<p>ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।</p> <p>শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ঘাঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>ভুক্তভোগী সুবল প্রামানিক জানান, শুক্রবার রাতে আমার দোকানে হালখাতা ছিল। হালখাতা শেষ করে আমি রাতে খাবার খেতে বসেছিলাম। এ সময় সুনিল হালদার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাইরের দরজা খোলেন। এরপর ডাকাতরা তাকে ও তার জামাই অরুন কুমার রায়কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। পরে তারা বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ির মধ্যে এসে আমাদের সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এরপর তারা আমার হালখাতার নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও জামাইয়ের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করেন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা আমার স্ত্রী ও মেয়ের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ডাকাতদের হাতে থাকা অস্ত্রের পেছন দিয়ে সবাইকে আঘাত করেন। এতে করে আমার মেয়ে মিতা রায়, স্ত্রী লিপিকা বিশ্বাস, জামাই অরুন রায়, প্রতিবেশী সুনিল হালদার ও আমি নিজে আঘাতপ্রাপ্ত হই।</p> <p>স্থানীয় তালসার পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সমির কুমার বলেন, রাত ১১টা ৫ মিনিটের সময় অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন আসে। বলেন ঘাঘা পাড়ায় কিসের শব্দ হচ্ছে। এরপর তিনি ফাঁড়ির জরুরি পার্টিকে ঘটনাস্থলে যেতে বলি। পরে মোটরসাইকেল যোগে আমিও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এরপর বিষয়টি ওসি স্যারকে জানাই।</p> <p>এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর কালের কণ্ঠকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তিনি গ্রাম্য পশু চিকিৎসক। তিনি বলছেন দস্যুরা ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী এখনো পর্যন্ত মামলা বা অভিযোগ করেননি। তবে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগ পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p>