ঝিনাইদহের মহেশপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে মহেশপুরের জলিলপুর সড়কে আব্দুল হামিদ সাড়ে তিন শতক ডিসিআরভুক্ত জমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নিয়ে একটি সেমি পাকা ভবন নির্মাণ করেন। পরে ওই ভবনে ডেকোরেটরের ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করে আসছেন তিনি।
আরো পড়ুন
শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মহেশপুর বণিক সমিতি থেকে একটি সালিসির চিঠি পান তিনি। পরে বণিকি সমিতিতে গিয়ে জানতে পারেন ওই জমির দাবি করছেন স্থানীয় শেখ মো. আনোয়ার সাদত রিপন নামের এক ব্যক্তি। সমিতিতে সালিসের সময় হামিদকে দ্রুত ওই জমিসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।
এরপর উপায় না পেয়ে গত ৩ মার্চ ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন করেন তিনি। তখন আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে।
আরো পড়ুন
আ. লীগ এমপির ব্যানার নিয়ে প্রশ্ন, যুবদলকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে রিপন ও তার ক্যাডার বাহিনী। পুরো ভবন ভাঙচুর করেছে।
প্রতিষ্ঠানে থাকা ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে তারা।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আনোয়ার সাদত রিপন বলেন, ‘ওই জায়গায় আমাদের মার্কেট রয়েছে। হামিদ যে জায়গায় ব্যবসা করে ওই জায়গাটাও আমাদের। তিনি মূলত সাবেক এমপি চঞ্চলের লোক। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ওই প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বহিরাগতরা।
এখন তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
আরো পড়ুন
শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুনেছি ওই জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ আছে। এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে চলে গেছে। বিজ্ঞ আদালত যে নির্দেশনা দিবে আমারা সেটাই পালন করব।’