<p>হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ১৫ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনাপুর গ্রামের মসজিদ উন্নয়নের জন্য সরকারি ভূমি বন্দোবস্ত করার জন্য একই গ্রামের আব্দুল মালিককে দায়িত্ব দেয় গ্রামবাসী। খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। কথা ছিল, মালিক গ্রামের পক্ষে আলমাছ মিয়া ও খালেদ মিয়ার নামে বন্দোবস্ত আনবেন। তা না করে আলমাছ ও তার ভাই আবুল কালামের নামে বন্দোবস্ত নিয়ে আসেন। আলমাছ তার অংশ গ্রামবাসীর নামে বুঝিয়ে দিতে চাইলেও আব্দুল মালিক তাতে সম্মত হননি। </p> <p>এ নিয়ে গ্রামবাসী এবং আব্দুল মালিক গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত দুই দিন ধরে এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মুরব্বিরা একটি সালিসের উদ্যোগ নেন। সোমবার রাতে পুলিশও যায় ঘটনাস্থলে। গ্রামবাসী সালিসের মত প্রকাশ করলেও আব্দুল মালিক ও জাকির মিয়া গংরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানানোর কথা বলে সময় নেন।</p> <p>এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই গ্রামের রাব্বি মিয়া ও নাদিম মিয়া স্থানীয় বাজারে তাদের দোকানে যাওয়ার সময় তাদের পথরোধ করে মালিক, জাকির, আনোয়ার বাদশা, লিলু মিয়ার নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল তাদের ওপর হামলা চালান। </p> <p>এই খবর গ্রামে পৌঁছলে গ্রামবাসী ও আব্দুল মালিক গংদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে মহিলাসহ উভয় পক্ষে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়েছে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। </p> <p>আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। </p> <p>নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।</p>