চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তিন ইউনিটে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন একাংশের নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় তারা কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন।
আরো পড়ুন
ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতাকর্মী আটক
এদিকে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশ প্রায় ৩০ মিনিট দীর্ঘ যানজট ছিল। ঈদের ছুটিতে ব্যস্ততম সড়কে এমন যানজট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পথচারীরা। বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দ্রুত মিরসরাই বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি ঘোষণার দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শাহীনুল ইসলাম স্বপন, ধুম ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মেজবাউল হক মানিক, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহান, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব এয়াছিন মিজান, যুগ্ম আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবলু, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছালেহ আহম্মদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক সোহাগ, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন, ওচমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব ফরিদুল ইসলাম, ইছাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুল হক মেম্বার, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটন, কামরান সরোয়ার্দী, মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
আরো পড়ুন
‘আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শাহীনুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার পকেট কমিটি ঘোষণা করেছেন। কমিটির বেশিরভাগ লোক এলাকায় থাকে না, তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরে থাকেন। অবিলম্বে এই অবৈধ পকেট কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ১০ মিনিট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান করছিলেন। তেমন যানজট সৃষ্টি হয়নি।’
গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার স্বাক্ষরিত ৮৩ সদস্য বিশিষ্ট মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। এ ছাড়া ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপি ও ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির কমিটি অনুমোদনের পর থেকে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এতে বিএনপি, যুবদল ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন
নয়াপল্টনে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ৩ কনস্টেবল
উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভা, বামনসুন্দর দারোগারহাট বাজার, ঝুলনপোল বাজার, বড়তাকিয়া বাজার, আবুতোরাব বাজার, মিরসরাই পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিল ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব কামরুল হাসান লিটনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সোমবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে, হামলায় আহত হয় ৪ জন। আহতরা হলেন- রিয়াজ, রাশেদ, সোহাগ, শাকিল আহতদের মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাটাছরায় হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহীদকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় হামলায় যুবদল নেতা কামরুলসহ আরো ৪ জন আহত হন।