<p>টানা বৃষ্টির কারণে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে সাতশত বিঘা জমির বিশাল একটি ফসলের মাঠে এখনও পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে জমিতে তিন-চার ফুট পানি জমে রয়েছে। দ্রুত সরকারি উদ্যোগে পানি অপসারণ না হলে রবি মৌসুমে সরিষা, ভুট্টা এবং অন্যান্য ফসল চাষ করা সম্ভব হবে না। স্থানীয় কৃষকরা ইতিমধ্যে এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কৃষি কাজ না করতে পারলে অনেক কৃষককে পরিবার-পরিজনসহ চরম দুর্দশার সম্মুখীন হতে হবে। তাই স্থানীয় কৃষকদের দাবি, দ্রুত পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হোক এবং জমি চাষাবাদের উপযোগী করা হোক।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার তেওতা এলাকায় অন্তত ছয়টি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্রিজ-কালভার্ট না থাকায় বিশাল ফসলের মাঠে শত শত বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় সাতশত বিঘা জমিতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে এখনও পানি আটকে রয়েছে। তেওতা, গান্ধাইল, ষাটঘর, তেওতা বাছেট, দক্ষিণ তেওতা গ্রামগুলোর মাঝখানে অবস্থিত ফসলের মাঠের কারণে পানি বের হওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো পলি মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে এবং অনেকেই বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে এই পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে সরিষা, ভুট্টা, বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং অন্যান্য ফসল চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখনই পানি অপসারণ করা না হলে বোরো ধান চাষেও অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।</p> <p>স্থানীয় কৃষকরা, যেমন আব্দুল, সেলিম মিয়া, জালাল, পলান এবং আরও ১২-১৩ জন কৃষক কালের কণ্ঠকে জানান, তারা এই ফসলের মাঠ চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতি বছর এই মৌসুমে তারা বিভিন্ন ধরনের সবজি, সরিষা, ভুট্টা ইত্যাদি ফসল আবাদ করেন। কিন্তু এবছর অতিবৃষ্টির কারণে পানি আটকে গেছে। মাঠের চারপাশে গ্রাম থাকায় পানি বের হওয়ার পথগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। যে কয়েকটি কালভার্ট ছিল, তার মুখ পলি মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। যদি দ্রুত ফসলের মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশন না করা হয়, তবে তাদের জন্য এবছর কোন ফসল চাষ করা সম্ভব হবে না এবং তাদের না খেয়ে থাকতে হবে।</p> <p>শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমি জানতাম না। এখন বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলে জলাবদ্ধতা নিরসণ করা হবে এবং জমি চাষাবাদের উপযোগী করা হবে।</p> <p>শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমরা অবগত ছিলাম না। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p>