<p>দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা ও শীতের অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে। কমছে তাপমাত্রাও। বাইছে হিমেল বাতাস। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। প্রতিদিনই দিনাজপুরে তাপমাত্রা কমছে। </p> <p>গত তিন দিন ধরে দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা পড়ছে। বাড়ছে শীতের অনুভূতি। সন্ধ্যা লাগার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা পড়তে শুরু করছে। বেলা ১১টা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। আজ শনিরার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। ভোরসকালে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল করছে কম গতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে। প্রবাহিত হচ্ছে শীতল বাতাস। আর এতেই বেড়ে গেছে শীতের কাপড় বিক্রি। বিশেষ করে শিশুদের জন্য গরম কাপড় কিনছেন অভিভাবকরা। </p> <p>দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ ১৬ নভেম্বর  দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াাস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় দুই কিলোমিটার। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন এখন প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা কমে শীত বাড়বে। </p> <p>দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার বাসিন্দা মনসুর আলী বলেন, আজ বেশ কুয়াশা পড়েছে। ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহীত হচ্ছে। শীত চলে এসেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্য দেখথা যায়নি।</p> <p>সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের কুতুইড় গ্রামের আব্দুর রহমান জানান, গ্রামে বেশি শীত। বিকেল ধেকে শুরু করে পরদিন দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে। শীত ও বাতাসের কারণে মাঠে কাজ করতে কিছুটা হলেও কষ্ট হচ্ছে। এবার মনে হচ্ছে শীত বেশিই পড়বে। <br />  </p>