ঢাকা, শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

৬০০ সিসির মোটরসাইকেল অনুমোদনের দাবি নিয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৬০০ সিসির মোটরসাইকেল অনুমোদনের দাবি নিয়ে যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি দেশে ৬০০ সিসি লিমিট পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং শিগগিরই তা গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে ৬০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল অনুমোদনের দাবিটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

মোটরসাইকেল
ছবি : রিউমর স্ক্যানার

রিউমর স্ক্যানার জানায়, প্রকৃতপক্ষে, এই দাবিটি কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই প্রচারিত হচ্ছে। এ বিষয়টি গুজব বলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে ওয়েবসাইটটিতে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ওয়েবসাইট যাচাই করেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন
বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

 
 

মূলধারার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সংস্থাপন শাখা কর্তৃক জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিবন্ধন ও দেশের সড়কে চলাচল অনুমোদিত হয়।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্ষমতার সীমা বাড়িয়ে ১৬৫ সিসি করা হয়।

আরো পড়ুন
আদালতে এসে যা খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী

আদালতে এসে যা খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী

 

গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে দেশের সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্ষমতার সীমা ৩৭৫ সিসি থেকে বৃদ্ধি করার কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি। সুতরাং ৬০০ সিসি ক্ষমতা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া।

আরো পড়ুন
যে কথা সবাইকে জানাতে চান তনি

যে কথা সবাইকে জানাতে চান তনি

 

বাংলাদেশে ৬০০ সিসি সীমা পর্যন্ত মোটরসাইকেল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এর পরিচালক (রোড সেফটি) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘৬০০ সিসির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ সাড়ে ৩০০ সিসির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে, নিরাপত্তা বাহিনী যদি এর ওপরে আনে তাদের ভিন্ন কথা। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য ৬০০ সিসির অনুমোদন দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৫৬০ মডেল মসজিদে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৫৬০ মডেল মসজিদে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন
ফাইল ছবি

দেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত)- শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উদ্বোধনকৃত এবং নির্মীয়মাণ মডেল মসজিদের নির্মাণ/ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এজন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভুইয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উদ্বোধনকৃত এবং নির্মানাধীন মডেল মসজিদের নির্মাণ/ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অভিযোগ সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অত্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের ১৬.০০.০০০০.০০৮.০২. ০০১.২৪.২৬০ নম্বর স্মারকে গঠিত কমিটি পুনর্গঠন করা হলো।

আরো পড়ুন
তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

 

কমিটিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্যগণ হলেন- ১. ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক; ২. ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (উন্নয়ন); ৩. সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক /প্রতিনিধি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক-এর নিম্নে নয়); ৪. সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; ৫. সংশ্লিষ্ট জেলার উপ-পরিচালক (শুধু বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে পরিচালক), ইসলামিক ফাউন্ডেশন; ৬. পরিচালক (পরিকল্পনা), ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে (পরিকল্পনা-১)।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কমিটি লিখিত/মৌখিক/পত্রিকার কাটিং/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম/ইলেকট্রনিক মাধ্যম/অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত মডেল মসজিদ নির্মাণ/ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে; কমিটি অভিযোগ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদান করবে; কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন-নাবিকের মুক্তি নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন-নাবিকের মুক্তি নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছেন, ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মেঘনা প্রেস্টিজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকের মুক্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মুখপাত্রের কাছে প্রশ্ন ছিল ভেনিজুয়েলার বন্দরে আটক ৫০ জন বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধারের জন্য ব্রাজিলিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কী করছে? এ সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে কোনো অগ্রগতি আছে কি না?

উত্তরে মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মেঘনা প্রেস্টিজ গত ২৯ জানুয়ারি ভেনিজুয়েলায় বন্দর ত্যাগের পূর্বে জাহাজের মালামাল লোডিংয়ের স্থানীয় নিয়ম মোতাবেক মাদকবিরোধী অনুসন্ধান প্রটোকল অনুযায়ী জাহাজের নিমজ্জিত অংশ পরিদর্শনকালীন ভেনিজুয়েলার একজন নাগরিক ও ডুবুরি প্রাণ হারান এবং অপর একজন ডুবুরি আহত হন। এ ঘটনায় ভেনিজুয়েলা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি কার্যক্রম শুরু হয় এবং জাহাজটি স্থানীয় কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে নাবিক ও মালামালসহ আটক করা হয়।

জাহাজের ক্যাপ্টেন/মাস্টার মাহবুবুর রহমানকে বিগত ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং দুটি মামলা রুজু করা হয়।  

এ প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য সব আইনি অধিকার নিশ্চিত করে মাস্টারের আশু মুক্তি ও জাহাজের বন্দর ত্যাগের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্রাসিলিয়ার (ভেনিজুয়েলার সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাহায্যে ব্রাসিলিয়াতে অবস্থিত ভেনিজুয়েলা দূতাবাসের মাধ্যমে ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসহ জাহাজের স্বত্বাধিকারী ও এর মাস্টারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যোগাযোগ রক্ষা, জাহাজ ও এর মাস্টারের মুক্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ গ্রহণ এবং এ বিষয়ে আন্ত মন্ত্রণালয় সমন্বয় চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

‘নদী বিনাশী কোনো প্রকল্পে প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘নদী বিনাশী কোনো প্রকল্পে প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না’
ছবি: কালের কণ্ঠ

নদী বিনাশী কোনো প্রকল্পে প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশের নদী ধ্বংস করে কখনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায় না। বরং নদীই কর্মসংস্থান তৈরি করে দেয়। অথচ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন করেছে।

কিন্তু নদী রক্ষার ক্ষেত্রে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে।

আরো পড়ুন
দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ সাবেক ছাত্রদল নেতা আটক

দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ সাবেক ছাত্রদল নেতা আটক

 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ধরা’র সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী। 

ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন (এনআরসিসি)’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোশাহিদা সুলতানা, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, সাংবাদিক অনির্বান শাহরিয়ার, বুড়িগঙ্গা নদীমোর্চার সদস্য জাহাঙ্গীর আদেল, বালু নদীমোর্চার জান্নাতী আক্তার রুমা, তুরাগ নদীমোর্চার আমজাদ আলী লাল প্রমুখ।

আরো পড়ুন
বাড়ির ভেতরে খালি পায়ে হাঁটলে উপকার নাকি ক্ষতি

বাড়ির ভেতরে খালি পায়ে হাঁটলে উপকার নাকি ক্ষতি

 

সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, নদীর বিপদ মানে বাংলাদেশের বিপদ। নদী না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। নদীর বিপন্নতার তিনটি মূল কারণের প্রথমটি হলো উজানের দেশ ভারত।

তাদের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। জাতিসংঘের পানি কনভেশনে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেনি এই ভারতকে খুশি রাখতে। দ্বিতীয় কারণ হলো সরকার নিজেই। সরকারের প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নদীর বিনাশ করছে। আর তৃতীয় কারণ হলো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সমাজের প্রভাবশালী গোষ্ঠী।
 

নদী বাঁচাতে তিনি জাতীয় ঐক্যমত্যের আহবান জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, এই নদীকৃত্য দিবসেই সরকারকে জাতিসংঘের ১৯৯৭ সালের পানি কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করতে হবে। সরকারের নদী বিনাশী সকল সিদ্ধান্ত ও প্রকল্পসমূহকে বাতিল করে নদী কমিশনের প্রণীত সুপারিশ অনুযায়ী দখল উচ্ছেদ করতে হবে এবং নদী রক্ষায় ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ পুনঃবিশ্লেষণ করে নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে।

মূল বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদী হলো পাবলিক প্রপার্টি, আর সেই নদীকে রক্ষা করা মানুষের দাবি। নদী ধ্বংস করা ফৌজদারি অপরাধ। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এখনো অপ্রতিরোধ্য গতিতে নদী দখল চলছে। নদীর কোন দল নাই, কোন ধর্ম নাই। নদী সবার জন্য। নদী, পানি ও পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। নদী রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা। একে গলা টিপে হত্যা করা যাবে না। নদীর জমি কখনো খাস হয় না। নদীর জমি নদীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নদীভিত্তিক গবেষণা হতে হবে এবং নদী বাঁচাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানতে হবে।

আরো পড়ুন
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মন্তব্য করায় দিল্লিকে কড়া বার্তা দিল ঢাকা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মন্তব্য করায় দিল্লিকে কড়া বার্তা দিল ঢাকা

 

ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, দেশের কোন নদী ভালো নেই। ভারত একতরফাভাবে উজানের নদীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে। নদীগুলোকে প্লাবন এলাকার দিকে যেতে দিতে হবে। উচ্ছেদ পরে করেন, আগে নদী দখল বন্ধ করেন। নদীকে বাঁচতে দিন। বিভাগ, জেলা, উপজেলা নদী রক্ষা কমিটিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শক্তিশালী ও কার্যকর নদী কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।

মন্তব্য

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মন্তব্য করায় দিল্লিকে কড়া বার্তা দিল ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মন্তব্য করায় দিল্লিকে কড়া বার্তা দিল ঢাকা

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেজন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে দিল্লিকে কড়া বার্তা দিয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

রফিকুল আলম বলেন, গত ৭ মার্চ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্যের বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও সংখ্যালঘু সম্পর্কিত বিষয়সমূহ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে, এসব বিষয় একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ ধরনের মন্তব্য অযাচিত ও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের শামিল। এই ধরনের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার ভুল প্রতিফলন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আশা করি যে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ধরনের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

রফিকুল আলম বলেন, ‘ভারতীয় অপ্রচার যা আমরা দেখছি তার বেশির ভাগ বেসরকারি পর্যায়ের। বিভিন্ন মিডিয়া হাউস তাদের নিজেদের মতো করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ ধরনের অপ্রচার সঠিকভাবে মোকাবেলা করা খুব একটা সহজ ব্যাপার না। কিন্তু এ বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবেচনার মধ্যে আছে এবং কিভাবে ভালো উপায়ে রেসপন্স করা যায় এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ