সুন্দর সমাজ গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই : বেবী নাজনীন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
শেয়ার
সুন্দর সমাজ গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই : বেবী নাজনীন
সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে সংগীত সন্ধ্যায় কথা বলছেন বেবী নাজনীন। ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডায়মন্ডখ্যাত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। সৈয়দপুর শিক্ষার নগরীর পাশাপাশি খেলাধুলার নগরী। সৈয়দপুরে আমার নাড়ি পোতা রয়েছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের কারণে দীর্ঘদিন আপনাদের কাছে আসতে পারিনি।

কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছিল। এখন এ সব থেকে আমি, আপনি আমরা সবাই মুক্ত। আমি আপনাদেরই কন্যা, বোন হয়ে থাকতে চাই। কাজ করতে চাই এলাকার সার্বিক উন্নয়নে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে সংগীত সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই সব কথা বলেন তিনি। সৈয়দপুর প্রিমিয়ার লীগ টি-২০ টুর্নামেন্ট-২০২৪ (সিজন-২)-এর ক্রিকেটের মেগা ফাইনাল উপলক্ষে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সৈয়দপুর এই সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর প্রিমিয়ার লীগ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন মনু।

বেবী নাজনীন আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনে দেশবাসী স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

এখন আমাদের সবার দায়িত্ব দেশবাসীর সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা উপস্থাপন করা। ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হলে আগামীতে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।’

সংগীত সন্ধ্যায় বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন তিনি। আর তাকে একনজর দেখতে এবং তার গান শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে শত শত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে জড়ো হন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সহসভাপতি সুমিত কুমার আগরওয়ালা নিক্কি, যুগ্ম সম্পাদক মো. শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, বিএনপি নেতা হাফিজ খান, জেলা যুব দলের আহ্বায়ক তারিক আজিজ, সদস্যসচিব পারভেজ আলম গুড্ডু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আবু সাইদ, ছাত্রনেতা জিসান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাবিয়া খাতুন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেট কিপার মোক্তার সিদ্দিকী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ কুতুব উদ্দিন, ক্রিকেট সংগঠক জুয়েল রেজা প্রমুখ।

এর আগে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও জলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এরশাদ হোসেন পাপ্পুর নয়াবাজারের বাসভবনে যান বেবী নাজনীন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খুলনায় ঈদের রাতে চার স্থানে সন্ত্রাসী হামলা, তিনজন গুলিবিদ্ধ

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় ঈদের রাতে চার স্থানে সন্ত্রাসী হামলা, তিনজন গুলিবিদ্ধ
সংগৃহীত ছবি

রাতভর পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, ১০ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের রেশ কাটতে না কাটতেই খুলনায় ঈদের রাতে আবারো চার স্থানে সন্ত্রাসী হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটল।

রবিবার (৩০ মার্চ) রাতে এ চারটি ঘটনার মধ্যে দু’টি ঘটেছে নগরীর সদর থানাধীন রূপসা বেড়িবাঁধ ও কাস্টমঘাট এলাকায় এবং অপর দু’টি জেলার রূপসা উপজেলা এলাকায়। চারটি ঘটনায় মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন- নগরীর রূপসা নতুন বাজার এলাকার শাওন চৌধুরী (২৯), এক নম্বর কাস্টমঘাট এলাকার বাসিন্দা ও ট্রলি চালক শেখ ফরিদ (৩২) এবং রূপসা উপজেলার রামনগর বরফ কলের সামনের মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম (৩২)।

গুলিবিদ্ধ তিনজনকেই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সনোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে রূপসা বেড়িবাঁধ সড়কের বরফ কলের সামনে শাওন নামের এক যুবক বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শাওনের ডান হাতে লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

গুলির কারণ জানা যায়নি। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ শাওন কেএমপির সদর থানাধীন নতুন বাজার লঞ্চ ঘাটের পার্শ্ববর্তী তরিক গলির বাসিন্দা মো. শুকুর আলীর ছেলে।

এদিকে, রাতে নগরীর এক নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় মৃত শেখ আব্দুল মান্নানের ছেলে ট্রলিচালক শেখ ফরিদ (৩২) রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত স্থান থেকে তার পিঠের ডান দিকে গুলি লাগে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে, নগরীতে দু’জনের গুলিবিদ্ধের ঘটনা ছাড়াও জেলার রূপসা থানা এলাকার পৃথক দু’টি স্থানে একই রাতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান বলেন, পূর্ব রূপসার বাগমারা এলাকার বাসিন্দা রুবেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাগমারা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যাংকের মোড়ে আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। মাগরিবের নামাজের সময় হওয়ায় রুবেল ঘটনাক্রমে সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে বেঁচে যান। ওই সময় মুসল্লিদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় অস্ত্রধারীরা পিস্তল বের করলেও তাকে গুলি করতে পারেনি।

উপস্থিত জনতা বেশি থাকায় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলেও ওসি জানান।

অপরদিকে ওই মিশনে ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রধারীরা রূপসা উপজেলার রামনগর এলাকার কথিত মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রবিউল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশে গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার ঘাড়ে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ দু’টি ঘটনায় থানায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও ওসি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ ও নৌবাহিনী। এসময় প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। পরে সেখান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ ছাড়াও সেখান থেকে পুলিশ তিনটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি শটগান, শটগানের ২৩ রাউন্ড গুলি, দু’টি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, একটি হাসুয়া, দু’টি চাকু, চাটি মোবাইল ফোন এবং সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো খুলনার তিনটি স্থানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের রাতে এমন ঘটনা আরো উদ্বেগজনক বলেও অনেকে মনে করছেন।

মন্তব্য

যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো

বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো
ছবি: কালের কণ্ঠ

টিকিট কেটে উঠলেও ট্রেনে দায়িত্বরত ব্যক্তি ২০০ টাকা দাবি করেন। এতে অনীহা প্রকাশ করেন বৃদ্ধ যাত্রী ফুল মিয়া। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন ট্রেন কর্মচারী মো. কাউছার। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

শুরু হয় প্রতিবাদ। কর্মচারীর গ্রেপ্তার দাবি করা হয়। ঘোষণা দেওয়া হয় ট্রেন আটকে দেওয়ার। দল বেঁধে লোকজন জমা হতে থাকেন একটি স্টেশনে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। আসতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও)। শেষ পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি রেল কর্মচারী কাউছারকে বরখাস্ত করা হয়।

এভাবেই একটি সম্মিলিত প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে রবিবার। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটে এমন ঘটনা। মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের এ ঘটনা রেল অঙ্গন জুড়েও আলোচনার জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ এলাকার ফুল মিয়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আসছিলেন।

এ সময় ট্রেনে দায়িত্বরত কাউছার নামে এক ব্যক্তি তার কাছে ২০০ টাকা দাবি করেন। আসনবিহীন টিকিট থাকার পরও কেন টাকা দিতে হবে- এমন কথায় ক্ষেপে যান কাউছার। একপর্যায়ে বৃদ্ধকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ফুল মিয়ার কাছ থেকে একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে কসবা রেলওয়ে স্টেশনে লোকজন জড়ো হতে থাকে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে জোরালো দাবি জানানো হয়। অন্যথায় ট্রেন আটকে প্রতিবাদ করার কথা বলা হয়। 

এরই মধ্যে রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে আটক করেন। ফেসবুকে তাকে আটক করে রাখার ছবিও পোস্ট করা হয়। এরই মধ্য সেনাবাহিনী কসবা স্টেশনে ছুটে এসে কসবা স্টেশনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। ইউএনও এসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে বিকেল পৌনে ৪টা থেকে কসবার আগের স্টেশন মন্দবাগে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেনটিকে কসবায় প্রবেশ করানো হয়।

কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানার পর লোকজন স্টেশনে জড়ো হতে থাকে। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিত স্বাভাবিক করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ট্রেনটিকে মন্দবাগ স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।’

ইউএনও মো. সামিউল ইসলাম জানান, মহানগর এক্সপ্রেসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ওই রেল কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। পাশাপাশি তাকে আটক করা হয়েছে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মনিরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নতুন ইসলামপুর গ্রামের ফুরসাদ আলীর ছেলে।

পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৩০ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বনলতা আন্তঃনগর ট্রেনটি যাত্রী নামিয়ে ঈদের ছুটিতে রাজশাহী স্টেশনে ফেরৎ যাওয়ার জন্য প্লাটফর্ম ছাড়ার সময় ট্রেনের বগির নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল। ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর ১নং প্লাটফর্মের লাইনের ওপর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্টেশন মাস্টার-২ মো. আমানত উল্লাহ জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে ৭৯১ আপ বনলতা ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছে। এরপর ইঞ্জিন সান্টিং করে খালি ট্রেনটি (এম্পটি র‌্যাক) ফেরৎ যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। এর আগে নিহত ব্যক্তিকে স্টেশন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, মনিরুল একসময় প্রবাসে ছিলেন।

সেখানে কাজে সুবিধা করতে না পেরে দেশে এসে দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসাতেও লোকসান হলে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জিআরপি ফাঁড়ি ইনচার্জ আশিষ কুমার দাস বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি কিভাবে ঘটল বা এটি আত্মহত্যা কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে মাদরাসাছাত্র নিহত, দুজন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শেয়ার
আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে মাদরাসাছাত্র নিহত, দুজন আহত

পটুয়াখালীতে আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে মাদরাসায় অধ্যায়নরত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক ঘটনায় আরো দুই কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। রবিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মোহাম্মদ রাফি (৮)।

পৌর নিউমার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মানির হাওলাদারের ছেলে রাফি। রাফি স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

অন্য আহতরা হলেন- মো. বেলাল তালুকদার (১৬) ও তার চাচাতো ভাই মো. রাব্বি তালুকদার (১৫)। তাদের দুজনের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার হকতুল্লা গ্রামে।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেলাল ও রাব্বি একটি আতশবাজি হাতে নিয়ে ফোটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় আতশবাজিটি হাতে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়। এতে বেলালের ডান হাতের তালু, আঙুলসহ একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি তার বাঁ চোখে প্রচণ্ড আঘাত লাগে।
আর রাব্বির ডান হাতের তালু ও আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নিহত রাফির মামা আবুল বাশার বলেন, রাফি তার বাড়ির পাশে একটি আতশবাজি ফোটায়। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে আতশবাজির অংশবিশেষ রাফির গলা ভেদ করে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে। রাফির গলা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। টের পেয়ে স্বজনরা তাৎক্ষণিক রাফিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নয়ন সরকার সাংবাদিকদের জানান, আতশবাজির একটি অংশ রাফির শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে মারাত্মক আঘাত করেছে। যে কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া আতশবাজির ঘটনায় আরো দুজন হাসপাতালে এসেছিল। তাদের হাত ও চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বেলালের ফুফা সিদ্দিকুর রহমান জানান, বেলালের হাতের একটি অংশ কাটা লাগতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।

পটুয়াখালী থানার উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, রাফি আতশবাজি ফোটানোর সময় বিকট শব্দে তা বিস্ফোরণ হয়। একইসঙ্গে আতশবাজির অংশবিশেষ রাফির গলা ভেদ করে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই রাফির স্বজনরা লাশ নিয়ে যায়। আরো দুজন আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ