ইতালিপ্রবাসী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কামরুল হাসান নামে এক যুবকের পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা, প্রবাসজীবনে অর্জিত টাকা-পয়সা ও গহনা নিয়ে স্ত্রী পপি নামের এক নারী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে আকুতি জানিয়েছেন বাবা কামরুল হাসান।
আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কামরুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চড়ানল গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে কামরুল হাসান ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে বুড়িচং সদর এলাকার পূর্বপাড়া থানার উত্তর পাশে বাড়ির মৃত শাহ আলমের মেয়ে পাপিয়া সুলতানা পপিকে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছর পর কামরুল হাসান তার স্ত্রী পপিকে ইতালি নিয়ে যান এবং ইতালির নাগরিকত্ব পেতে সব কাগজপত্র সম্পন্ন করেন।
আরো পড়ুন
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি, না করলে ‘শহীদী ব্লকেড’
এর কিছুদিন পরই তাদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তী সময়ে পপি ইতালিতে বাংলাদেশি এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। বেশ কিছুদিন পর কামরুল স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ নিয়ে কামরুল তাকে নিষেধ করলেও তিনি গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যান।
সর্বশেষ তিনি স্বামীর অর্জিত টাকা-পয়সা, গহনা ও কন্যাসন্তান নিয়ে ইতালিতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।
পরে কামরুল তার স্ত্রী-কন্যাসন্তানকে ইতালিতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইতালিতেই একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে কামরুল বাংলাদেশে এসে স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু স্ত্রীর পরিবার মেয়ের খবর না দিয়ে উল্টো কামরুলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এরপর কামরুল কাজী অফিসের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় ইতালিতে ফিরে যান এবং সেখানে বিভিন্ন স্থানে তার স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে জানতে পারেন, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ্বর গ্রামে হৃদয় হাসান নামে এক যুবকের কাছে আছে তার স্ত্রী ও সন্তান। এ ঘটনায় কামরুলের বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে পাপিয়া সুলতানা পপি ও তার মা ফরিদা ইয়াসমিনকে অভিযুক্ত করে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরো পড়ুন
গুলিতে নিহত কলেজছাত্র : ওসি শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার
নাজমুল হাসান কালের কণ্ঠকে জানান, তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পলাতক পাপিয়া সুলতানা পপির চাচা শাজাহান কিছুদিন আগেও সামান্য বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়।
যে নারীর চাচা একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছেন, এই পরিবারের কাছে আমাদের সন্তান মোটেও নিরাপদ না। তিনি তার ভাইয়ের একমাত্র কন্যাসন্তান ও লুট করে নেওয়া স্বর্ণালংকার এবং টাকা-পয়সা ফেরত পাওয়ার দাবি জানান।