অটোরিকশাচালকদের মারধরে হাসপাতালে ৩ পুলিশ সদস্য

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
অটোরিকশাচালকদের মারধরে হাসপাতালে ৩ পুলিশ সদস্য
সংগৃহীত ছবি

লক্ষ্মীপুরে সড়কে অভিযান চালানোর সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের মারধরে ট্রাফিক পুলিশের ৩ জন সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের বাগবাড়ী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

আহতরা হলেন ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট বড়ুয়া, কনস্টেবল ছোটন ভট্টাচার্য ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সবুজ মিয়া। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

আরো পড়ুন
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ৫ সুপারিশ

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ৫ সুপারিশ

 

পুলিশ জানায়, সড়কে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে সকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় শহরের বাড়বাড়ী এলাকায় মেঘনা সড়কে কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি অটোরিকশা জব্দ করে ট্রাফিক পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে অটোরিকশা চালকরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। চালকদের এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালকরা জড়ো হয়ে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ করেন। 

সিএনজি চালকদের দাবি, মাসোহারা দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হচ্ছে। অভিযানের নামে গাড়ি আটকিয়ে টাকা আদায় করে ট্রাফিক পুলিশ। কোনো কারণ ছাড়াই কয়েকটি গাড়ি আটকিয়ে মামলা দেওয়ায় মারধরের ঘটনা ঘটে।

 

ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় চালকরা হামলা চালায়। এতে ৩ জন আহত হয়। 

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, আহত অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের ৩ জনকে আনা হয়েছে। তাদের ভর্তি রাখা হয়েছে। 

আরো পড়ুন
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

বৈষম্যবিরোধীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি।

তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, বিস্তারিত জানা নেই। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাফিক পুলিশ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধির চেয়ার না রাখায় বিক্ষোভ

যশোর অফিস
যশোর অফিস
শেয়ার
মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধির চেয়ার না রাখায় বিক্ষোভ
মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধির বসার চেয়ার না রাখায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালকের কণ্ঠ

মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধির বসার চেয়ার না রাখায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। যশোরে ‘তারণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনাসভায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন না করায় বিক্ষোভ করেন তারা।

গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীড়া অনুষ্ঠান বয়কট করে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবি জানান।

পরে সার্কিট হাউজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। তার আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছেন।

আরো পড়ুন
সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

 

জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকেলে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘তারণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনাসভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানকে ঘিরে শিল্পকলাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার বিভিন্ন ছবি প্রদর্শনের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। কিন্তু সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শুরু হলে মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের বসার চেয়ার না রাখায় শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। তারা অনুষ্ঠান স্থলের পাশে জুলাই-আগস্ট শহীদের ছবি প্রদর্শনীর থেকে সব ছবি খুলে নেন।

এরপর শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে ডিসির প্রত্যাহার দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।

আরো পড়ুন
‘এখনই কোয়ার্টারে চলে এসো’, নারীর জবানিতে অধ্যক্ষের অপকর্ম

‘এখনই কোয়ার্টারে চলে এসো’, নারীর জবানিতে অধ্যক্ষের অপকর্ম

 

বিক্ষোভের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের যুগ্ম সদস্য সচিব জান্নাতুল ফুয়ারা অন্তরা বলেন, ‘যে অনুষ্ঠান তরুণদের নিয়ে; সেই অনুষ্ঠানে উপেক্ষিত তারা। এই জুলাই বিপ্লব এনেছে তো তারুণরা।

আজ আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হলো; সেটা অগ্রহণযোগ্য। অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারা জায়গা পেয়েছেন; কিন্তু জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে যা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা উপেক্ষিত কেন? তাই আমরা এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছি।’

আরো পড়ুন
ফ্যাসিবাদের উত্থানের পক্ষে বিচার বিভাগের ভূমিকা রয়েছে : মাহমুদুর রহমান

ফ্যাসিবাদের উত্থানের পক্ষে বিচার বিভাগের ভূমিকা রয়েছে : মাহমুদুর রহমান

 

এদিকে শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা সার্কিট হাউজে সমবেত হন। পরে সার্কিট হাউজ সভাকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। এসময় বিভাগীয় কমিশনারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান বয়কট আপাতত স্থগিত করেন।

আরো পড়ুন
বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

 

আরো পড়ুন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

 
মন্তব্য

মালয়েশিয়ার পরিবর্তে টেকনাফের বন্দীশালায়, পালিয়ে এসে দিলেন রোমহর্ষক বর্ণনা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
মালয়েশিয়ার পরিবর্তে টেকনাফের বন্দীশালায়, পালিয়ে এসে দিলেন রোমহর্ষক বর্ণনা
কক্সবাজারের টেকনাফের মানবপাচারীদের বন্দিশালা থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরে আসা ৬ যুবক। ছবি : কালের কণ্ঠ

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের মানব পাচারকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চক্রটি কয়েক বছর আগের সেই ভয়াল রূপে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া, বড়ডেইল ও বাঘঘোনা এলাকায় এসব পাচারকারীর বন্দিশালায় আটকা রয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। সশস্ত্র পাচারকারী চক্রের কারণে দেশের সীমান্ত এলাকা টেকনাফ হয়ে উঠেছে এখন আতংকের জনপদ।

উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের বন্দিশালায় আটকে মুক্তিপণ আদায় করছে চক্রটি। তাদের খপ্পরে পড়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের ১১ যুবক। এদের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে মঙ্গলবার রহমত উল্লাহ নামের একজন প্রাণ হারান। গতকাল বুধবার নিহত রহমত উল্লাহর দাফনকাজ শেষ হয়।

অপর একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পারা ৯ জন জানিয়েছেন, তাদের অপহরণ করে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায়ের তথ্য। তারা জানান, যে বন্দিশালায় তাদের আটক রাখা হয়েছিল, সেখানে আরো অর্ধশতাধিক লোক বন্দী রয়েছেন।  

এদিকে মঙ্গলবার টেকনাফ সীমান্তের মানবপাচারকারী চক্রের একজন উচ্চ পর্যায়ের সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, মানবপাচারের ৩টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী কেফায়েতুল্লাহ (৪১) কেরানীগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে আটকের পরে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফে মানব পাচারের ঘটনা বেড়ে গেছে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকায় পাচারকারীরা এ সময়কে পাচারের জন্য বেছে নেয়। মানবপাচারের আড়ালে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার কথাও তিনি স্বীকার করেন।

এসব বিষয় নিয়ে পুলিশ বড়সড় অভিযান পরিচালনা করারও পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

পাচারকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরে আসা ভুক্তভোগীরা জানান, দালাল চক্রের অন্যতম সদস্য রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চরপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর তাদের ১১ জনের দলকে নিয়ে যায় টেকনাফে। পথিমধ্যে ১১ জনকে এক দফায় উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা পালং এলাকার দালাল সাগরের কাছে বিক্রি করে দেয়। দ্বিতীয় দফায় হাফেজ সাইদুর রহমান নামের অপর এক দালালের কাছেও বিক্রি করা হয় তাদের। এরপর টেকনাফের বন্দিশালায় তাদের স্থান হয়। সেখানে একটি ঘরে তাদের আটকে রেখে করা হয় নির্যাতন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, তাদের সাথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতারণা করা হচ্ছে এটা বুঝতে পেরে সেই বন্দিশালার জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে আসেন তারা। পালাতে গিয়ে দালাল চক্রের কাছে ধরা পড়েন রহমতুল্লাহ ও নবী আলম। দালাল চক্রের পিটুনিতে গুরুতর আহত রহমতুল্লাহ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান। আর নবী আলম এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে ফিরিয়ে দিতে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাচারকারীরা। এই চক্রের সদস্যদের কাছে অস্ত্র রয়েছে বলে জানান তারা।

বন্দিশালা থেকে পালিয়ে আসা ৯ জনের মধ্যে মনিরুল ইসলাম ও তারেক অভিযোগ করেন, বন্দিশালা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন নোয়াখালী পাড়ায় আশ্রয় নেন। সেখানে এক ব্যক্তি তাদের আটকে রেখে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন। গোপন সেই বন্দিশালা ও দালাল চক্রের মুক্তিপণের টাকা আদায়ের একটি ভিডিও কালের কণ্ঠের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, দালাল জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্যরা টাকা গুনে নিচ্ছেন। এদিকে দালাল চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীরের সাথে গতকাল গোপনে যোগাযোগ করলে তিনি মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি মেম্বার আবুল কালাম বলেন, পাচারকারীদের হাতে নিহত রহমত উল্লাহসহ ওরা ১১ জনই তার গ্রামের বাসিন্দা। জনপ্রতি সাড়ে তিন লাখ টাকা করে দরদাম করে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের টেকনাফ নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের বন্দিশালায় আটকিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য নির্যাতন করতে থাকে পাচারকারীরা। অথচ মালয়েশিয়া পৌঁছার পর তাদের সাড়ে তিন লাখ টাকা করে পরিশোধের কথা ছিল।

মন্তব্য

পটিয়ায় হাত-পা ও মুখ বাঁধা অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
পটিয়ায় হাত-পা ও মুখ বাঁধা অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বেল্ট দিয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের আজিমপুর এলাকায় সড়কের পাশে বিলের মধ্যে পাওয়া যায়।

জানা যায়, স্থানীয়রা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিলের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এ ব্যক্তির মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিক পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুরসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ঘটনাস্থলে আসছেন বলে জানা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত এ ব্যক্তিকে অন্য কোথাও হত্যা করে তার মরদেহ এ নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে গেছে খুনিরা।

পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে এ ব্যক্তিকে অন্য কোনো স্থানে হত্যা করে এখানে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রাম থেকে পুলিশের সিআইডি সদস্যরা আসবেন। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

মন্তব্য

‘এখনই কোয়ার্টারে চলে এসো’, নারীর জবানিতে অধ্যক্ষের অপকর্ম

তামজিদ হাসান তুরাগ, উত্তরাঞ্চল
তামজিদ হাসান তুরাগ, উত্তরাঞ্চল
শেয়ার
‘এখনই কোয়ার্টারে চলে এসো’, নারীর জবানিতে অধ্যক্ষের অপকর্ম
ছবি : কালের কণ্ঠ

নারী কেলেঙ্কারিসহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে কুড়িগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আইনুল হকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। এতে ভুক্তভোগী নারীর জবানিতে উঠে এসেছে অধ্যক্ষের অপকর্মের চিত্র। ফাঁস হওয়া সেই অডিও ক্লিপটি এসেছে এ প্রতিনিধির হাতে।

সেই অডিওতে ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, তার সঙ্গে নানা অপকর্ম করেছেন অধ্যক্ষ আইনুল।

ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের ৩ জন মিলে কুড়িগ্রাম টিটিসিতে চাকরি করতাম। আমি হোস্টেলে কাজ করতাম। অধ্যক্ষ স্যার মাঝে মাঝে ফোন করে আমার নানারকম খোঁজ নিতেন।

যখন তিনি কোয়ার্টারে থাকতেন তখন, সময়ে-অসময়ে কল দিতেন তিনি। রাত ১২টা নাই, ১টা নাই, ২টা নাই—যখন-তখন কল দিতেন। যখন লালমনিহাটে থাকতেন তখন কল করতেন না।

আরো পড়ুন
ইন্টারনেটের ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদের পোস্ট

ইন্টারনেটের ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদের পোস্ট

 

এতে তিনি আরো বলেন, ‘তখন বাচ্চা পেটে ছিল।

প্রিন্সিপাল স্যার বলেন, তুমি যা চাও তোমাকে তাই দেবো। তুমি যদি স্বর্গের চাঁদটা চাও, সেটাও তোমার হাতে এনে দেবো। কিন্তু এ কথাটা বলা যাবে না। তুমি মনে করো তুমি আমার সাথে রিলেশন করতেছ। আমরা একে অপরকে ভালোবাসবো।

একসময় তিনি (অধ্যক্ষ আইনুল) কোয়ার্টারে তার মায়ের দেখাশোনার জন্য আমাকে রেখে দিলেন জানিয়ে ওই নারী বলেন, ‘তিনি বলতেন- নাশতা বানিয়ে দাও, দিতাম। বলতেন পাশে বসো। ওনার ছেলে-মেয়ে সবাই লালমনিরহাটে থাকত। যখন-তখন এটা-সেটা আবদার করতেন। আমার স্বামীর সঙ্গেই আমাকে থাকতে দিতেন না—বলতেন, আমার মায়ের সঙ্গেই থাকো। তোমাকে চাকরি ফলো করতে হবে। হাজব্যান্ড বেশি নাকি চাকরি বেশি? এভাবে হুমকি দিতেন। তিন মাস স্বামীর কাছে যেতে দেননি।’

আরো পড়ুন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

 

তিনি বলেন, ‘একদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি কল দিয়ে বললেন, তুমি কোথায়? আমি বললাম, শ্বশুরবাড়িতে। তখন তিনি বললেন, যদি তুমি চাকরি করতে চাও তাহলে এখনই চলে আসো কোয়ার্টারে। তখন আমি বললাম, পারব না আপনার কথা শুনতে। তিনি বললেন, কেন শুনবা না? শুনতে হবে তোমাকে। উনি নানা জেদ-জুলুম করার পর আমাকে হুমকি দিলেন। তারপর ওনার সঙ্গে আমার ভুলটা হলো।’

অধ্যক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তার সাবেক স্বামী অধ্যক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘অধ্যক্ষের সঙ্গে তার অনেক সম্পর্ক ছিল। আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। অনেক সাংবাদিক আসছিল, কিন্তু এলাকার লোক আমাকে কিছু বলতে দেয়নি। তখন যদি আমি বলতাম তখনই তার ব্যবস্থা হইত।’

আরো পড়ুন
বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

 

অডিওটির বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র (টিটিসি)-তে গেলে দেখা যায়—পাশে প্রশিক্ষণ চলছে ঠিকই কিন্তু অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝোলানো। পরে একাধিকবার কুড়িগ্রাম টিটিসির অধ্যক্ষ প্রকৌ. মো. আইনুল হক ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ফোনে অডিওর বিষয়টি জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো জবাব মেলেনি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ