<p style="text-align:justify">নওগাঁর পত্নীতলায় সুমন হোসেন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বিল ছাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে। গতকাল রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে নাপিত পকুরা এলাকায় সুমনকে হত্যা করে গলায় দড়ি বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা।</p> <p style="text-align:justify">পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন ও রুবেল হোসেন বলেন, ‘রাতে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় রাত ১০টার দিকে ফোন দিয়ে সুমন বলতেছে ভাই আমাকে বাঁচা। কী সমস্যা জানতে চাইলাম। তখন বলতেছে বুলবুল নামের একজন আমার থেকে ১০ লাখ টাকা কেড়ে নিছে, লাঠি, চাকু নিয়ে আমাকে মারার জন্য তাড়া করেছে। তারা আট থেকে ১০ জন আছে। আমি ধানবাড়ীর ভেতর শুয়ে থেকে ফোন দিছি। যেভাবেই হোক আমাকে বাঁচা। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় নাপিত পকুরা নামক স্থানে গিয়ে কাঁঠাল গাছে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা তাকে পাই। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সুমনকে মৃত ঘোষণা করে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731931432-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/18/1448041" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">পত্নীতলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মারুফ মোস্তফা বলেন, সুমন নজিপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মৃত্যুর আগে সে ফেসবুক লাইভে ছাত্র-জনতার কাছে বিচার চেয়েছিল। এই স্টেটমেন্ট দেওয়ার পর তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এটা পুরোটাই হত্যাকাণ্ড ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।</p> <p style="text-align:justify">পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, সকালে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">ওসি জানান, ওই ফেসবুক আইডিটি আসলেই সুমনের কি-না কিংবা লাইভের অডিও’র ওই ব্যক্তি কে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুলবুল নামে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সুমনের আসলেই কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল কি-না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসবের সত্যতা বের হলেই আসল রহস্য উন্মোচন হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মৃত্যুর আগে হামলাকারীদের নাম বলে গেলেন বাবলু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731926772-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মৃত্যুর আগে হামলাকারীদের নাম বলে গেলেন বাবলু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/18/1448015" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, সুমন নজিপুর মসজিদ মার্কেটে কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ‘সুমন হোসেন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে করা লাইভে কিছু কথা বলতে শোনা যায়। </p> <p style="text-align:justify">পাঁচ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ওই অডিওতে অভিযোগ করা হয়, বুলবুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৭০ হাজার টাকা ধার করেন সুমন। সঙ্গে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিন্তু পরে বুলবুল তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান বলে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধাওয়া করা হয়। ওই রেকর্ডে দাবি করা হয়, তার মৃত্যু জন্য বুলবুল নামে ওই ব্যক্তিই দায়ী।</p>