<p>সাতক্ষীরা সদরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক অরবিন্দু মণ্ডলকে (৮০) হাত-পা বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে বিশ্বনাথ মণ্ডল ও তার স্ত্রী কবিতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ নভেম্বর) বাঁশতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p>ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ আসার খবর শুনে নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যান। </p> <p>বাঁশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে অবসরে যান সহকারী শিক্ষক অরবিন্দু।</p> <p>অরবিন্দের মেয়ে অঞ্জনা মণ্ডল বলেন, ‘আমার বাবার গচ্ছিত এক লাখ টাকা বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। পরে হারায় আরো ৫০ হাজার টাকা। যে টাকা আমার ভাইয়ের স্ত্রী নিয়েছেন বলে সন্দেহ রয়েছে। চুরি হওয়া টাকা স্থানীয় এক মেম্বারের কাছে সুদে খাটাতেন কবিতা। টাকা ফেরত চাইলে প্রায়ই বাবাকে নির্যাতন করতেন তারা। সোমবার সকালে বাবার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালান তারা। বিষয়টি স্থানীয় এক যুবক ভিডিও করে ফেসবুকে ছাড়লে প্রশাসনের নজরে আসে।’</p> <p>স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ছেলের বউয়ের সঙ্গে পাশের একজনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। অরবিন্দু এর প্রতিবাদ করতেন। এ ছাড়া তার গচ্ছিত দেড় লাখ টাকা চুরি করে নিয়েছেন পুত্রবধূ। টাকা ফেরত চাইলে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে তাকে বেঁধে মারধর করেন। এর আগেও কারণ-অকারণে শিক্ষক বাবাকে মারধর করতেন তারা।’</p> <p>তবে এত কিছুর পরও ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চান না অরবিন্দু। তিনি বলেন, ‘তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে ক্ষমা করে দিয়েছি। তা ছাড়া আমি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করে সুনামের সঙ্গে অবসর নিয়েছি। আমি কি পারি সন্তানের বিরুদ্ধে আদালতের কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে।’ এ সময় তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমি তো ওদের বাবা।’</p> <p>সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিডিওটা দেখার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমান ছেলে ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>