করে বিশেষ কায়দায় এসব মাছ পুকুর থেকে সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন আড়তে পাঠান রাজশাহীর চাষিরা। এরপর আড়ত থেকে সেই মাছ কিনে খুচরা বিক্রেতারা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন।

পুকুরে মাছ চাষ করে এভাবে বাজারজাত করে রাজশাহীর শত শত বেকার যুবক এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকে হয়েছেন কোটিপতি। তবে এ বছর অনেক ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়েছে মাছের অজানা এক ভাইরাসের কারণে। বেশির ভাগ পুকুরে শীতের পরে মাছ ধরার জন্য বা দেখার জন্য জাল ফেললেই মাছ মরতে শুরু করেছে।

আর সেই মরা যেন থামানো যাচ্ছে না।

কৃষকরা জানান, চুন, লবণসহ একের পর এক জীবাণুনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক ও নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেও মাছ মরা রোধ করা যাচ্ছে না। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ মরে যাচ্ছে। সকালে পচা মাছ ভেসে উঠছে।

এতে রাজশাহীর শত শত মাছ চাষির মাথায় হাত পড়েছে। অনেক চাষি বেকায়দায় পড়েছেন। কিন্তু মৎস্য অধিদপ্তর এখনো এসব নিয়ে কোনো কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন মাছ চাষিরা।

রাজশাহীর দুর্গাপুরের বর্ধনপুর বিলে মাছ চাষ করেন আব্দুল মান্নান। তিনি জানান, এবার শীত মৌসুমের পরে মাসখানেক আগে তাঁর একটি পুকুরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন।

দুই ট্রাক মাছ ধরার চার-পাঁচ দিন পর থেকে ওই পুকুরে মাছ মরে সকালে ভাসতে শুরু করে। প্রথম কয়েক দিন পাঁচ-সাতটি করে মাছ মরছিল। কয়েক দিনের মাথায় সেটি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি করে বাড়তে শুরু করে। মাছ মরা রোধে চুন-লবণ, ভিটামিন সি ছিটানোসহ একের পর এক অ্যান্টিবায়োটিক ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

কয়েক দিনের মাথায় পুকুরের অন্তত অর্ধেক মাছ মরে যায়। বাধ্য হয়ে আবারও জাল দিয়ে সব মাছ তুলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। তবে এর আগে অন্তত তিন লাখ টাকার মাছ তাঁর পুকুর থেকে মরে পচে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

দুর্গাপুরের মাড়িয়া বিলে মাছ চাষ করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনিও দাবি করেন, এবার শীতের পরে তাঁর পুকুরে জাল ফেলার পর থেকে শত শত মাছ মরে গেছে। নানা ধরনের পরিচর্যা করেও মাছ মরা থামাতে পারেননি তিনি। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কিনতেই তাঁর প্রায় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর পরও কমপক্ষে চার লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। এতে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এমনিতেই মাছ চাষে খরচ বেড়েছে। এর ওপর হঠাৎ করে এ বছর মাছ মরে যাওয়ায় অনেকটা ক্ষতির মুখে পড়েছি। পুকুরে জাল দেওয়ার পর এবার যেভাবে মাছ মরেছে, এর আগে কখনো এভাবে মাছ মরতে দেখিনি। কী ভাইরাস ধরছে কেউ বলতেও পারছে না। কিন্তু মাছ মরা থামানো যাচ্ছে না। এখনো দু-একটি করে মরছেই।’

গোদাগাড়ীর কমলাপুর বিলের মাছ চাষি মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘এবার শীতের পরে পুকুরে জাল দিয়ে আমার অন্তত দুই লাখ টাকার মাছ গেছে। এভাবে আমাদের বিলে অন্তত ৪০টি পুকুরে মাছ মরেছে। এখনো মরছে। কিন্তু মৎস্য অফিস থেকে কোনো কার্যকর ভূমিকা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।

চাষিরা বিভিন্ন কম্পানির মাছের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের পরামর্শ মতে অথবা নিজেই নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে মাছ মরা রোধে পরিচর্যা করছেন। এর পরও আমাদের বিলেই এখন পর্যন্ত অন্তত অর্ধকোটি টাকার মাছ মরে গেছে অজানা ভাইরাসে। এতে আমাদের যেন মাথায় হাত পড়েছে। অনেক চাষি আর্থিক সংকটের কারণে পুকুরে এখন নতুন করে মাছের পোনাও দিতে পারছেন না।’

মোহনপুরের মাছ চাষি লিটন সরকার বলেন, ‘শীতের পরেই সাধারণত আমরা পুরনো মাছ ধরে নতুন করে পুকুরে মাছ সেট করি। আবার অনেক পুকুরে শুধু মাছ দেখার জন্যও জাল দেই। এবারও তাই করেছি। কিন্তু শীতের পরে এবার জাল দিলেই বেশির ভাগ পুকুরের মাছে ভাইরাস ধরছে। মাছের পেটের নিচে বা শরীরে লাল দাগ দেখা দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো মাছের নাভি ফুলে থাকছে। মাছ মরতে শুরু করলে কোনো কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চাষিরা পুরনো মাছ সব বিক্রি করে দিচ্ছেন।’

রাজশাহীর মাছ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এভাবে জেলার বাগমারা, পবা, তানোর, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘায়ও শত শত পুকুরের মাছ মরে গেছে অজানা ভাইরাসে।

তবে ভাইরাসে মাছ মরার কোনো খবর রাজশাহীর মৎস্য অধিদপ্তরে নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য অবসরে যাওয়া বিভাগীয় উপপরিচালক আব্দুল ওহাব। গত ২৭ মার্চ তিনি অবসরে যান। কিন্তু এখন খরার কারণে পুকুরগুলোতে পানির অভাব দেখা দেওয়ায় অক্সিজেনসংকটের কারণে মাছ মরতে পারে বলে তিনি দাবি করেন। এর জন্য পুকুরে পানিসেচের ব্যবস্থাও করতে বলেন তিনি।

মন্তব্য

ঈদে বাজি ফাটানো নিয়ে রাজৈরে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ২৫

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদে বাজি ফাটানো নিয়ে রাজৈরে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ২৫

মাদারীপুরের রাজৈরে ঈদে বাজি ফাটানোয় বাধা দেওয়ার জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বেপারিপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের লাভলুর ছেলে সালাউদ্দিন (১৮), হায়দার আকনের ছেলে সাগর আকন (২৩), মাহবুব মোল্লার ছেলে ওমর মোল্লা (২২), হুমায়ুন খানের ছেলে ইমন খান (২০), হাবি শেখের ছেলে সাব্বির শেখ (১৮), রাজৈর থানার পুলিশ সদস্য জুয়েনসহ ৯ জন রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান, তদন্ত ওসি সঞ্চয় কুমার ঘোষ ও এসআই তারেকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ পরবর্তী গত ২ এপ্রিল রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর ফুচকা ব্রিজ এলাকায় বাজি ফাটায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা। এ সময় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা এতে বাধা দেয়।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ৩ এপ্রিল সকালে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন। এ ঘটনায় জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান (৩১) বাদী হয়ে জুনায়েদসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

এ ঘটনার জেরে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

কয়েক ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। পরে খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হন।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমাদের পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ