পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ থেকে শুরু হয় কলহ।
পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ থেকে শুরু হয় কলহ।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম ইব্রাহিম হাওলাদার (২৪), আর হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারীর নাম টুম্পা আক্তার (২২)। টুম্পা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় নগরীর কলসীদিঘীপাড় ওয়াসিম চৌধুরীপাড়া পেলাগাজীর বাড়ি আলী সওদাগরের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ডিবি।
সংবাদ সম্মেলনে নগর মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, ইব্রাহিম জিজ্ঞাসাবাদে তিনি টুম্পা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ছাড়া তাদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ভিকটিম টুম্পা আক্তার একজন গার্মেন্টসকর্মী। তাদের পরিচয়ের সূত্রপাত ইমোতে। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টুম্পা তার আগের সংসারের একটি ছেলে সন্তানসহ চট্টগ্রাম আসেন। এরপর তারা একসাথে বসবাস শুরু করেন। কাগজে-কলমে তাদের বিয়ে হয়নি। দুজন ব্যক্তিকে সাক্ষী রেখে তাদের মুখে মুখে বিয়ে হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম আরো জানায়, টুম্পা আক্তার যখন কর্মস্থলে যেতেন ইব্রাহিম মোবাইল নিয়ে যেতে দিতেন না। মোবাইল বাসায় রেখে যেতেন। বাসায় রাখার পর অনেক সময় তার ফোনে পুরুষ কণ্ঠে কল আসত। ইব্রাহিমের সন্দেহ হয় তার কথিত স্ত্রীর আরো কয়েকজনের সাথে সম্পর্ক থাকতে পারে। এই সন্দেহের জেরে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।
মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান আরো জানান, ঘটনার দিন এই বিষয় নিয়েই তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ইব্রাহিম মাথার কাছে একটি শেলফে থাকা রশি দিয়ে টুম্পার গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওই সময় টুম্পার বাচ্চাটি পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটি ঘুম থেকে উঠলে তাকে একজন মহিলার কাছে দিয়ে ইব্রাহিম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মাহবুব আলম খান বলেন, ‘তদন্তে স্বামী পরিচয়ে তার সঙ্গে থাকা যুবক ও চার বছর বয়সী এক ছেলে ওই বাসায় থাকার তথ্য পেলেও লাশ উদ্ধারের সময় তাদেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে বাসার পাশে একটি দোকানে থাকা ক্যাশ-মেমোতে থেকে একটি মোবাইল নম্বরের সূত্রে হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। ওই মোবাইল নম্বরের সূত্রে ঢাকার পোস্তগোলা এলাকা থেকে ইব্রাহিম হাওলাদারের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
সম্পর্কিত খবর
কুমিল্লায় পূর্ব বিরোধের জেরে হামলায় গুরুতর আহত ইউনুস মিয়া নামে এক যুবক মারা গেছেন। বুধবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ইউনুস মিয়া কোতয়ালী মডেল থানার সাহেবনগর উত্তরপাড়া গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রতিবেশী ছেতু মিয়ার ছেলে মো. ইউনুসের পরিবারের সঙ্গে নিহত যুবক ইউনুসের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
কোতোয়ালি থানার ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, উভয় পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে মঙ্গলবার ইউনুস মিয়াকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুরে ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায়ও হামলা হয়েছে।
এর আগে সিলেটে ফের ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। এবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের অনুসারীরা এ মিছিল বের করেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) নগরের ধোপাদীঘিরপাড় এলাকায় মিছিলটি বের করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনার পর সন্ধ্যায় শফিউল আলম চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে নগরের ধোপাদীঘিরপাড় এলাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিল বের করে।
এ ব্যাপারে সিলেটের মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মিছিলের ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছি। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বাসায় হামলা, ভাঙচুর : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় হামলা হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায় সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকজন মিছিল সহকারে এসে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা বাসার সিসি ক্যামেরা, ল্যাপটপ ভাঙচুর করে।
প্রায় একই সময়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকায় সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায়ও হামলার ঘটনা ঘটে। একইভাবে হামলাকারীরা বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পৃথক দু’টি হামলার ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, আনোয়ারুজ্জামানের বাসায় হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। শুনেছি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই হামলা চালিয়েছে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব বলেছেন, গত ১৭ বছর দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে। এখন মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে।
মির্জাপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে যারা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে মির্জাপুরের স্বার্থে তাদেরকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। মির্জাপুরের উন্নয়নে সকলে মিলেমিশে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা লেখাপড়া করে ভতিষ্যতে তারাই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। নবীন শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে নেতৃত্ব দিয়ে মির্জাপুরসহ সারাদেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদরের গোল্ডেন স্পুন নামের একটি ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টে মির্জাপুরস্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রদলের সাবেক নেতা রফিকুল ইসলাম ও শামসুজ্জামান লিটনসহ শতাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব পৌর এলাকার জহুরবাড়ি দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার দরবেশপুর এলাকার মাইজদী-চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের গ্লোব ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়ির আব্দুল বারিক হেকিমের মেয়ে কহিনুর হোসেন (৫৫), চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরপুর এলাকার আনোয়ারের ছেলে শাহরিয়ার (৯) তার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪) ও রুহি (১১), একই ওয়ার্ডের ইকবালের ছেলে তাওহিদ (৫) তার মেয়ে শাহনা (১০)।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে জেলা শহর মাইজদী থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা জেলার বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।
জানতে চাইলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে পাঁচজন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের শরীর ৫ থেকে ৭ শতাংশ পুড়েছে। বর্তমানে তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।